ঢাকা ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে চারটি দোকান ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ। গাছবাড়ীয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের সমম্বয় সমিতি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত- সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফখরু উদ্দিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনার ফুলতলায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচি। –চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ আটক চোর চক্রের পলাতক তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; চোরাইকৃত আরো তিনটি ইজিবাইক এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ। চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া …

অস্বস্তির ডিভাইডারে মই বসিয়ে রাস্তা পারাপার

মোঃ দেলোয়ার হোসেন স্টাফ রিপোর্টার

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বসানো ডিভাইডার নিয়ে অস্বস্তি ও ভোগান্তি বাড়ছে। মহাসড়কে চলাচলরত মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছেন। বাসস্ট্যান্ডগুলোতে নতুন করে বানানো ফুটওভারব্রিজগুলোর কাজ অসম্পন্ন হলেও চালু করা হয়েছে। থানা বাসস্ট্যান্ডের ব্রিজটি নড়বড়ে। হাসপটাতাল এলাকা হিসেবে পরিচিত থানা রোডে প্রবেশের মুখ বন্ধ। এর মধ্যে থানা ও গেণ্ডা বাসস্ট্যান্ডের মাঝামাঝি স্থানে পরিকল্পনার বাইরে একটি স্থানে ডিভাইডার খুলে দেওয়া হয়েছে।হযবরল
অবস্থার মধ্যে নাগরিক দুর্ভোগ এখন চরমে।
এর অবস্থার মধ্যে সড়ক পারাপারের ঝুঁকি অগ্রাহ্য করে চলাচলের যে প্রবণতা আছে, তার একটি রূপ দেখা গেল ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারে। সেখানে নিরুপায় মানুষের দৌড়াদৌড়ি করে রাস্তা পারাপারে উঁচু করে বিভাজক নির্মাণের পরও পথচারীদের থামানো যাচ্ছে না। উঁচু সেই বিভাজককে অতিক্রম করতে রীতিমতো ব্যবহার হচ্ছে মই। সম্প্রতি মই ব্যবহার করে পারাপারের একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ উঠেছে, মাথাপিছু ২ টাকার বিনিময়ে মই বসিয়ে লোকজন পারাপার করানো হচ্ছে। সেই মইটি বসানো হয়েছিল সাভার নিউ মার্কেট এলাকায়। যদিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর সেই কান্ড আর ঘটেনি। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুঁকি নিয়ে শত শত মানুষের পারাপারের দৃশ্য দেখা গেছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উলাইল-গেণ্ডা-থানা বাসস্ট্যান্ড-শিমুলতলা- সাভার বাসস্ট্যান্ডের রানা প্লাজা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় প্রবীণ, তরুন, নারী ও শিশুরাও ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে নিত্যদিন। দেখা গেছে, প্রতি ৫ মিনিটের মধ্যে কেউ না কেউ টপকে ডিভাইডার পার হচ্ছেন। কখনও একই সময়ে আবার দল বেঁধেও পারাপার হতে দেখা যাচ্ছে। পারাপারের সময় সবচেয়ে বিপাকে পড়ছেন প্রবীণ, নারী ও শিশুরা। রাস্তা পার হওয়া মানুষ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্টপেজগুলোতে লোকাল বাসগুলো সঠিক লেন দিয়ে প্রবেশ না করায় তাদের এভাবে সড়ক পার হতে হচ্ছে। অনেকে আবার ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে পারাপার হওয়াকে কষ্টকর মনে করছেন। তাই জোর করেই বাস সড়কের মাঝে থামিয়ে নেমে পড়ছেন। পথচারীদের এভাবে সড়ক পারাপার ঠেকাতে হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশের কোনো চেষ্টাই চোখে পড়ে না। নিউ মার্কেটের পাশেই কাঠের শো-পিসের দোকানি জলিল মুনশি বলেন, ‘ডিভাইডার দিছে দুই মাস। ডিভাইডারের দুই দিক দিয়েই গাড়ি চলাচল করে। পার হওয়ার সময় কোনো রকম পইরা গেলেই শ্যাষ। দুই দিক দিয়াই অনেক জোরে গাড়ি চলাচল করে। আর রাত-দিন মানুষ এমনই ঝুঁকি নিয়া পার হয়।আসলে অনেকে বাধ্য হইয়া পার হয় আর অনেকে কোনো কারণ ছাড়াই। এখানে কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই। পুলিশও কোনো সময় দেখি নাই যে বাধা দিছে। তারা একটু নজর দিলে মানুষ এভাবে জীবন হাতে নিয়া পার হতো না। মাথাপিছু ২ টাকা দিয়ে মই বেয়ে মানুষকে পারাপার করানো হচ্ছে সে বিষয়ে জানেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মই দিয়া পার করানো দেখি নাই। তবে মাঝে মধ্যে রিকশা-ভ্যানের ওপর চইরা মহিলারা অনেক কষ্ট কইরা ডিভাইডার পার হয়। আর শিমুলতলায় ডিভাইডারের সঙ্গে বালুর বস্তা দিয়া রাখছে পার হওয়ার জন্য। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুর রহমান বলেন, ‘প্রবলেম হচ্ছে শিমুলতলা থেকে সাভারের পাকিজা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় চারটা লেন করছে। বেশিরভাগ লোকাল বাস যানজট বা যে কোনো কারণে এই কারণে বাম সাইডের লেন দিয়ে না ঢুকে পাশের লেন দিয়ে ঢুকছে। তখন অনেকেই বাধ্য হয়ে অনেক ঘুরে আসতে হবে বিধায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার মধ্যেই নামছে। তারপর যে যার মতো ডিভাইডার টপকে পারাপার হচ্ছে। এটা আসলে সেইফ না। তবে কর্তৃপক্ষ চাইলে মানুষ পারাপারের জন্য পয়েন্ট করে দিতে। যাতে মানুষের চলাচলের সুবিধা হয়। পোশাক কারখানার শ্রমিক কুলসুম বেগম বলেন, ‘নবীনগর থাইকা ঠিকানা বাসে সাভার আইছি নিউমার্কেট যামু। বাস রাস্তার ভিতরে নামায় দিছে। বাম দিক দিয়া ঢোকে নাই। তহন বাধ্য হইয়া ডিভাইডার পার হইছি। ভয়ও লাগছে, কষ্ট হইছে। তয় কী করার?
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হাকিম বলেন, ‘পুলিশ তো আর সব সময় বইসা থাকে না। যখন আমগো পুলিশ যায়, তখন সামনে পড়লে নিষেধ করি। এরপরে বিভিন্ন সময় রাস্তাঘাট পার হওয়ার জন্য সচেতনতামূলক আমরা মিটিং করি। এখন যদি আপনে নিজের ইচ্ছায় রোড ডিভাইডার লাফ দিয়া পার হইয়া হুইয়া পড়েন, এটা কি পুলিশ ফেরাইতে পারবে?
‘দুর্ঘটনা যাতে না হয় এজন্য ফুটওভার ব্রিজের পাশে অনেকটা জায়গা ধইরা উঁচু করে ডিভাইডার দিছে। অ্যারপরেও যদি আপনে যায়্যা লাফ দিয়া পার হন সেটা ফিরাইব কীভাবে? সাভার ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) আব্দুস সালাম বলেন, ‘এটা কিন্তু আমি নিজের চোখেও দেখেছি। একটা জায়গায় না, একাধিক জায়গায় মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। সাভার রানা প্লাজা এলাকা থেকে শিমুলতলা পর্যন্ত একাধিক জায়গাতেএরকম পারাপার হচ্ছে। এই মানুষদের বিরুদ্ধে কি আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারি? আমি তো বুঝি না এটা কী করা যাইতে পারে? আমরা তো আসলে মোটরযান আইনে যানবাহনকে জরিমানা করি। এর বিরুদ্ধে কোসনো আইন আছে আমি এটা খুঁজে পাই না।
বাসচালকরা নিজেদের সুবিধার জন্য তাদের এমন জায়গায় নামিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে বাধ্য হয়েই ডিভাইডার পার হচ্ছেন তারা- এমন অভিযোগের বিষয়ে টিআই সালাম বলেন, ‘প্যাসেঞ্জার কেন ঝুঁকি নিয়ে নামবে? এখানে কিন্তু শুধু গাড়ি চালকদের দোষ না, ওই প্যাসেঞ্জারেরও অনেক দোষ আছে। কারণ, তার সুবিধামতো সে নামতে চায়। আপনি বাসে উঠলে খেয়াল করে দেখবেন, ওই প্যাসেঞ্জার গাড়িচালকদের জোর করে তার সুবিধামতো জায়গায় নামতে চায়। ঢাকা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন বলেন, এইটা কেউ ভায়োলেট করলে পুলিশ দেখবে। তাদের দায়িত্ব এটা। এটা নেগলেটের চেষ্টা করবে যারা তাদের এনফোর্সমেন্ট করবে পুলিশ।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী

অস্বস্তির ডিভাইডারে মই বসিয়ে রাস্তা পারাপার

আপডেট টাইম ০৬:২৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

মোঃ দেলোয়ার হোসেন স্টাফ রিপোর্টার

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বসানো ডিভাইডার নিয়ে অস্বস্তি ও ভোগান্তি বাড়ছে। মহাসড়কে চলাচলরত মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছেন। বাসস্ট্যান্ডগুলোতে নতুন করে বানানো ফুটওভারব্রিজগুলোর কাজ অসম্পন্ন হলেও চালু করা হয়েছে। থানা বাসস্ট্যান্ডের ব্রিজটি নড়বড়ে। হাসপটাতাল এলাকা হিসেবে পরিচিত থানা রোডে প্রবেশের মুখ বন্ধ। এর মধ্যে থানা ও গেণ্ডা বাসস্ট্যান্ডের মাঝামাঝি স্থানে পরিকল্পনার বাইরে একটি স্থানে ডিভাইডার খুলে দেওয়া হয়েছে।হযবরল
অবস্থার মধ্যে নাগরিক দুর্ভোগ এখন চরমে।
এর অবস্থার মধ্যে সড়ক পারাপারের ঝুঁকি অগ্রাহ্য করে চলাচলের যে প্রবণতা আছে, তার একটি রূপ দেখা গেল ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারে। সেখানে নিরুপায় মানুষের দৌড়াদৌড়ি করে রাস্তা পারাপারে উঁচু করে বিভাজক নির্মাণের পরও পথচারীদের থামানো যাচ্ছে না। উঁচু সেই বিভাজককে অতিক্রম করতে রীতিমতো ব্যবহার হচ্ছে মই। সম্প্রতি মই ব্যবহার করে পারাপারের একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ উঠেছে, মাথাপিছু ২ টাকার বিনিময়ে মই বসিয়ে লোকজন পারাপার করানো হচ্ছে। সেই মইটি বসানো হয়েছিল সাভার নিউ মার্কেট এলাকায়। যদিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর সেই কান্ড আর ঘটেনি। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুঁকি নিয়ে শত শত মানুষের পারাপারের দৃশ্য দেখা গেছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উলাইল-গেণ্ডা-থানা বাসস্ট্যান্ড-শিমুলতলা- সাভার বাসস্ট্যান্ডের রানা প্লাজা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় প্রবীণ, তরুন, নারী ও শিশুরাও ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে নিত্যদিন। দেখা গেছে, প্রতি ৫ মিনিটের মধ্যে কেউ না কেউ টপকে ডিভাইডার পার হচ্ছেন। কখনও একই সময়ে আবার দল বেঁধেও পারাপার হতে দেখা যাচ্ছে। পারাপারের সময় সবচেয়ে বিপাকে পড়ছেন প্রবীণ, নারী ও শিশুরা। রাস্তা পার হওয়া মানুষ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্টপেজগুলোতে লোকাল বাসগুলো সঠিক লেন দিয়ে প্রবেশ না করায় তাদের এভাবে সড়ক পার হতে হচ্ছে। অনেকে আবার ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে পারাপার হওয়াকে কষ্টকর মনে করছেন। তাই জোর করেই বাস সড়কের মাঝে থামিয়ে নেমে পড়ছেন। পথচারীদের এভাবে সড়ক পারাপার ঠেকাতে হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশের কোনো চেষ্টাই চোখে পড়ে না। নিউ মার্কেটের পাশেই কাঠের শো-পিসের দোকানি জলিল মুনশি বলেন, ‘ডিভাইডার দিছে দুই মাস। ডিভাইডারের দুই দিক দিয়েই গাড়ি চলাচল করে। পার হওয়ার সময় কোনো রকম পইরা গেলেই শ্যাষ। দুই দিক দিয়াই অনেক জোরে গাড়ি চলাচল করে। আর রাত-দিন মানুষ এমনই ঝুঁকি নিয়া পার হয়।আসলে অনেকে বাধ্য হইয়া পার হয় আর অনেকে কোনো কারণ ছাড়াই। এখানে কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই। পুলিশও কোনো সময় দেখি নাই যে বাধা দিছে। তারা একটু নজর দিলে মানুষ এভাবে জীবন হাতে নিয়া পার হতো না। মাথাপিছু ২ টাকা দিয়ে মই বেয়ে মানুষকে পারাপার করানো হচ্ছে সে বিষয়ে জানেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মই দিয়া পার করানো দেখি নাই। তবে মাঝে মধ্যে রিকশা-ভ্যানের ওপর চইরা মহিলারা অনেক কষ্ট কইরা ডিভাইডার পার হয়। আর শিমুলতলায় ডিভাইডারের সঙ্গে বালুর বস্তা দিয়া রাখছে পার হওয়ার জন্য। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুর রহমান বলেন, ‘প্রবলেম হচ্ছে শিমুলতলা থেকে সাভারের পাকিজা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় চারটা লেন করছে। বেশিরভাগ লোকাল বাস যানজট বা যে কোনো কারণে এই কারণে বাম সাইডের লেন দিয়ে না ঢুকে পাশের লেন দিয়ে ঢুকছে। তখন অনেকেই বাধ্য হয়ে অনেক ঘুরে আসতে হবে বিধায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার মধ্যেই নামছে। তারপর যে যার মতো ডিভাইডার টপকে পারাপার হচ্ছে। এটা আসলে সেইফ না। তবে কর্তৃপক্ষ চাইলে মানুষ পারাপারের জন্য পয়েন্ট করে দিতে। যাতে মানুষের চলাচলের সুবিধা হয়। পোশাক কারখানার শ্রমিক কুলসুম বেগম বলেন, ‘নবীনগর থাইকা ঠিকানা বাসে সাভার আইছি নিউমার্কেট যামু। বাস রাস্তার ভিতরে নামায় দিছে। বাম দিক দিয়া ঢোকে নাই। তহন বাধ্য হইয়া ডিভাইডার পার হইছি। ভয়ও লাগছে, কষ্ট হইছে। তয় কী করার?
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হাকিম বলেন, ‘পুলিশ তো আর সব সময় বইসা থাকে না। যখন আমগো পুলিশ যায়, তখন সামনে পড়লে নিষেধ করি। এরপরে বিভিন্ন সময় রাস্তাঘাট পার হওয়ার জন্য সচেতনতামূলক আমরা মিটিং করি। এখন যদি আপনে নিজের ইচ্ছায় রোড ডিভাইডার লাফ দিয়া পার হইয়া হুইয়া পড়েন, এটা কি পুলিশ ফেরাইতে পারবে?
‘দুর্ঘটনা যাতে না হয় এজন্য ফুটওভার ব্রিজের পাশে অনেকটা জায়গা ধইরা উঁচু করে ডিভাইডার দিছে। অ্যারপরেও যদি আপনে যায়্যা লাফ দিয়া পার হন সেটা ফিরাইব কীভাবে? সাভার ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) আব্দুস সালাম বলেন, ‘এটা কিন্তু আমি নিজের চোখেও দেখেছি। একটা জায়গায় না, একাধিক জায়গায় মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। সাভার রানা প্লাজা এলাকা থেকে শিমুলতলা পর্যন্ত একাধিক জায়গাতেএরকম পারাপার হচ্ছে। এই মানুষদের বিরুদ্ধে কি আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারি? আমি তো বুঝি না এটা কী করা যাইতে পারে? আমরা তো আসলে মোটরযান আইনে যানবাহনকে জরিমানা করি। এর বিরুদ্ধে কোসনো আইন আছে আমি এটা খুঁজে পাই না।
বাসচালকরা নিজেদের সুবিধার জন্য তাদের এমন জায়গায় নামিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে বাধ্য হয়েই ডিভাইডার পার হচ্ছেন তারা- এমন অভিযোগের বিষয়ে টিআই সালাম বলেন, ‘প্যাসেঞ্জার কেন ঝুঁকি নিয়ে নামবে? এখানে কিন্তু শুধু গাড়ি চালকদের দোষ না, ওই প্যাসেঞ্জারেরও অনেক দোষ আছে। কারণ, তার সুবিধামতো সে নামতে চায়। আপনি বাসে উঠলে খেয়াল করে দেখবেন, ওই প্যাসেঞ্জার গাড়িচালকদের জোর করে তার সুবিধামতো জায়গায় নামতে চায়। ঢাকা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন বলেন, এইটা কেউ ভায়োলেট করলে পুলিশ দেখবে। তাদের দায়িত্ব এটা। এটা নেগলেটের চেষ্টা করবে যারা তাদের এনফোর্সমেন্ট করবে পুলিশ।