চরফ্যাশন উপজেলা প্রতিনিধি :
ভোলার চরফ্যাশনে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, জনৈকা তহমিনা বেগম ও তাঁর স্বামী মৃত জয়নুল আবদীন এর খরিদা ও ওয়ারিশী সম্পত্তিতে আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আঃ মাজেদ গংরা জোর পূর্বক ভাবে ভেকু দিয়ে জমির মাটি কাটা ও ভবন নির্মাণের প্রতিকার ও প্রতিরোধের দাবীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। সম্প্রতি ভোলার চরফ্যাশন থানা এলাকায় ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তর্গত হাসানগঞ্জ ২নং ওয়ার্ড মৌজায় সন্ত্রাসী এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে এবং অভিযোগের বিবরণে প্রকাশ, চরফ্যাশন উপজেলার ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের হাসানগঞ্জ মৌজায় ৬৮নং জে.এলভুক্ত এস.এ ৫১৭ নং, ডিপি ১০৫৫ নং খতিয়ানের এস.এ দাগ নং ৯১৩ ও ৯২১, হালে ৩৭২৫, ৩৭২৩, ৩৭২৭ দাগে মোট ১.২৮ একর ভূমির খরিদা ও ওয়ারিশী মালিক মৃত সাবেক এন.এস.আই আলহাজ্ব মোঃ জয়নুল আবদীন ও তার স্ত্রী আলহাজ্ব তহমিনা বেগম বিদ্যমান রয়েছে।
পক্ষান্তরে, স্থানীয় আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম ডিগ্রী কলেজের ক্ষমতাধর অধ্যক্ষ মোঃ আঃ মাজেদ, সাং- হাসানগঞ্জ, ২নং ওয়ার্ড, চরফ্যাশন, ভোলা ও মোঃ কামাল (ঠিকাদার), প্রধান শিক্ষক, শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, থানাঃ শশীভূষণ, উপজেলাঃ চরফ্যাশন, জেলাঃ ভোলা সহ আরো কয়েকজন ভূমিদস্যু জোটবদ্ধ হয়ে একই সাকিনের জনৈক তহমিনা ও তার স্বামীর খরিদা ও ওয়ারিশী সম্পত্তিতে জোর পূর্বকভাবে আইন-কানুনের কোন তোয়াক্কা না করে কলেজের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করলে উহার বন্ধের জন্য চরফ্যাশন থানায় গত ১৬/০২/২০২১ইং তারিখে একটি সাধারণ ডায়েরী নং ৬২০ দায়েরে পর সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ রহস্যাবৃত্ত কারণে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করায় নির্মাণ কাজ বন্ধ না হয়ে উহা অব্যাহত থাকে। এ অভিযোগ কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মোঃ কয়ছর আহমেদ দুলাল এবং চরফ্যাশন থানাকে বারবার জানানো হলেও উহার প্রতিকার ও প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, অপরাধ জগতের গডফাদার ও ভয়ংকর দুর্নীতিবাজ স্বভাবের ক্ষমতাধর অধ্যক্ষ আবদুল মাজেদ, বজলু ও জাফর, সর্ব পিতা- মৃত ইদ্রিস পাটওয়ারী, ফুয়াদ, ফাহাদ, উভয় পিতা জাফর ও মোঃ মিরাজ, পিতা- বজলু পাটওয়ারী এবং হাশেম রাড়ী, রহিজল, পিতা- মোজাহের ভুট্টা, পিতা- অজ্ঞাত, নাশিম, পিতা- আজিজল শাহ আলম, আজিজল হক গংদের জোটবদ্ধ ভুমিদস্যু এই চক্রটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এ চক্রটি অভিযোগকারী তহমিনা ও তার স্বামীর ওয়ারিশী ও ক্রয়কৃত ১০ (দশ) কানি জমিতে জোর জবরদস্তি মূলকভাবে চাষাদেরকে মারধর করে বিতাড়িত করার কথাও বলা হয়েছে।
অধ্যক্ষ আঃ মাজেদ ও তার ভাইয়েরা এতটাই ক্ষমতাধর, তারা এলাকাটিকে অভয়ারণ্যে পরিণত করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে গত ০৫/১০/২০২০ইং তারিখে আইনের আশ্রয় নিয়ে থানায় করা জিডি নং ১৭৩ দায়ের করা হলেও উহার কোন প্রতিকার হয়নি। বরং অভিযোগকারী তহমিনার স্বামী জয়নুল আবেদীনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঐদিন রাতেই ভুমিদস্যু মাজেদ গংরা ভেকু মেশিন দিয়ে তাদের (তহমিনা গংদের) জমিতে দুটি পুকুর খননেরও অভিযোগ রয়েছে।
এ সববিষয়ে স্থানীয় সাংসদের বরাবরে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দিলেও অধ্যক্ষকে থামানো যায়নি। সেই সঙ্গে দুর্নীতিবাজ কলেজ অধ্যক্ষ ৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করার অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে তহমিনা বেগম উক্ত তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির ওয়ারিশী ও খরিদা মালিক দাবী করে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, সন্ত্রাসী এ চক্রটির অত্যাচার ও উৎপীড়নে জীবন নাশে আশংকা রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আঃ মাজেদ এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে উহা রিসিভ না হওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি ।