ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে চারটি দোকান ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ। গাছবাড়ীয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের সমম্বয় সমিতি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত- সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফখরু উদ্দিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনার ফুলতলায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচি। –চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ আটক চোর চক্রের পলাতক তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; চোরাইকৃত আরো তিনটি ইজিবাইক এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ। চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া …

২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে কমলনগরে আ’লীগের প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল

ভাস্কর মজুমদার (নিজস্ব প্রতিবেদক); রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্হ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২০০৪ সনের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। ২১ আগস্ট রোববার বিকেলে উপজেলার প্রানকেন্দ হাজিরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় স্হানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছা সেবকলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষক লীগসহ সকল অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন। উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট একেএম নূরুল আমিন রাজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মো. হাজি মনিরুল হক, উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক সাগর, উপজেলার হাজির হাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. মোয়াজ্জম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুছ ছাত্তার, যুবলীগ নেতা ও বিশিষ্ঠ দানবীর এইচ এম শান্ত, উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন রাসেল, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি ডাক্তার মো. হারুনর রশিদ, সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মো. মহিউদ্দিন সোহেল, ছাত্রলীগ সভাপতি মো. রাকিব হোসেন সোহেল।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ কমিটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সদস্য আব্দুর জাহের সাজু, আওয়ামীলীগ নেতা মো. শামিম হাওলাদার, চর কাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি নূরুল ইসলাম সাগর ও চর কাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবু ডালিম কুমার দাস, তোরাবগন্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সল আহম্মদ রতন, কমল নগর উপজেলা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ভাস্কর মজুমদার। এছাড়া কৃষকগীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছা সেবকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীসহ আরও উপস্থিত ছিলেন সংবাদ কর্মী, সুশীল সমাজের মানুষ।

বক্তারা বলেন, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্হ দলের কেন্দ্রীয় অফিসেে সামনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার এক সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলো ২৪ জন। ঘটনাটি একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা হিসেবে পরিচিত। ওই হামলায় আশেপাশের এলাকাই শুধু কেঁপে ওঠেনি বরং এটি নাড়িয়ে দিয়েছিল পুরো দেশকে। তৎকালীন বিএনপি- জামাত সরকারকে হামলার জন্যে প্ল্যান-বি তে যেতে হয়েছিল। তবে সেই সময় বিরোধীদলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অল্পের জন্য মৃত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। যদিও আজও তিনি সেই হামলার পরিণতি বহন করছেন নিজের শরীরে। ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বিএনপি-জামাত সরকার কোনো প্রচেষ্টা বাদ রাখেনি। ক্ষতিগ্রস্তদের দোষারোপ করা, দ্রুত সমস্ত প্রমাণ নষ্ট করা, মামলা নথিভুক্ত না করা ও অভিযানের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে জজ মিয়ার নাটক উত্থাপন করে।
একদিকে যখন সরকার নিজেদের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, অপরদিকে তারা দায়ীদের দায়মুক্তি দিতে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছিল। যেন ভবিষ্যতেও ন্যায় বিচার করা সম্ভব না হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যার প্রায় ৩০ বছর পর শেখ হাসিনাকে হত্যার চক্রান্ত যে তার পরিবার ও দলকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা সেটি জনগণ ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিল। বঙ্গবন্ধুর অকাল মৃত্যু দেশে একটি পাকিস্তানপন্থী, ভারত-বিরোধী ও ধর্মভিত্তিক সরকারকে ক্ষমতায় এনেছিল। যাদের নেপথ্যে সমর্থনে ছিলেন সেনাবাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। অভ্যুত্থানের এক সপ্তাহের মধ্যে জিয়া সেনাপ্রধান হন ও ইনডেমনিটি আইন পাস করে ঘাতকদের রক্ষা করেন এবং বিদেশে পাঠিয়ে দেন। পঁচাত্তরের গণহত্যা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠন ও জামাত-ই-ইসলাম এর পুনর্বাসন ঘটিয়েছিল। স্বাধীনতার পরে জাতির পিতার নিষিদ্ধ করা দলটি ফের রাজনীতিতে ফিরতে পেরেছিল।
২১শে আগস্টের হামলা ছিল রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সমমনা সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতা দখলে বিএনপি-জামাতের মাস্টার প্ল্যানের একটি অংশ। শেখ হাসিনা যেখান থেকে সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন, সেই ট্রাক ও আশপাশের এলাকায় গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। হাসিনাকে তার দলীয় সহকর্মী এবং নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা গঠিত একটি মানব ঢাল দ্বারা রক্ষা করা হলেও বিস্ফোরণের কারণে তিনি শ্রবণ প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। এতে মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ অন্তত ২৪ জন নিহত এবং কয়েক শতাধিক গুরুতর আহত হন।
আলামত নষ্ট করা ছাড়াও মাস্টারমাইন্ডরা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধা দেয়। এছাড়া আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা মামলা করতে চাইলে পুলিশ সেই মামলা নেয়নি। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ওই ঘটনার জন্যে পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী হরকাত-উল-জিহাদ আল-ইসলামির (হুজি) বাংলাদেশ শাখার উপর দোষ চাপাতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, জঙ্গিরা নিজেদের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে হামলা চালায়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী

২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে কমলনগরে আ’লীগের প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল

আপডেট টাইম ০৬:২৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২

ভাস্কর মজুমদার (নিজস্ব প্রতিবেদক); রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্হ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২০০৪ সনের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। ২১ আগস্ট রোববার বিকেলে উপজেলার প্রানকেন্দ হাজিরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় স্হানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছা সেবকলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষক লীগসহ সকল অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন। উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট একেএম নূরুল আমিন রাজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মো. হাজি মনিরুল হক, উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক সাগর, উপজেলার হাজির হাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. মোয়াজ্জম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুছ ছাত্তার, যুবলীগ নেতা ও বিশিষ্ঠ দানবীর এইচ এম শান্ত, উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন রাসেল, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি ডাক্তার মো. হারুনর রশিদ, সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মো. মহিউদ্দিন সোহেল, ছাত্রলীগ সভাপতি মো. রাকিব হোসেন সোহেল।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ কমিটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সদস্য আব্দুর জাহের সাজু, আওয়ামীলীগ নেতা মো. শামিম হাওলাদার, চর কাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি নূরুল ইসলাম সাগর ও চর কাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবু ডালিম কুমার দাস, তোরাবগন্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সল আহম্মদ রতন, কমল নগর উপজেলা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ভাস্কর মজুমদার। এছাড়া কৃষকগীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছা সেবকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীসহ আরও উপস্থিত ছিলেন সংবাদ কর্মী, সুশীল সমাজের মানুষ।

বক্তারা বলেন, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্হ দলের কেন্দ্রীয় অফিসেে সামনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার এক সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলো ২৪ জন। ঘটনাটি একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা হিসেবে পরিচিত। ওই হামলায় আশেপাশের এলাকাই শুধু কেঁপে ওঠেনি বরং এটি নাড়িয়ে দিয়েছিল পুরো দেশকে। তৎকালীন বিএনপি- জামাত সরকারকে হামলার জন্যে প্ল্যান-বি তে যেতে হয়েছিল। তবে সেই সময় বিরোধীদলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অল্পের জন্য মৃত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। যদিও আজও তিনি সেই হামলার পরিণতি বহন করছেন নিজের শরীরে। ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বিএনপি-জামাত সরকার কোনো প্রচেষ্টা বাদ রাখেনি। ক্ষতিগ্রস্তদের দোষারোপ করা, দ্রুত সমস্ত প্রমাণ নষ্ট করা, মামলা নথিভুক্ত না করা ও অভিযানের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে জজ মিয়ার নাটক উত্থাপন করে।
একদিকে যখন সরকার নিজেদের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, অপরদিকে তারা দায়ীদের দায়মুক্তি দিতে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছিল। যেন ভবিষ্যতেও ন্যায় বিচার করা সম্ভব না হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যার প্রায় ৩০ বছর পর শেখ হাসিনাকে হত্যার চক্রান্ত যে তার পরিবার ও দলকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা সেটি জনগণ ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিল। বঙ্গবন্ধুর অকাল মৃত্যু দেশে একটি পাকিস্তানপন্থী, ভারত-বিরোধী ও ধর্মভিত্তিক সরকারকে ক্ষমতায় এনেছিল। যাদের নেপথ্যে সমর্থনে ছিলেন সেনাবাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। অভ্যুত্থানের এক সপ্তাহের মধ্যে জিয়া সেনাপ্রধান হন ও ইনডেমনিটি আইন পাস করে ঘাতকদের রক্ষা করেন এবং বিদেশে পাঠিয়ে দেন। পঁচাত্তরের গণহত্যা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠন ও জামাত-ই-ইসলাম এর পুনর্বাসন ঘটিয়েছিল। স্বাধীনতার পরে জাতির পিতার নিষিদ্ধ করা দলটি ফের রাজনীতিতে ফিরতে পেরেছিল।
২১শে আগস্টের হামলা ছিল রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সমমনা সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতা দখলে বিএনপি-জামাতের মাস্টার প্ল্যানের একটি অংশ। শেখ হাসিনা যেখান থেকে সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন, সেই ট্রাক ও আশপাশের এলাকায় গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। হাসিনাকে তার দলীয় সহকর্মী এবং নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা গঠিত একটি মানব ঢাল দ্বারা রক্ষা করা হলেও বিস্ফোরণের কারণে তিনি শ্রবণ প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। এতে মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ অন্তত ২৪ জন নিহত এবং কয়েক শতাধিক গুরুতর আহত হন।
আলামত নষ্ট করা ছাড়াও মাস্টারমাইন্ডরা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধা দেয়। এছাড়া আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা মামলা করতে চাইলে পুলিশ সেই মামলা নেয়নি। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ওই ঘটনার জন্যে পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী হরকাত-উল-জিহাদ আল-ইসলামির (হুজি) বাংলাদেশ শাখার উপর দোষ চাপাতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, জঙ্গিরা নিজেদের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে হামলা চালায়।