ঢাকা ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

কুমিল্লা ও ত্রিপুরা সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়নে ৪,শ কি:মি: পথ পাড়ি দিল সাইক্লিষ্টারা।

মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার

আগেই পরিকল্পনা করা করেছিলাম এবার
দেশের মধ্যে নয়, দেশের বাইরে গিয়ে সাইকেলে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া হবে। সেই সাথে প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি দেখা হবে।
সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরা ভারতের আগরতলা সাইকোহলিরা এর সাথে যোগাযোগ করি। তাদের অন্ততপূর্ব সাড়া পেলাম। আমাদের লক্ষ্য ছিলো ত্রিপুরার সাথে কুমিল্লার বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়ণ। কথাগুলো বলছিলেন ট্রাভেল এজেন্সি ট্রিপ বিডি এডভেন্সার এ্যান্ড ডানিজদের স্বত্তাধিকারী আরিফুর রহমান
উজ্জল কুমিল্লার ট্রাভেলার হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। গত কয়েক বছর ধরে তিনি নিয়মিত সাইক্লিং উজ্জ্বল বলেন, গত ১ জুলাই কুমিল্লা থেকে আমরা সাইকেলে যাত্রা শুরু করি। আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে। আমরা ভারতে প্রবেশ করি। আখাউড়া পর্যন্ত ১২ জনের একটি দল আমাদেরকে এগিয়ে দেয়। বিকেল ৩ টায় বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে আমরা ভারতে প্রবেশ করি। ওই সময়ে আমাদেরকে স্বাগত জানায় আগরতলা সাইকোহলিকস ফাউন্ডেশন। ওরা সাইক্লিং করে।
আমরা এই ইভেন্টের নাম দিয়েছিলাম বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ডশীপ রাইড। আমাদেরকে স্পন্সর করে
বাফারলেস, হোটেল ছন্দু ও ত্রিপুরা ট্যুরিজম।
আমাদের আনুষ্ঠানিক সাইক্লিং শুরু হয় ২ জুলাই থেকে। সেদিন আমরা আগরতলা রাজবাড়ি উ প্যালেস থেকে যাত্রা শুরু করি। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা ট্যুরিজমের পরিচালক তরিত কি ডাকমা। ওই রাইডে আমি দল নেতা ছিলাম। আমাদের দলে ছিলেন মোহাম্মদ গোলাম হাকানী ও বাংলা চ্যানেল ফিনিশার আল আমিন অনিক। এছাড়াও আমাদের সাথে ভারতের ৮ জন সাইক্লিস্টও অংশ গ্রহণ করেন।
প্রথম দিন আমরা ত্রিপুরার বক্সনগর বৌদ্ধ বিহার, নিরমহল, মেলাঘর হয়ে সোনামুড়া যাই। তারপর রাত্রি। যাপন করি। দ্বিতীয় দিন দুনিয়া হয়ে লাইবাড়িতে সাইক্লিং করি। তৃষ্ণা অভ্যাগ্য, ছবি টিলা সেদিনের মত রাইড বন্ধ করে রাত্রি যাপন করি ।
তৃতীয় দিনে পিলাক প্রত্নতত্ত্ব স্থাপনা পরিদর্শণ করে যতনবাড়ির দিকে সাইক্লিং করি। সেখানে তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ শিলাছড়িতে রাইড করি। ওই শিলাছড়ি থেকে বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি উপজেলার পানছড়ি, সাজেকের পর্বত শ্রেণী স্পট দেখা যায়।
চতুর্থ দিন যতনবাড়ি থেকে ডাম্বুর লেকের নারকেলকুণ পর্যন্ত ৭৬ কিঃমি রাইড করি। এই এলাকাটি পাহাড়বেষ্টিত। এটা আসলের কুমিল্লার উপর দিয়ে যে গোমতী নদী বয়ে গেছে সে নদীর উৎপত্তিস্থল। নারকেলকুভাতে আমরা ক্যাম্প করে রাত্রি যাপন করি।
পঞ্চম দিন আমরা নারকেলকুঞ্জ থেকে অমরপুরের ছবিমূড়া যাই। সেখানে লেকের ভেতরে দেবদেবির মূর্তি খোদাই করা আছে। ষষ্ঠ দিন আমরা কালাজাড়ি পাহাড়ে রাইড করি। এটা আগরতলার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ। এর পর হলে যাই উদাপুরে। সেখানে ত্রিপুরা রাজাদের পুরনো স্থাপনা ঘুরে দেখেছি। পরে আগরতলা শহীদ কাতসিং সরকারী ইয়ুথ হোস্টেলে রাত্রি যাপন করি।

কুমিল্লা সাইক্লিং দলের অন্য দুই সদস্য মোহাম্মদ গোলাম হাজানী ও আলামিন আর্কিক তাদের অনুভ, ভি ব্যক্ত করে বলেন, এই ভারতের আগরতলা ও আশেপাশের এলাকাগুলোতে রাইত করে সাধারণ এক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমরা যখন বিভিন্ন এলাকা দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলাম তখন অন্তত ৩৭ টি স্পটে আমাদেরকে পানির বোতল, কেক, জুস, লাচ্ছি, কোল্ড ড্রিংকস, কলা, চকলেট, আনারস পেঁপে দিয়ে আপ্যায়ন করেছেন স্থানীয়রা। এই অনুভতির কথা বলে বুঝানো যাবে না।
এ ক’দিনে আমরা দক্ষিন ত্রিপুরার প্রধান প্রধান শহর সাইক্লিং করে সাড়ে ৪ শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেই। ফেরার দিন ৮ জুলাই আগরতলায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি ও ভারপ্রাপ্ত উপ হাউ কমিশনার রেজাউল হক চৌধুরীর সাথে আমরা দেখা করি। তারপরে দেশের মাটিতে। আখাউড়া থেকে আবারো সাইকেলে করে কুমিল্লায়

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

কুমিল্লা ও ত্রিপুরা সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়নে ৪,শ কি:মি: পথ পাড়ি দিল সাইক্লিষ্টারা।

আপডেট টাইম ১০:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ অগাস্ট ২০২২

মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার

আগেই পরিকল্পনা করা করেছিলাম এবার
দেশের মধ্যে নয়, দেশের বাইরে গিয়ে সাইকেলে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া হবে। সেই সাথে প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি দেখা হবে।
সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরা ভারতের আগরতলা সাইকোহলিরা এর সাথে যোগাযোগ করি। তাদের অন্ততপূর্ব সাড়া পেলাম। আমাদের লক্ষ্য ছিলো ত্রিপুরার সাথে কুমিল্লার বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়ণ। কথাগুলো বলছিলেন ট্রাভেল এজেন্সি ট্রিপ বিডি এডভেন্সার এ্যান্ড ডানিজদের স্বত্তাধিকারী আরিফুর রহমান
উজ্জল কুমিল্লার ট্রাভেলার হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। গত কয়েক বছর ধরে তিনি নিয়মিত সাইক্লিং উজ্জ্বল বলেন, গত ১ জুলাই কুমিল্লা থেকে আমরা সাইকেলে যাত্রা শুরু করি। আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে। আমরা ভারতে প্রবেশ করি। আখাউড়া পর্যন্ত ১২ জনের একটি দল আমাদেরকে এগিয়ে দেয়। বিকেল ৩ টায় বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে আমরা ভারতে প্রবেশ করি। ওই সময়ে আমাদেরকে স্বাগত জানায় আগরতলা সাইকোহলিকস ফাউন্ডেশন। ওরা সাইক্লিং করে।
আমরা এই ইভেন্টের নাম দিয়েছিলাম বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ডশীপ রাইড। আমাদেরকে স্পন্সর করে
বাফারলেস, হোটেল ছন্দু ও ত্রিপুরা ট্যুরিজম।
আমাদের আনুষ্ঠানিক সাইক্লিং শুরু হয় ২ জুলাই থেকে। সেদিন আমরা আগরতলা রাজবাড়ি উ প্যালেস থেকে যাত্রা শুরু করি। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা ট্যুরিজমের পরিচালক তরিত কি ডাকমা। ওই রাইডে আমি দল নেতা ছিলাম। আমাদের দলে ছিলেন মোহাম্মদ গোলাম হাকানী ও বাংলা চ্যানেল ফিনিশার আল আমিন অনিক। এছাড়াও আমাদের সাথে ভারতের ৮ জন সাইক্লিস্টও অংশ গ্রহণ করেন।
প্রথম দিন আমরা ত্রিপুরার বক্সনগর বৌদ্ধ বিহার, নিরমহল, মেলাঘর হয়ে সোনামুড়া যাই। তারপর রাত্রি। যাপন করি। দ্বিতীয় দিন দুনিয়া হয়ে লাইবাড়িতে সাইক্লিং করি। তৃষ্ণা অভ্যাগ্য, ছবি টিলা সেদিনের মত রাইড বন্ধ করে রাত্রি যাপন করি ।
তৃতীয় দিনে পিলাক প্রত্নতত্ত্ব স্থাপনা পরিদর্শণ করে যতনবাড়ির দিকে সাইক্লিং করি। সেখানে তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ শিলাছড়িতে রাইড করি। ওই শিলাছড়ি থেকে বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি উপজেলার পানছড়ি, সাজেকের পর্বত শ্রেণী স্পট দেখা যায়।
চতুর্থ দিন যতনবাড়ি থেকে ডাম্বুর লেকের নারকেলকুণ পর্যন্ত ৭৬ কিঃমি রাইড করি। এই এলাকাটি পাহাড়বেষ্টিত। এটা আসলের কুমিল্লার উপর দিয়ে যে গোমতী নদী বয়ে গেছে সে নদীর উৎপত্তিস্থল। নারকেলকুভাতে আমরা ক্যাম্প করে রাত্রি যাপন করি।
পঞ্চম দিন আমরা নারকেলকুঞ্জ থেকে অমরপুরের ছবিমূড়া যাই। সেখানে লেকের ভেতরে দেবদেবির মূর্তি খোদাই করা আছে। ষষ্ঠ দিন আমরা কালাজাড়ি পাহাড়ে রাইড করি। এটা আগরতলার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ। এর পর হলে যাই উদাপুরে। সেখানে ত্রিপুরা রাজাদের পুরনো স্থাপনা ঘুরে দেখেছি। পরে আগরতলা শহীদ কাতসিং সরকারী ইয়ুথ হোস্টেলে রাত্রি যাপন করি।

কুমিল্লা সাইক্লিং দলের অন্য দুই সদস্য মোহাম্মদ গোলাম হাজানী ও আলামিন আর্কিক তাদের অনুভ, ভি ব্যক্ত করে বলেন, এই ভারতের আগরতলা ও আশেপাশের এলাকাগুলোতে রাইত করে সাধারণ এক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমরা যখন বিভিন্ন এলাকা দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলাম তখন অন্তত ৩৭ টি স্পটে আমাদেরকে পানির বোতল, কেক, জুস, লাচ্ছি, কোল্ড ড্রিংকস, কলা, চকলেট, আনারস পেঁপে দিয়ে আপ্যায়ন করেছেন স্থানীয়রা। এই অনুভতির কথা বলে বুঝানো যাবে না।
এ ক’দিনে আমরা দক্ষিন ত্রিপুরার প্রধান প্রধান শহর সাইক্লিং করে সাড়ে ৪ শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেই। ফেরার দিন ৮ জুলাই আগরতলায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি ও ভারপ্রাপ্ত উপ হাউ কমিশনার রেজাউল হক চৌধুরীর সাথে আমরা দেখা করি। তারপরে দেশের মাটিতে। আখাউড়া থেকে আবারো সাইকেলে করে কুমিল্লায়