ঢাকা ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার দুমকী উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা-পাল্টা হামলা বাকেরগঞ্জের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এমপির কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করছেন একটি কুচক্রী মহল।। “ভাইয়া গ্রুপ প্রথম বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন,আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্টের শেয়ার বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছেন” “এনএফএস’র নতুন কমিটি গঠন সভাপতি রাহাত, সম্পাদক হাসান” গজারিয়ায় তিতাসের অভিযান পাঁচ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন চুরি প্রতিরোধে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো।

নদীভাঙনে হুমকির মুখে বাউফলের কাছিপাড়া।

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ অব্যাহত নদীর ভাঙনে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা নদীর বাহেরচর থেকে পশ্চিম কাছিপাড়া (গোপালিয়া) হয়ে পশ্চিম কাছিপাড়া লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
তইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে মানচিত্র থেকে চর রঘুন্নদি, হাজীপুর, পশ্চিম কাছিপাড়া গ্রামসহ ঐসব গ্রামের শতশত বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও গাছপালা। অব্যাহত ভাঙনের হুমকীর মধ্যে রয়েছে চররঘুন্নদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিস্যাজাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সহ পশ্চিম কাছিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এদের মধ্যে চররঘুন্নদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিস্যাজাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একেবারে ভাঙনের মুখে রয়েছে। এছাড়াও বাহেরচর বাজারসহ বাহেরচর বাজার মসজিদসহ আশেপাশের বসতবাড়ির লোকজন চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
নদী ভাঙনের করলে পড়ে বাড়িঘরসহ ভিটে মাটি হারানো কাছিপাড়া ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার তৈয়ুবুর রহমান জানান, বাহেরচর বাজার লঞ্চঘাট এলাকায় তার বসতবাড়িটি সম্পূর্ণ হারিয়েছেন, দীর্ঘ্য কয়েকবছরের অব্যাহত ভাঙনের মুখে তিনি তার বসতবাড়িটি এ বছর সম্পূর্ণ হারিয়েছেন। এখন যেখানে বাড়ি করেছি সেটি বাহেরচর বাজার সংলগ্ন এলাকায় কিন্তু এটিও হুমকীর মধ্যে রয়েছে তাতে মনে হয় এ বছরও তার বাড়ি পুনরায় এখান থেকে সড়াতে হবে।
চররঘুন্নদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন সিকদার জানান, তার প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী থেকে মাত্র ৫০ ফুট দূরে রয়েছে, অব্যাহত নদী ভাঙনের হুমকীর মুখে রয়েছে তার স্কুলটি। বিষয়টি তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েছেন। চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম জানান, কারখানা নদীর ভাঙন দীর্ঘ্য ২০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত চলছে, ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে একাধিক গ্রামসহ শতশত ঘরবাড়ি ফসলি জমি। বিষয়টি তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছেন।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. অরিফুর রহমান জানান, কারখানা নদীর ভাঙন ১৫ থেকে ২০ দিন আগ থেকে বাহেরচর এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। বাহেরচর বাজারসহ কয়েকটি প্রাইমারি স্কুলসহ ৭ থেকে ৮ শ’ মিটার এলাকা ভাঙনের হুমকীর মুখে রয়েছে। আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে প্রাথমিকভাবে জরুরি ভিক্তিতে ২৫০ মিটার এলাকায় জিওব্যাগের মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করা হবে। এতে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে, পরে অনুমতি সাপেক্ষে বাকী কাজ করা হবে।
###

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার

নদীভাঙনে হুমকির মুখে বাউফলের কাছিপাড়া।

আপডেট টাইম ০১:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ অব্যাহত নদীর ভাঙনে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা নদীর বাহেরচর থেকে পশ্চিম কাছিপাড়া (গোপালিয়া) হয়ে পশ্চিম কাছিপাড়া লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
তইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে মানচিত্র থেকে চর রঘুন্নদি, হাজীপুর, পশ্চিম কাছিপাড়া গ্রামসহ ঐসব গ্রামের শতশত বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও গাছপালা। অব্যাহত ভাঙনের হুমকীর মধ্যে রয়েছে চররঘুন্নদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিস্যাজাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সহ পশ্চিম কাছিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এদের মধ্যে চররঘুন্নদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিস্যাজাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একেবারে ভাঙনের মুখে রয়েছে। এছাড়াও বাহেরচর বাজারসহ বাহেরচর বাজার মসজিদসহ আশেপাশের বসতবাড়ির লোকজন চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
নদী ভাঙনের করলে পড়ে বাড়িঘরসহ ভিটে মাটি হারানো কাছিপাড়া ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার তৈয়ুবুর রহমান জানান, বাহেরচর বাজার লঞ্চঘাট এলাকায় তার বসতবাড়িটি সম্পূর্ণ হারিয়েছেন, দীর্ঘ্য কয়েকবছরের অব্যাহত ভাঙনের মুখে তিনি তার বসতবাড়িটি এ বছর সম্পূর্ণ হারিয়েছেন। এখন যেখানে বাড়ি করেছি সেটি বাহেরচর বাজার সংলগ্ন এলাকায় কিন্তু এটিও হুমকীর মধ্যে রয়েছে তাতে মনে হয় এ বছরও তার বাড়ি পুনরায় এখান থেকে সড়াতে হবে।
চররঘুন্নদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন সিকদার জানান, তার প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী থেকে মাত্র ৫০ ফুট দূরে রয়েছে, অব্যাহত নদী ভাঙনের হুমকীর মুখে রয়েছে তার স্কুলটি। বিষয়টি তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েছেন। চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম জানান, কারখানা নদীর ভাঙন দীর্ঘ্য ২০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত চলছে, ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে একাধিক গ্রামসহ শতশত ঘরবাড়ি ফসলি জমি। বিষয়টি তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছেন।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. অরিফুর রহমান জানান, কারখানা নদীর ভাঙন ১৫ থেকে ২০ দিন আগ থেকে বাহেরচর এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। বাহেরচর বাজারসহ কয়েকটি প্রাইমারি স্কুলসহ ৭ থেকে ৮ শ’ মিটার এলাকা ভাঙনের হুমকীর মুখে রয়েছে। আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে প্রাথমিকভাবে জরুরি ভিক্তিতে ২৫০ মিটার এলাকায় জিওব্যাগের মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করা হবে। এতে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে, পরে অনুমতি সাপেক্ষে বাকী কাজ করা হবে।
###