ঢাকা ০৯:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার।

অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা : ড. কামাল

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :   জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া তো দূরের কথা নির্বাচনই আদৌ হবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।আজ রবিবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ড. কামাল হোসেনকে প্রশ্ন করা হয় নির্বাচনের আর মাত্র ১৪ দিন আছে। এখনও আপনাদের দাবি আপনারা মাঠে দাঁড়াতে পারছেন না। এ অবস্থায় নির্বাচন কেমন হবে বলে আপনি মনে করেন।

জবাবে ড. কামাল বলেন, আমরাতো মাঠ ছাড়ি নাই। কিন্তু কিভাবে আছি তাতো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। আমাদের উপর হামলা হচ্ছে, প্রার্থীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ অবস্থায় এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া তো দূরের কথা নির্বাচনই হবে কি হবে না তা নিয়ে আশঙ্কা আছে।

চিঠি দেওয়ার পর রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সাড়া পাবেন কিনা, জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন, ডাক আমরা এখনো পাইনি, আশা করছি পাবো।

প্রার্থীদের ওপর হামলা হলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ভোটারদের হুমকি দেয়া হচ্ছে, যারা মিছিল করছে তাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে, প্রার্থীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। এসব ঘটনার পরেও কোনো তদন্ত হয় না, কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করে। এদের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এটাই হল সংবিধানের কর্তব্য। এসব কর্তব্য করার ব্যাপারে আমরা ঘাটতি দেখছি।

সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, এর আগে বাংলাদেশের কোনও নির্বাচনে প্রার্থীদের গ্রেফতার করার নজির নেই। এবার প্রার্থীদেরও গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাহলে নির্বাচন হবে কীভাবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ নেই উল্লেখ করে রব বলেন, আমরা নির্বাচন করতে চাই। ১৯৭১ সালে মানুষ অস্ত্র দিয়ে জবাব দিয়েছে। এবার লাঠি হাতে হলেও জবাব দেবে। সরকারকে বলবো এখনও সময় আছে, সংযত হয়ে হামলা-মামলা বন্ধ করুন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা।

অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা : ড. কামাল

আপডেট টাইম ০২:২০:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :   জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া তো দূরের কথা নির্বাচনই আদৌ হবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।আজ রবিবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ড. কামাল হোসেনকে প্রশ্ন করা হয় নির্বাচনের আর মাত্র ১৪ দিন আছে। এখনও আপনাদের দাবি আপনারা মাঠে দাঁড়াতে পারছেন না। এ অবস্থায় নির্বাচন কেমন হবে বলে আপনি মনে করেন।

জবাবে ড. কামাল বলেন, আমরাতো মাঠ ছাড়ি নাই। কিন্তু কিভাবে আছি তাতো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। আমাদের উপর হামলা হচ্ছে, প্রার্থীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ অবস্থায় এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া তো দূরের কথা নির্বাচনই হবে কি হবে না তা নিয়ে আশঙ্কা আছে।

চিঠি দেওয়ার পর রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সাড়া পাবেন কিনা, জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন, ডাক আমরা এখনো পাইনি, আশা করছি পাবো।

প্রার্থীদের ওপর হামলা হলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ভোটারদের হুমকি দেয়া হচ্ছে, যারা মিছিল করছে তাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে, প্রার্থীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। এসব ঘটনার পরেও কোনো তদন্ত হয় না, কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করে। এদের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এটাই হল সংবিধানের কর্তব্য। এসব কর্তব্য করার ব্যাপারে আমরা ঘাটতি দেখছি।

সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, এর আগে বাংলাদেশের কোনও নির্বাচনে প্রার্থীদের গ্রেফতার করার নজির নেই। এবার প্রার্থীদেরও গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাহলে নির্বাচন হবে কীভাবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ নেই উল্লেখ করে রব বলেন, আমরা নির্বাচন করতে চাই। ১৯৭১ সালে মানুষ অস্ত্র দিয়ে জবাব দিয়েছে। এবার লাঠি হাতে হলেও জবাব দেবে। সরকারকে বলবো এখনও সময় আছে, সংযত হয়ে হামলা-মামলা বন্ধ করুন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।