চট্টগ্রাম প্রতিনিধ:
চাঁদপুর জেলা শাহরাস্তি উপজেলা রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়ন রশিদপুর হাজী বাড়ি মোঃ মিজানুর রহমান নামে এই নির্মমতার স্বীকার হয়েছেন মোঃ ইব্রাহিম খলিল নামে এক সরল ব্যাক্তি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রশিদপুর হাজী বাড়ি মৃত্যু হাজী ছেরাজুল হক,র তিন পুত্র,চার কন্যা ও এক স্ত্রী,র মাঝে এর সম্পত্তি নিয়ে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
জানা যায়, মৃত্যু হাজী ছেরাজুল হক এর মৃত্যু পর ২০০০ সালে এলাকার গন্যমার্ন্য ব্যাক্তিদের সম্নয় পবিত্র কোরআন মাজীদের নিয়ম অনুযায়ী ফরায়েজ মোতাবেক যার যার সম্পত্তি তাদের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তার মধ্যে চার কন্যার ও এক স্ত্রী সম্পত্তি ছোট ছেলে মিজানের সাথে সংযুক্ত করে নেয়। মিজান সবার সম্পত্তি তার সাথে সংযুক্ত করার পর মা ও বোনদের কে তার নামে সম্পত্তি দলিল করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যাবহার করে। মিজানের সকল কৌশল ব্যর্থ হওয়ার পর সেই তার বোন,ও মায়ের উপর মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে। মিজানের বোন তাদের বাপের বাড়ি গেলে সেই তার বোনদের কে বিভিন্ন ধরনের লাঠি ও গাছের ডাল দিয়ে পিটাতো।
বোনেরা তাদের অধিকারের প্রাপ্ত সম্পত্তি পাওয়ার জন্য রায়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে অভিযোগ করে।অভিযোগের পরিপেক্ষিতে গ্রাম আদালত থেকে পর পর তিনটি নোটিশ করে। মিজান তার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গ্রাম আদালতের নোটিশ অবমাননা করেন।
উক্ত বিষয় সমাধানের জন্য ইউ,পি সদস্য জামাল হোসেনের নেতৃত্ব গত ১২/০৭/২০২২ ইং মঙ্গলবার সকাল ০৯ঃ৩০ ঘটিকায় মিজানের বসত ঘরের সামনে এলাকায় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের কে নিয়ে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলাকালীন সকাল ১০ঃ৩০ ঘটিকায় হঠাৎ উপস্থিত সকলের সামনে মিজান বলে সেই বোনদের সম্পত্তি দিবে না। কেন বোনদের সম্পত্তি দিবে না? তার ভাগিনা ইব্রাহিম খলিল মিজান প্রশ্ন করলে মিজান সকলের সামনে ইব্রাহিম খলিল, র উপর লাটি, টেডা জাতীয় অস্ত্র দিয়ে ইব্রাহিম পন্ডিত, র উপর আক্রমণ শুরু করে। এবং উপস্থিত জনতা ইব্রাহিম খলিল, র শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটলে তাকে শাহরাস্তি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং তার শরীরের প্রচন্ড রক্তক্ষরনের কারনে ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উক্ত ঘটনার সূত্রপাতের সাথে সাথে খিলা পুলিশ ফাড়িঁ থেকে এস,আই রফিকুল ইসলাম, র সঙ্গী ফোস নিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করেন।
শাহরাস্তি মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আঃ মান্নান জানান,ঘটনার পরিপেক্ষিতে ভিকটিম থানায় অভিযোগ করেছে। আসামিদের ধরার জন্য চেষ্টা করছে।অতি দ্রুত আসামি পুলিশের কাছে ধরা পড়ে যাবে।