মোঃ মশিউর রহমা,টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ধলেশ্বরী নদী। অল্প বর্ষায় পানিবন্দি হয়ে পড়ে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। চলতি বর্ষায় এ অঞ্চলে তেমন পানি না থাকলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়কের সেতুর অ্যাপ্রোচ ধসে উপজেলা ও জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ।
সম্প্রতি দেলদুয়ার উপজেলার এ্যালংজানী নদীর ওপর সিলিমপুর সেতুটি ধসে এ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। ফলে এ অঞ্চলের প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ সেতু হয়ে সিলিমপুর থেকে দেউলী-টেউরিয়া হয়ে এলাসিন, বাবুপুর হয়ে গোল চত্ত্বর যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এদিকে কয়কদিন পার হলেও সেতুটি মেরামত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।
দেউলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির জানান, বেশ কিছুদিন আগে সেতুর উভয় পাশে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে একটি চক্র বালু উত্তোলন শুরু করে। যার ফলে বর্ষার আগেই অ্যাপ্রোচটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়। বর্ষার প্রকট না থাকলেও সামান্য স্রোতেই ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাপ্রোসটি ধসে পড়ে। গত কয়েকদিন ধরে সেতুর দুপারের মানুষদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতুটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান দেউলী ইউনিয়নের সাবেক এই চেয়ারম্যান। স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ অ্যাপ্রোসটি ধসে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক লক্ষ মানুষ। সেতুর এক পাশ ভেঙে যাওয়ায় বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় স্থানীয়রা ছোট নৗকায় নদী পারাপার হচ্ছেন। ভূক্তভোগীরা আরও জানান, সম্প্রতি বন্যার শুরুতেই সেতুর আশপাশে নদীভাঙন দেখা দেয়। সে সময় সেতুর কিছু অংশ ভেঙে গেলেও অ্যাপ্রোচ সড়ক ব্যবহার করে চলাচলে তেমন কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। তবে পুনরায় নদীর পানি কমতে শুরু করায় আবারও ভাঙন দেখা দেয়। এতে এ্যালেংজানী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর এক পাশের অ্যাপ্রোচ পুরোটা ভেঙে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের প্রায় ২০ গ্রাম’সহ চরাঞ্চলের মানুষের উপজেলা ও জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
দেউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহমিনা হক জানান, এই সেতু দিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ চরাঞ্চলের মানুষ জেলা ও উপজেলা শহরে চলাচল করে। কিন্তু সেতুটি ভেঙে যাওয়া চরম দূর্ভোগে রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। দেলদুয়ার এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল বাছেদ জানান, সেতুতে স্টিলের পাত বসিয়ে প্রাথমিকভাবে মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যেই কাজ শেষ হলে মানুষজন চলাচল করতে পারবে। তবে ভারী কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইলে সেতুর অ্যাপ্রোচ ধসে প্রায় ২০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
- মাতৃভূমির খবর ডেস্ক
- আপডেট টাইম ১০:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
- ৬৫১ বার পড়া হয়েছে
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ