ঢাকা ১২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

কুমিল্লার জেলা আ: লীগের সভাপতি উপড় সেই উপজেলা চেয়ারম্যান হামলা,ভিডিও ভাইরাল

মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মু. রুহুল আমিনকে লাঞ্ছিত এবং হামলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। শনিবার রাতে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে একই দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এ হামলা এবং লাঞ্ছিত করেন।

রোববার দুপুরে ওই লাঞ্ছিত এবং হামলার ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
মু. রুহুল আমিন আওয়ামী লীগের প্রয়াত এমপি এবং বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. ওয়ালী আহমেদের ছেলে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়- দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভা শেষ করে বের হয়ে যাচ্ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মু. রুহুল আমিন। এ সময় একই দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মু.রুহুল আমিনকে লাঞ্ছিত এবং গালমন্দ করতে থাকেন। একপর্যায়ে রুহুল আমিনের বুকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন আজাদ।

এ সময় আশপাশের নেতারা এসে রুহুল আমিনকে জড়িয়ে ধরে আজাদের হাত থেকে রক্ষা এবং আবুল কালাম আজাদকে নিভৃত করার চেষ্টা করেন। এতে আবুল কালাম আজাদ ক্ষিপ্ত হয়ে একাধিকবার তেড়ে এসে সভাপতিকে হামলার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে উপস্থিত নেতারা সভাপতিকে নিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
রোববার দুপুরে রুহুল আমিনের ওপর হামলার এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় চরম বেয়াদবি এবং শিষ্টাচারবহির্ভূত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবুল কালাম আজাদের বিচার দাবি করেন নেতাকর্মীরা।
এর আগে ওই সভায় দেবিদ্বারের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এবং ঘটনায় জড়িত উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম ওমানি বলেন, জেলা সভাপতির ওপর এমন হামলা এবং তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনায় জড়িত আবুল কালাম আজাদের বিচার হওয়া দরকার। অন্যথায় সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে যাবে।

কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন সাহেব একজন নম্র এবং মার্জিত মানুষ, তাকে লাঞ্ছিত করা চরম অন্যায়। এ ঘটনার বিচার হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে হামলার শিকার কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম.রুহুল আমিন বলেন, নিজ দলের একজন রাজনৈতিক সহযোদ্ধার কাছে এমনটা কখনো প্রত্যাশা করিনি। ওই দিনের মিটিংয়ে আজাদ একটা ঝামেলা এবং গণ্ডগোল সৃষ্টি করেছে, আমি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছি, পরে আমি বের হয়ে আসার পথে অহেতুক সে আমার ওপর চড়াও হয় এবং আমাকে ধাক্কা দিয়ে গালাগাল ও লাঞ্ছিত করে।

আমি সবসময়ই সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার চেষ্টা করে থাকি, কিন্তু আবুল কালাম আজাদ কী কারণে আমার সাথে এমনটি করল সেটা বুঝতে পারছি না। আর বিস্তারিত তো আপনারা ভিডিওতেই দেখেছেন? এ বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই, সার্বিক বিষয়গুলো দলের কেন্দ্রীয় নেতারা মনিটরিং করছেন, তারাই যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে ফোন করা হলেও তিনি হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বক্তব্য প্রদান করেননি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

কুমিল্লার জেলা আ: লীগের সভাপতি উপড় সেই উপজেলা চেয়ারম্যান হামলা,ভিডিও ভাইরাল

আপডেট টাইম ০৮:৫৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২

মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মু. রুহুল আমিনকে লাঞ্ছিত এবং হামলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। শনিবার রাতে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে একই দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এ হামলা এবং লাঞ্ছিত করেন।

রোববার দুপুরে ওই লাঞ্ছিত এবং হামলার ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
মু. রুহুল আমিন আওয়ামী লীগের প্রয়াত এমপি এবং বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. ওয়ালী আহমেদের ছেলে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়- দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভা শেষ করে বের হয়ে যাচ্ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মু. রুহুল আমিন। এ সময় একই দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মু.রুহুল আমিনকে লাঞ্ছিত এবং গালমন্দ করতে থাকেন। একপর্যায়ে রুহুল আমিনের বুকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন আজাদ।

এ সময় আশপাশের নেতারা এসে রুহুল আমিনকে জড়িয়ে ধরে আজাদের হাত থেকে রক্ষা এবং আবুল কালাম আজাদকে নিভৃত করার চেষ্টা করেন। এতে আবুল কালাম আজাদ ক্ষিপ্ত হয়ে একাধিকবার তেড়ে এসে সভাপতিকে হামলার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে উপস্থিত নেতারা সভাপতিকে নিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
রোববার দুপুরে রুহুল আমিনের ওপর হামলার এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় চরম বেয়াদবি এবং শিষ্টাচারবহির্ভূত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবুল কালাম আজাদের বিচার দাবি করেন নেতাকর্মীরা।
এর আগে ওই সভায় দেবিদ্বারের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এবং ঘটনায় জড়িত উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম ওমানি বলেন, জেলা সভাপতির ওপর এমন হামলা এবং তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনায় জড়িত আবুল কালাম আজাদের বিচার হওয়া দরকার। অন্যথায় সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে যাবে।

কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন সাহেব একজন নম্র এবং মার্জিত মানুষ, তাকে লাঞ্ছিত করা চরম অন্যায়। এ ঘটনার বিচার হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে হামলার শিকার কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম.রুহুল আমিন বলেন, নিজ দলের একজন রাজনৈতিক সহযোদ্ধার কাছে এমনটা কখনো প্রত্যাশা করিনি। ওই দিনের মিটিংয়ে আজাদ একটা ঝামেলা এবং গণ্ডগোল সৃষ্টি করেছে, আমি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছি, পরে আমি বের হয়ে আসার পথে অহেতুক সে আমার ওপর চড়াও হয় এবং আমাকে ধাক্কা দিয়ে গালাগাল ও লাঞ্ছিত করে।

আমি সবসময়ই সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার চেষ্টা করে থাকি, কিন্তু আবুল কালাম আজাদ কী কারণে আমার সাথে এমনটি করল সেটা বুঝতে পারছি না। আর বিস্তারিত তো আপনারা ভিডিওতেই দেখেছেন? এ বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই, সার্বিক বিষয়গুলো দলের কেন্দ্রীয় নেতারা মনিটরিং করছেন, তারাই যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে ফোন করা হলেও তিনি হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বক্তব্য প্রদান করেননি।