মোঃ জাহিদুল ইসলাম ( বাকেরগঞ্জ) বরিশাল
ছাএ ৫ ম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত।
এখন জুলাই মাস চলছে আর ছয় মাস পরে প্রাথমিকের স্কুল থেকে বিদায় নেবে ছাএ টি।
কিন্তুু
দুই বছর মেয়াদি স্কুল ব্যাবস্হাপনা কমিটির সভাপতি পদে এই ছাএের অবিভাবক কে – কমিটির সভাপতি বানানোর পায়তারা।
তাহলে কি সভাপতি হলে ১ ম ছয় মাস পর বাকী ১৮ মাস শিক্ষার্থী বিহীন অবিভাবকই বিদ্যালয়ের সভাপতি হতে যাচ্ছেন।
সরকারি ম্যানুয়াল অনুযায়ী স্কুলের কমিটির সভাপতি হতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে যার ছেলে মেয়ে পড়াশুনা করবে সেই অবিভাবকই কেবল সভাপতি পদে আবেদন করতে পারবে।
কিন্তুু যার ছেলে মেয়ে ছয় (৬) মাস পরে প্রাই মারীর গন্ডি পেড়িয়ে হাই স্কুলে যাবে তাকে স্কুলের সভাপতি বানানো কতটুকু যৌক্তিক তা সকলের কাছ প্রশ্ন।
তাহলে কি হেলেঞ্চা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে কোন কুচক্রী মহলের হাতের নকশা প্রক্রিয়াধীন।
স্কুলের বিভিন্ন অবিভাবকদের সাথে আলাপ করলে তারা জানায় দীর্ঘ দিন ধরে এই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি একেবারে নিস্ক্রিয়। কোন কমিটি ছিল না, তার উপর এই নিস্ক্রিয় এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সদস্য ও সভাপতির স্বাক্ষরিত কাগজ পএ দ্বারা অফিসিয়ালি সমস্ত কাজ চলত।
অন্য দিকে হেলেঞ্চা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাএ ছাএীর সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পেতে শুরু করেছে। প্রাক প্রাথমিকে কাগজ কলমে ছাত্র ছাএী থাকলেও বাস্তবে একজনও দেখা যায়না। আর বাকী ৫ টি শ্রেনীতে সব মিলিয়ে নাকি ৫৬ জন ছাএ ছাএী।অবশ্য এই শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার বিষয়টিকে প্রধান শিক্ষক মোঃ নিজামুল হক খুবই কাছে পাশে দুই গ্রামে দুটি স্কুল প্রতিষ্ঠাকে দায়ী করছেন। কিন্তুু অন্য আর একটি সুএে জানা যায় এই ছাএ ছাএী ঘাটতি হওয়ার পিছনে স্কুলটির কমিটি না থাকাই মূল কারন এবং অবিভাবকদের উদাসীনতা অনেকাংশে দায়ী । সঠিক তদারকি না থাকার কারনে এ অবস্থায় সৃষ্টি।
তা ছাড়া স্কুল টির পরিচালনা কমিটি না থাকার কারনে প্রতি বছরের সরকারি ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দকৃত অর্থ ও ছাড় করিতে না পারায় ফেরত যাচ্ছে বরাদ্দে টাকা। অপরদিকে টাকার অভাবে আনুষাঙ্গিক কোন মেরামত করতে পারছেনা বলে প্রধান শিক্ষক নিজামুল হক জানিয়েছেন। এর ফলে ছোট খাট কোন দরকারী মেরামত যেমন রং করা, দেয়ালে হালকা প্লাস্টার , ইলেকট্রিকের ছোট ছোট কাজ না করতে পারার কারনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিদ্যালয় ভবনটি।