ঢাকা ১২:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

কাঞ্চনায় স্কুল পরিচালনা নিয়ে মন্তব্য করায় হেনস্তার অভিযোগ

জোবাইর বিন জিহাদী, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দক্ষিণ কাঞ্চনা নূর আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের অনিয়ম ও সঠিক পরিচালনার বিষয়ে মন্তব্য ও পরামর্শ দিতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার পুত্র মাবুদ চৌধুরী।

২ জুলাই শনিবার সকাল ১১ টার সময় কাঞ্চনা ইউনিয়নের জোটপুকুরিয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

স্কুল কমিটির বিদ্যালয় পরিচালনার বিষয়ে মন্তব্যের জের ধরে মাবুদ চৌধুরীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠে ইউনুচের বিরুদ্ধে।অভিযোগকারী মাবুদ চৌধুরী কাঞ্চনা নূর আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নূর আহমদ চৌধুরীর ছেলে।স্থানীয়দের মতে তিনি একজন সমাজের গণ্যমান্য ও সুশিক্ষিত ব্যক্তি।পক্ষান্তরে অভিযুক্ত ইউনুস বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও জোটপুকুরিয়া বাজার কমিটির বর্তমান সভাপতি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সঠিকভাবে স্কুল পরিচালনা ও স্কুলের টাকা নিয়মের বাহিরে গিয়ে ব্যয় করায় শনিবার সকালে স্কুলে গিয়ে প্রতিবাদ করেন মাবুদ চৌধুরী।পরে জোটপুকুরিয়া নজরুল ইসলাম সওদাগরের দোকানের সামনে একই বিষয়কে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে তর্কের সৃষ্টি হয়।ফলে মাবুদ চৌধুরীর সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানায়, মাবুদ চৌধুরী একজন শিক্ষিত ও ভদ্র স্বভাবের মানুষ।তিনি শহরে অবস্থান করেন।গ্রামে আসলে যতটুকু সম্ভব মানুষের উপকার করার চেষ্টা করেন।তার উপর এমন ঘটনা নিন্দনীয়।তারা আরো জানায়, ইউনুচের তুলনায় মাবুদ চৌধুরী বয়সের দিক থেকে অনেক বড় এবং সম্মানিত ব্যক্তি।অপরদিকে ইউনুচ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে কোন দায়িত্বে নেই।এমতাবস্থায় তার উপর এমন ঘটনায় ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে কেউ কেউ জানান, ঘটনাটি মূলত রাগারাগি থেকে সৃষ্টি হয়েছে।যেটা ছিল উভয়ের ভুল।

অভিযোগকারী মাবুদ চৌধুরী জানায়, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান উন্নয়নের জন্য বিদ্যালয়ের নবগঠিত কমিটি গঠনের সময় সৎ যোগ্য ও দক্ষ দেখে কমিটি নির্বাচনের জন্য পরামর্শ দিহ এবং বিদ্যালয়ের টাকার বড় একটি অংশ নিয়মের বাহিরে গিয়ে খরচ করায় প্রতিবাদ করি।যার কারণে জনসম্মুখে ইউনুচ আমার উপর চওড়া হয়। আমার গায়ে হাত তুলে এবং আমাকে হেনস্তা করে।

অভিযুক্ত ইউনুচের বড় ভাইয়ের ভাষ্যমতে, মাবুদ চৌধুরীকে আমরা ছোট থেকে সম্মান করি ওনি সম্মানিত একজন লোক।কিন্তু আজ সকাল মাবুদ চৌধুরী ও আমার ছোট ভাই চায়ের আড্ডায় হঠাৎ তর্কাতর্কির সৃষ্টি হলে মাবুদ চৌধুরী রেগে গিয়ে চেয়ার নিয়ে মারতে উঠে।এসময় হাতাহাতি থামানোর চেষ্টা করলে ইউনুচ হালকা করে মাবুদ চৌধুরীকে ধাক্কা দেয়।

এদিকে অভিযুক্ত ইউনুস অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেন।তিনি জানায়, তেমন কোন কিছু হয়নি,সামাম্য হাতাহাতি হয়েছে।তিনি নিজে আমাকে চা খেতে ডাকেন এবং সেখানে তর্কাতর্কিতে রেগে গিয়ে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এদিকে কাঞ্চনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রমজান আলী জানায়, মাবুদ চৌধুরী একজন সম্মানিত ব্যক্তি।বিদ্যালয়ের অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তার উপর হেনস্তার ঘটনা শুনেছি।তিনি আরো বলেন, মাবুদ চৌধুরীর মতো সম্মানিত ব্যক্তি কাঞ্চনায় কম রয়েছে।একজন সম্মানিত ব্যক্তির উপর এরকম হেনস্তা সমাজ ধ্বংসের আলামত।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

কাঞ্চনায় স্কুল পরিচালনা নিয়ে মন্তব্য করায় হেনস্তার অভিযোগ

আপডেট টাইম ০৫:১৮:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২

জোবাইর বিন জিহাদী, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দক্ষিণ কাঞ্চনা নূর আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের অনিয়ম ও সঠিক পরিচালনার বিষয়ে মন্তব্য ও পরামর্শ দিতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার পুত্র মাবুদ চৌধুরী।

২ জুলাই শনিবার সকাল ১১ টার সময় কাঞ্চনা ইউনিয়নের জোটপুকুরিয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

স্কুল কমিটির বিদ্যালয় পরিচালনার বিষয়ে মন্তব্যের জের ধরে মাবুদ চৌধুরীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠে ইউনুচের বিরুদ্ধে।অভিযোগকারী মাবুদ চৌধুরী কাঞ্চনা নূর আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নূর আহমদ চৌধুরীর ছেলে।স্থানীয়দের মতে তিনি একজন সমাজের গণ্যমান্য ও সুশিক্ষিত ব্যক্তি।পক্ষান্তরে অভিযুক্ত ইউনুস বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও জোটপুকুরিয়া বাজার কমিটির বর্তমান সভাপতি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সঠিকভাবে স্কুল পরিচালনা ও স্কুলের টাকা নিয়মের বাহিরে গিয়ে ব্যয় করায় শনিবার সকালে স্কুলে গিয়ে প্রতিবাদ করেন মাবুদ চৌধুরী।পরে জোটপুকুরিয়া নজরুল ইসলাম সওদাগরের দোকানের সামনে একই বিষয়কে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে তর্কের সৃষ্টি হয়।ফলে মাবুদ চৌধুরীর সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানায়, মাবুদ চৌধুরী একজন শিক্ষিত ও ভদ্র স্বভাবের মানুষ।তিনি শহরে অবস্থান করেন।গ্রামে আসলে যতটুকু সম্ভব মানুষের উপকার করার চেষ্টা করেন।তার উপর এমন ঘটনা নিন্দনীয়।তারা আরো জানায়, ইউনুচের তুলনায় মাবুদ চৌধুরী বয়সের দিক থেকে অনেক বড় এবং সম্মানিত ব্যক্তি।অপরদিকে ইউনুচ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে কোন দায়িত্বে নেই।এমতাবস্থায় তার উপর এমন ঘটনায় ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে কেউ কেউ জানান, ঘটনাটি মূলত রাগারাগি থেকে সৃষ্টি হয়েছে।যেটা ছিল উভয়ের ভুল।

অভিযোগকারী মাবুদ চৌধুরী জানায়, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান উন্নয়নের জন্য বিদ্যালয়ের নবগঠিত কমিটি গঠনের সময় সৎ যোগ্য ও দক্ষ দেখে কমিটি নির্বাচনের জন্য পরামর্শ দিহ এবং বিদ্যালয়ের টাকার বড় একটি অংশ নিয়মের বাহিরে গিয়ে খরচ করায় প্রতিবাদ করি।যার কারণে জনসম্মুখে ইউনুচ আমার উপর চওড়া হয়। আমার গায়ে হাত তুলে এবং আমাকে হেনস্তা করে।

অভিযুক্ত ইউনুচের বড় ভাইয়ের ভাষ্যমতে, মাবুদ চৌধুরীকে আমরা ছোট থেকে সম্মান করি ওনি সম্মানিত একজন লোক।কিন্তু আজ সকাল মাবুদ চৌধুরী ও আমার ছোট ভাই চায়ের আড্ডায় হঠাৎ তর্কাতর্কির সৃষ্টি হলে মাবুদ চৌধুরী রেগে গিয়ে চেয়ার নিয়ে মারতে উঠে।এসময় হাতাহাতি থামানোর চেষ্টা করলে ইউনুচ হালকা করে মাবুদ চৌধুরীকে ধাক্কা দেয়।

এদিকে অভিযুক্ত ইউনুস অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেন।তিনি জানায়, তেমন কোন কিছু হয়নি,সামাম্য হাতাহাতি হয়েছে।তিনি নিজে আমাকে চা খেতে ডাকেন এবং সেখানে তর্কাতর্কিতে রেগে গিয়ে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এদিকে কাঞ্চনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রমজান আলী জানায়, মাবুদ চৌধুরী একজন সম্মানিত ব্যক্তি।বিদ্যালয়ের অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তার উপর হেনস্তার ঘটনা শুনেছি।তিনি আরো বলেন, মাবুদ চৌধুরীর মতো সম্মানিত ব্যক্তি কাঞ্চনায় কম রয়েছে।একজন সম্মানিত ব্যক্তির উপর এরকম হেনস্তা সমাজ ধ্বংসের আলামত।