ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিলেটের বিশিষ্ট্য কবি ও সাহিত্যিক দেলোয়ার মোহাম্মদ ইতালিতে মারা গেছেন !! অনলইন প্রেসক্লাবের শোক প্রকাশ লেবুখালীর পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় ইসলমিয়া হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর শুভ উদ্বোধন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্নয়ন বঞ্চিত-৬ আসনে নৌকা প্রতিক নিয়ে লড়তে চান ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন আহমেদ ঝন্টু।। বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে বড় পুইয়াউটা গ্রামে বাইতুন নাজাত জামে মসজিদের শুভ উদ্ভোধন। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে-লায়ন গনি মিয়া বাবুল সোনারগাঁয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগের কার্যালয়ের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে এম ইসফাক আহসানের এর উদ্যোগে রেলি ও আলোচনা সভা আইন পেশায় সর্বোচ্চ খেতাব ” আপিল বিভাগের আইনজীবী ” হিসেবে ভূষিত হলেন এডভোকেট রেজাউল করিম। সোনারগাঁয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সোনারগাঁয়ে রবিন ও সাজুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ

ওজন কমাতে সাহায্য করে ঘি

লাইফস্টাইল ডেস্ক :   অনেকেরই ধারণা, ঘি খেলেই ওজন বেড়ে যাবে।  তবে একাধিক গবেষণায় এটা প্রমাণিত, নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘি, সঠিক পদ্ধতি মেনে নিয়মিত খেতে পারলে ওজন বাড়বে না, বরং কমবে।

এ ছাড়াও ঘি-তে একাধিক উপকারিতা রয়েছে, যা শরীর সুস্থ রাখতে কাজ করে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক দুগ্ধজাত এই খাবারটির সুফলগুলো…

  • মস্তিষ্কের সচলতা বজায় রাখতে প্রয়োজন উপকারি ফ্যাটের।  ঘি-এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যাসেনশিয়াল ফ্যাট, যা মস্তিষ্কের কোষের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। স্মৃতিশক্তির বৃদ্ধিতেও ঘি বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • খালি পেটে ঘি খেতে পারলে শরীরে ওমেগা-তিন ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।  যা রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।  ফলে হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
  • ঘি-তে ভিটামিন-কে টু ও সিএলএ নামক দুটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।  একই সঙ্গে এই দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানগুলিকে শরীর থেকে বের করে দিয়ে ক্যান্সারের আশঙ্কাও কমিয়ে দেয়।
  • খালি পেটে নিয়মিত ঘি খেতে পারলে শরীরে বিশেষ কিছু উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে যা অস্থিসন্ধির সচলতা বাড়িয়ে তোলে এবং একই সঙ্গে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতেও সাহায্য করে। ফলে হাড়ের যে কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

প্রতিদিন খালি পেটে ঘি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ত্বকের কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে সুন্দর ও স্বাস্থ্যজ্জ্বোল।
একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘি-এ থাকা ‘মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড’ শরীরে জমে থাকা ফ্যাট সেল গলাতে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন ২ চামচ ঘি খালি পেটে খেতে পারলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। ২-৩ চামচ ঘি ভাত বা রুটির সঙ্গে খেতে পারলে বাড়বে হজম ক্ষমতা। একই সঙ্গে পরিপাকতন্ত্রকে চর্বিমুক্ত করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকেও নির্মূল করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও অ্যালার্জি প্রতিরোধে, সর্দি-কাশির কষ্ট কমাতে ঘি অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটের বিশিষ্ট্য কবি ও সাহিত্যিক দেলোয়ার মোহাম্মদ ইতালিতে মারা গেছেন !! অনলইন প্রেসক্লাবের শোক প্রকাশ

ওজন কমাতে সাহায্য করে ঘি

আপডেট টাইম ০২:৫৮:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

লাইফস্টাইল ডেস্ক :   অনেকেরই ধারণা, ঘি খেলেই ওজন বেড়ে যাবে।  তবে একাধিক গবেষণায় এটা প্রমাণিত, নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘি, সঠিক পদ্ধতি মেনে নিয়মিত খেতে পারলে ওজন বাড়বে না, বরং কমবে।

এ ছাড়াও ঘি-তে একাধিক উপকারিতা রয়েছে, যা শরীর সুস্থ রাখতে কাজ করে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক দুগ্ধজাত এই খাবারটির সুফলগুলো…

  • মস্তিষ্কের সচলতা বজায় রাখতে প্রয়োজন উপকারি ফ্যাটের।  ঘি-এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যাসেনশিয়াল ফ্যাট, যা মস্তিষ্কের কোষের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। স্মৃতিশক্তির বৃদ্ধিতেও ঘি বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • খালি পেটে ঘি খেতে পারলে শরীরে ওমেগা-তিন ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।  যা রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।  ফলে হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
  • ঘি-তে ভিটামিন-কে টু ও সিএলএ নামক দুটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।  একই সঙ্গে এই দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানগুলিকে শরীর থেকে বের করে দিয়ে ক্যান্সারের আশঙ্কাও কমিয়ে দেয়।
  • খালি পেটে নিয়মিত ঘি খেতে পারলে শরীরে বিশেষ কিছু উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে যা অস্থিসন্ধির সচলতা বাড়িয়ে তোলে এবং একই সঙ্গে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতেও সাহায্য করে। ফলে হাড়ের যে কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

প্রতিদিন খালি পেটে ঘি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ত্বকের কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে সুন্দর ও স্বাস্থ্যজ্জ্বোল।
একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘি-এ থাকা ‘মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড’ শরীরে জমে থাকা ফ্যাট সেল গলাতে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন ২ চামচ ঘি খালি পেটে খেতে পারলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। ২-৩ চামচ ঘি ভাত বা রুটির সঙ্গে খেতে পারলে বাড়বে হজম ক্ষমতা। একই সঙ্গে পরিপাকতন্ত্রকে চর্বিমুক্ত করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকেও নির্মূল করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও অ্যালার্জি প্রতিরোধে, সর্দি-কাশির কষ্ট কমাতে ঘি অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান।