আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা পৌরসভাধীন কুয়াকাটা মৌজায় বসবাসরত ৩০ টি পরিবারকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে প্রভাবশালী মনির হোসেন জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে জমি দখলে নেয়ার এক অভিযোগ উঠেছে।
পটুয়াখালী জেলার অতিরিক্ত প্রশাসক মোঃ ওবায়দুর রহমান সূত্রে জানাগেছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় অধীন পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় রেস্ট হাউজ নির্মানের লক্ষ্যে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহন ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭ (২০১৭ সনের ২১ নম্বর আইন) এর ৪ ধারা অধীনে কুয়াকাটা পৌরসভাধীন ৯ নং ওয়ার্ডে কুয়াকাটা মৌজায় ৬ একর জমি সরকার কর্তৃক অধিগ্রহনে নোটিশ জারি করা হয়।
এ অবস্থায় ঐ এলাকার প্রভাবশালী জনৈক মোঃ মনির হোসেন জাহাঙ্গীর কুয়াকাটা মৌজায় ( রেস্ট হাউজ নির্মান এলাকায়) ৩ একর খাস ও ৩ একরে নিজ জমিতে বসবাসরত ৩০ অধিক পরিবারের জায়গা অবৈধ দখলের লক্ষ্যে বালি ভরাট করে বসবাসকারীদেরকে সরেযেতে বলে। নিজ (মালিকানা) ভোগদখলীয়দেরকে ২০, ২৫ হাজার টাকা নিয়ে তাদেরকে সরেযেতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকি দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগকারীদের বরাত দিয়ে বলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) মোঃ ওবায়দুর রহমান। প্রভাবশালী মনির হোসেন জাহাঙ্গীরের এ অবৈধ কর্মকান্ড এবং ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকির বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ৩০ পরিবার।
আজ ২৯ জুন বুধবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মিনি কনফারেন্স কক্ষে জেলা প্রশাসকের পক্ষে লিখিত অভিযোগপত্র গ্রহন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ হুমায়ুন কবির ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোঃ ওবায়দুর রহমান। এ সময় কর্মকর্তাদ্বয় অভিযোগকারী আঃ কাদের, মোঃ কেরামত আলী, মোঃ ফারুক, বেল্লাল, অফজাল, রুনা, হাসিনা, তাছলিমা, তাজেনুর, মোর্শেদাসহ অন্যান্যদের বক্তব্য শোনেন। অভিযোগকারীদের অভিযোগ শুনে কর্মকর্তাদ্বয় তাদের অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় অন্যান্য অভিযোগকারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ নজরুল, ইমন, রাসেল, আফজাল, ছগির মিস্ত্রী, ইউনুছ, মেহেরুননেছা, হেলেনা, রাসেদা, সাহেনিল৷ সাপুয়া, আব্বাছ, হানিফা, সহিদ, কোরাত আলী, কালাম, দেলোয়ার, নুরুজ্জামাল গাজী ও সংশ্লিস্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেঃ সাবের হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে মনির হোসেন জাহাঙ্গীরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে না পেয়ে তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।