নিজস্ব প্রতিবেদকঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজারস্হ ফাতেমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশ ২৫ জুন শনিবার সকাল এগারোটায় বিদ্যালয়ের রাজিয়া মতিন চৌধুরী অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ মাকসুদ আলম।
অভিভাবক সমাবেশে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট মোঃ নজরুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার মান উন্নয়নে নিরন্তরভাবে কাজ করে চলেছেন। ভবিৎষতে তোমাদেরকে এদেশের হাল ধরতে হবে। তাই তোমাদেরকে ভালো ভাবে লেখাপড়া করার মাধ্যমে বাবা -মা ও দেশের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাহারও যদি বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার কোনো ধরনের অসুবিধা হয় এবং বিদ্যালয়ের ভিতরে লেখাপড়ায় কোনো শিক্ষক দ্বারা বা অন্যকোন ভাবে যেকোন সমস্যা হলে তা সরাসরি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে জানাতে।
শিক্ষার্থী কোথায় যায়, কি করে, তা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রত্যেক অভিভাবককে খেয়াল রাখতে হবে। বাসার ভিতরে নিদিষ্ট সময় ব্যাতীত টেলিভিশন না চালাতে নিষেধ এবং শিক্ষার্থীদের Android মোবাইল ফোনসেট হাতে না দেয়ার জন্য অভিভাবকদেরকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেন। কোনো শিক্ষার্থী যদি পরপর ৩দিন বিদ্যালয়ে না আসে বা অনুপস্থিত থাকে ঐ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে এডভোকেট মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রায় ২০০ জন অভিভাবক বিদ্যালয়ের অংকের শিক্ষক কেশব চন্দ্র গোস্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, কেশব মাস্টার ক্লাসে অংক বিষয় একবারের বেশী দুইবার বুঝিয়ে দেন না। শিক্ষার্থীরা একবারের বেশী দুইবার প্রশ্ন করলে শিক্ষার্থীদের উপর তিনি বিরক্ত হন এবং হ্যারেসমেন্ট করে উনার কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করেন।
এ বিষয়ে অংক শিক্ষক কেশব চন্দ্র গোস্বামীর বিরুদ্ধে কি কোনো ব্যবস্হা নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট মোঃ নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষককে আমি বলে দিয়েছি, আগামী পনেরো দিনের মধ্যে ঐ শিক্ষককের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য, পনেরো দিনের ভিতরে যদি কোনো ধরনের ব্যবস্হা নোয় না হয়, তাহলে পনেরো দিন পরে আমি মিটিংয়ের মাধ্যমে রেজুলেশন করে তাকে অপসারণ করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিব।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক বাহার পাটোয়ারী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক সদস্য দস্তগীর আলম, কামরুজ্জামান, আবুল কাসেম, নাজমা সুলতানা। আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন, ইংরেজি শিক্ষক মশিউর রহমান, ইসলাম ধর্ম শিক্ষক মাওলানা মোর্শেদ আলম, হিন্দু ধর্ম শিক্ষক মাধপ চন্দ্র পালসহ শিক্ষকবৃন্দ।