ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার দুমকী উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা-পাল্টা হামলা বাকেরগঞ্জের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এমপির কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করছেন একটি কুচক্রী মহল।। “ভাইয়া গ্রুপ প্রথম বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন,আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্টের শেয়ার বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছেন” “এনএফএস’র নতুন কমিটি গঠন সভাপতি রাহাত, সম্পাদক হাসান” গজারিয়ায় তিতাসের অভিযান পাঁচ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন চুরি প্রতিরোধে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো।

বোয়ালমারীতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

জসীম মিয়া, ফরিদপুর ব্যুরোঃ ফরিদপুরর বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ী গ্রামের জোড়া খুনের ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি। আসামিপক্ষ আত্মগোপনে থাকার সুযোগে এখনো তাদের ঘর-বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। মামলায় বা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় এমন অনেক নিরীহ মানুষও হামলা-লুটপাটের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালে স্থানীয় সাতৈর বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিপুলসংখ্যক এলাকাবাসী।

ঘোষপুর ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এস এম ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে ঘোষপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা, মো. সিদ্দিকুর রহমান, এজাজুল করিম মিন্টু, মো. ওয়াজেদ আলী, মোস্তাফিজুর রহমানসহ ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, ঘটনার দিন অর্থাৎ গত ৩ মে ঈদের দিন আমি মাকরাইলে ঈদের নামাজ পড়ছিলাম। পরক্ষণেই শুনতে পাই ঈদের নামাজ পড়া নিয়ে গোহাইলবাড়ীতে দুপক্ষের মারামারিতে দুজন খুন হয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি অংশ নিলেও পরবর্তীতে আমাকে কোপের ও প্রধান আসামি করে ৮১ জনের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে গোহাইলবাড়ীসহ আশপাশের চার গ্রামের দেড় শতাধিক বসতবাড়িতে, যা এখনো অব্যাহত রেয়েছে।

হত্যাকাণ্ড ও পরবর্তী ভাংচুর-লুটপাটে জড়িত প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার ও নিরাপরাধ ব্যক্তিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবীবিজানিয়ে ফারুক হোসেন আরো বলেন, যারা হত্যার শিকার হয়েছেন তাদের আপনজনদের এড়িয়ে মামলার বাদী হয়েছেন মোস্তফা জামান সিদ্দিকী নামে এক রাজনৈতিক নেতা। তিনি এই ঘটনাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। হত্যায় জড়িত নন, তবে বাদীর রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিপক্ষ এমন অনেক মানুষকে মামলার আসামি এবং তাদেরসহ মামলার বাইরের আরো অসংখ্য মানুষের ঘরবাড়ি লুট করা হয়েছে। আসামি বানানোর ভয় দেখিয়ে করা হয়েছে অর্থ বাণিজ্য। হামলা, লুটপাট এখনো চলছে। ঘটনার পর যেসব নিরাপদ ব্যক্তি প্রাণভয়ে এলাকা ছেড়েছিলেন তাদের ঘর-বাড়ি লুট করা হলেও এখন আবার নতুন করে বাদীপক্ষকে ম্যানেজ না করে এলাকায় ঢুকতে পারছেন না। বাদীর কথা না মানলেই চলছে হামলা, মারধর। আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিয়ে এমন অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসাপেক্ষে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান ফারুক হোসেন।

জসীম মিয়া
প্রতিনিধি
ফরিদপুর ব্যুরো
তাং- ২৪-০৬-২২

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার

বোয়ালমারীতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট টাইম ০৫:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২

জসীম মিয়া, ফরিদপুর ব্যুরোঃ ফরিদপুরর বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ী গ্রামের জোড়া খুনের ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি। আসামিপক্ষ আত্মগোপনে থাকার সুযোগে এখনো তাদের ঘর-বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। মামলায় বা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় এমন অনেক নিরীহ মানুষও হামলা-লুটপাটের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালে স্থানীয় সাতৈর বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিপুলসংখ্যক এলাকাবাসী।

ঘোষপুর ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এস এম ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে ঘোষপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা, মো. সিদ্দিকুর রহমান, এজাজুল করিম মিন্টু, মো. ওয়াজেদ আলী, মোস্তাফিজুর রহমানসহ ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, ঘটনার দিন অর্থাৎ গত ৩ মে ঈদের দিন আমি মাকরাইলে ঈদের নামাজ পড়ছিলাম। পরক্ষণেই শুনতে পাই ঈদের নামাজ পড়া নিয়ে গোহাইলবাড়ীতে দুপক্ষের মারামারিতে দুজন খুন হয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি অংশ নিলেও পরবর্তীতে আমাকে কোপের ও প্রধান আসামি করে ৮১ জনের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে গোহাইলবাড়ীসহ আশপাশের চার গ্রামের দেড় শতাধিক বসতবাড়িতে, যা এখনো অব্যাহত রেয়েছে।

হত্যাকাণ্ড ও পরবর্তী ভাংচুর-লুটপাটে জড়িত প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার ও নিরাপরাধ ব্যক্তিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবীবিজানিয়ে ফারুক হোসেন আরো বলেন, যারা হত্যার শিকার হয়েছেন তাদের আপনজনদের এড়িয়ে মামলার বাদী হয়েছেন মোস্তফা জামান সিদ্দিকী নামে এক রাজনৈতিক নেতা। তিনি এই ঘটনাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। হত্যায় জড়িত নন, তবে বাদীর রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিপক্ষ এমন অনেক মানুষকে মামলার আসামি এবং তাদেরসহ মামলার বাইরের আরো অসংখ্য মানুষের ঘরবাড়ি লুট করা হয়েছে। আসামি বানানোর ভয় দেখিয়ে করা হয়েছে অর্থ বাণিজ্য। হামলা, লুটপাট এখনো চলছে। ঘটনার পর যেসব নিরাপদ ব্যক্তি প্রাণভয়ে এলাকা ছেড়েছিলেন তাদের ঘর-বাড়ি লুট করা হলেও এখন আবার নতুন করে বাদীপক্ষকে ম্যানেজ না করে এলাকায় ঢুকতে পারছেন না। বাদীর কথা না মানলেই চলছে হামলা, মারধর। আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিয়ে এমন অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসাপেক্ষে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান ফারুক হোসেন।

জসীম মিয়া
প্রতিনিধি
ফরিদপুর ব্যুরো
তাং- ২৪-০৬-২২