ঢাকা ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

ভাগীনার হাত ধরে স্বামীর ঘর ছাড়লেন মামী

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি :

৬ বছরের শিশু সন্তান রেখে ভাগিনার হাত ধরে উধাও হয়েছে মামী ।
হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
গত কাল (২৩ জুন) সকাল ১০ টার দিকে মেয়ের স্কুল ড্রেস কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তারা। এরপর আত্মীয়-স্বজন ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে এই বিষয়ে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আবদুল্লাহ ।
আব্দুল্লাহ এর স্ত্রী পরকীয়ার টানে ভাগিনার হাত ধরে (স্বামীর চাচাতো বোনের ছেলের সাথে) পালিয়ে গেছে । মামী সেলিনা আকতার(২৫) ওই উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের একাব্বর আলীর মেয়ে।
ভাগিনাএকজন স্কুল ছাত্র ও আসন্ন এস এস সি পরীক্ষার্থী।
ভাগীনা সফিউল ইসলাম সফি (১৬) একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দুলাল হোসেনের ছেলে।
আবদুল্লাহর দুলাভাই আনছার আলী বলেন, গত দুই বছর ধরে সেলিনা ও ভাগীনা শফির মন দেওয়া নেয়ার সম্পর্ক। এনিয়ে অনেকবার স্থানীয়ভাবে শালিস হয়েছে। গত একমাস আগেও এ নিয়ে এলাকায় শালিস বৈঠক হয়েছে কিন্তু কোন ভাবেই তাদের ভালবাসার সম্পর্ক ছিন্ন করা গেল না।
সেলিনার স্বামী আবদুল্লাহ বলেন, ৬ বছরের একটি মেয়েকে রেখে কিভাবে ভাগীনার হাত ধরে পালালো সেলিনা। যাওয়ার সময় সে আমার টাকা পয়সা সব নিয়ে গেছে, এখন আমি অসহায়। আমি কিভাবে মানুষকে মুখ দেখাবো বলে কান্নায় ভেঙে পরেন তিনি।
জানা যায় একই ইউনিয়নের ২০১৫ সালে সেলিনা আকতার এর সাথে বিয়ে হয় আবদুল্লাহর ।
গত দুই বছর ধরে আবদুল্লার চাচাতো বোন বুলবুলি বেগমের ছেলে শফিউল ইসলাম সফির সাথে সেলিনা আকতারের পরকিয়া প্রেম চলছিলো। সেই প্রেমের টানে গত কাল সুযোগ বুঝে তারা বাড়িতে রাখা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। মামী ও ভাগিনার এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সেলিনার স্বামী আবদুল্লাহ।
তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ছবি: মামী ভাগীনা
ও মামলার এজহার কপি

রকিবুল হাসান রিপন /হাতীবান্ধা(লালমনিরহাট)প্রতিনিধি /২৪.০৬.২২

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

ভাগীনার হাত ধরে স্বামীর ঘর ছাড়লেন মামী

আপডেট টাইম ০৫:৫৩:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি :

৬ বছরের শিশু সন্তান রেখে ভাগিনার হাত ধরে উধাও হয়েছে মামী ।
হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
গত কাল (২৩ জুন) সকাল ১০ টার দিকে মেয়ের স্কুল ড্রেস কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তারা। এরপর আত্মীয়-স্বজন ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে এই বিষয়ে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আবদুল্লাহ ।
আব্দুল্লাহ এর স্ত্রী পরকীয়ার টানে ভাগিনার হাত ধরে (স্বামীর চাচাতো বোনের ছেলের সাথে) পালিয়ে গেছে । মামী সেলিনা আকতার(২৫) ওই উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের একাব্বর আলীর মেয়ে।
ভাগিনাএকজন স্কুল ছাত্র ও আসন্ন এস এস সি পরীক্ষার্থী।
ভাগীনা সফিউল ইসলাম সফি (১৬) একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দুলাল হোসেনের ছেলে।
আবদুল্লাহর দুলাভাই আনছার আলী বলেন, গত দুই বছর ধরে সেলিনা ও ভাগীনা শফির মন দেওয়া নেয়ার সম্পর্ক। এনিয়ে অনেকবার স্থানীয়ভাবে শালিস হয়েছে। গত একমাস আগেও এ নিয়ে এলাকায় শালিস বৈঠক হয়েছে কিন্তু কোন ভাবেই তাদের ভালবাসার সম্পর্ক ছিন্ন করা গেল না।
সেলিনার স্বামী আবদুল্লাহ বলেন, ৬ বছরের একটি মেয়েকে রেখে কিভাবে ভাগীনার হাত ধরে পালালো সেলিনা। যাওয়ার সময় সে আমার টাকা পয়সা সব নিয়ে গেছে, এখন আমি অসহায়। আমি কিভাবে মানুষকে মুখ দেখাবো বলে কান্নায় ভেঙে পরেন তিনি।
জানা যায় একই ইউনিয়নের ২০১৫ সালে সেলিনা আকতার এর সাথে বিয়ে হয় আবদুল্লাহর ।
গত দুই বছর ধরে আবদুল্লার চাচাতো বোন বুলবুলি বেগমের ছেলে শফিউল ইসলাম সফির সাথে সেলিনা আকতারের পরকিয়া প্রেম চলছিলো। সেই প্রেমের টানে গত কাল সুযোগ বুঝে তারা বাড়িতে রাখা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। মামী ও ভাগিনার এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সেলিনার স্বামী আবদুল্লাহ।
তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ছবি: মামী ভাগীনা
ও মামলার এজহার কপি

রকিবুল হাসান রিপন /হাতীবান্ধা(লালমনিরহাট)প্রতিনিধি /২৪.০৬.২২