মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লার চান্দিনায় ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বাজার পরিদর্শনে এসে চাঁদাবাজির সত্যতা পেলেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাক্তার প্রাণ গোপাল দত্ত।
চান্দিনায় উপজেলা সদরে ব্যবসায়ীদেরকে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার ওই বাজার পরিদর্শনে যান ওই সংসদ সদস্য।
এ সময় মরম আলী, ইউসুফ আলী, ইসমাইল হোসেন, সূর্য ভৌমিক, লিটন মিয়া, মোয়াজ্জেম হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক ব্যবসায়ী তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে প্রকাশ্যেই চাঁদাবাজ সিন্ডিকেডের প্রধান জাহাঙ্গীর আলম গংদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য চান্দিনা বাজারের ইজারাদার মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে ডেকে এনে প্রকাশ্যে ভৎসনা করেন,এবং ব্যবসায়ীদের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। এ সময় জাহাঙ্গীর এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়।
ব্যবসায়ীরা ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহযোগী কাউন্সিলর নাদিমুর রহমানের ছেলে নাঈম, ওই এলাকার জহিরের ছেলে মেহেদী হাসান , ইকবাল হোসেন ইবু, লিটন গাজী ,দুলাল মুন্সি, ইকবাল মুন্সি ,সজিব মুন্সিসহ তার বেশ কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে জোর পূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করেন। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন সংসদ সদস্য প্রান গোপাল দত্ত।
এদিকে জাহাঙ্গীর আলম সিন্ডিকেট চান্দিনা বাজার ইজারা নেয়ার পর থেকে কাঁচা বাজার ,মাছ বাজারসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিলো। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাসহ উচ্ছেদ এবং মারধর করার অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু তপন বক্সী, পৌর মেয়র শওকত হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাজী আখলাকুর রহমান জুয়েল এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, থানার এসআই আমিনুর রহমান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি বাজার ইজারা নিয়েছি, আমি এবং আমার কোন সহযোগী কাউকে মারধর করে চাঁদা আদায় করিনি, আমরা ইজারার বাইরে অতিরিক্ত কোন টাকা-পয়সা নেইনি, সংসদ সদস্য মহোদয়কে কেউ ভুল বুঝিয়ে থাকতে পারে।

এবিষয়ে ওসি আরিফুর রহমান বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি, তবে ভূক্তভোগী ব্যবসায়ীরা সংসদ সদস্য মহোদয়ের নিকট জাহাঙ্গীর আলম গংদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করেছেন, বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চাঁদাবাজীর ঘটনায় জড়িত থাকলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।