ঢাকা ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার দুমকী উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা-পাল্টা হামলা বাকেরগঞ্জের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এমপির কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করছেন একটি কুচক্রী মহল।। “ভাইয়া গ্রুপ প্রথম বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন,আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্টের শেয়ার বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছেন” “এনএফএস’র নতুন কমিটি গঠন সভাপতি রাহাত, সম্পাদক হাসান” গজারিয়ায় তিতাসের অভিযান পাঁচ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন চুরি প্রতিরোধে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো।

পটুয়াখালী কলাপাড়ার সাংবাদিক প্রদীপ হত্যা মামলায় সোহাগ গ্রেপ্তার

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাংবাদিক আবু জাফর প্রদীপ হত্যা মামলার মূল আসামি প্রদীপের আপন সেজ ভাই সোহাগ হাওলাদারকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে কলাপাড়া থানার ওসি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ১১ জুন ঢাকার উত্তরা থেকে কলাপাড়া থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানায়, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সোহাগ একাই তার ভাইকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে।
কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ জসীম জানান, গত ৫ জুন আমতলী বাজার থেকে ৮০ টাকা দিয়ে একটি চাকু কেনেন সোহাগ হাওলাদার। রাত ৮টার দিকে প্রদীপকে ডেকে বাড়ির সামনে নিয়ে কথা বলেন। এ সময় জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে কোমড়ে থাকা চাকু দিয়ে প্রদীপকে পেটে আঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যান সোহাগ।
ওসি আরও জানান, ঘটনার রাতে সোহাগ প্রথমে বরিশাল গিয়ে একদিন অবস্থান করেন। এরপর চাঁদপুর, কুমিল্লা হয়ে ঢাকায় আত্মগোপন করে। এই সূত্র ধরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এদিকে, শুধুমাত্র সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে সোহাগ একাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশ জানালেও এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছেন কলাপাড়ার গণমাধ্যমকর্মীরা।
উল্লেখ্য, প্রদীপকে হত্যার পরদিন গত ৬ জুন নিহতের স্ত্রী জিনিয়া আক্তার তার সেজ ভাসুর সোহাগ হাওলাদারকে প্রধান আসামি করে এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আবু জাফর প্রদীপ দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার কলাপাড়া প্রতিনিধি ছিলেন। পাশাপাশি কলাপাড়া সাংবাদিক ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার

পটুয়াখালী কলাপাড়ার সাংবাদিক প্রদীপ হত্যা মামলায় সোহাগ গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম ০৪:৫৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুন ২০২২

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাংবাদিক আবু জাফর প্রদীপ হত্যা মামলার মূল আসামি প্রদীপের আপন সেজ ভাই সোহাগ হাওলাদারকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে কলাপাড়া থানার ওসি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ১১ জুন ঢাকার উত্তরা থেকে কলাপাড়া থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানায়, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সোহাগ একাই তার ভাইকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে।
কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ জসীম জানান, গত ৫ জুন আমতলী বাজার থেকে ৮০ টাকা দিয়ে একটি চাকু কেনেন সোহাগ হাওলাদার। রাত ৮টার দিকে প্রদীপকে ডেকে বাড়ির সামনে নিয়ে কথা বলেন। এ সময় জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে কোমড়ে থাকা চাকু দিয়ে প্রদীপকে পেটে আঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যান সোহাগ।
ওসি আরও জানান, ঘটনার রাতে সোহাগ প্রথমে বরিশাল গিয়ে একদিন অবস্থান করেন। এরপর চাঁদপুর, কুমিল্লা হয়ে ঢাকায় আত্মগোপন করে। এই সূত্র ধরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এদিকে, শুধুমাত্র সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে সোহাগ একাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশ জানালেও এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছেন কলাপাড়ার গণমাধ্যমকর্মীরা।
উল্লেখ্য, প্রদীপকে হত্যার পরদিন গত ৬ জুন নিহতের স্ত্রী জিনিয়া আক্তার তার সেজ ভাসুর সোহাগ হাওলাদারকে প্রধান আসামি করে এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আবু জাফর প্রদীপ দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার কলাপাড়া প্রতিনিধি ছিলেন। পাশাপাশি কলাপাড়া সাংবাদিক ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত