ঢাকা ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে বড় পুইয়াউটা গ্রামে বাইতুন নাজাত জামে মসজিদের শুভ উদ্ভোধন। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে-লায়ন গনি মিয়া বাবুল সোনারগাঁয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগের কার্যালয়ের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে এম ইসফাক আহসানের এর উদ্যোগে রেলি ও আলোচনা সভা আইন পেশায় সর্বোচ্চ খেতাব ” আপিল বিভাগের আইনজীবী ” হিসেবে ভূষিত হলেন এডভোকেট রেজাউল করিম। সোনারগাঁয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সোনারগাঁয়ে রবিন ও সাজুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বাগেরহাটে ফকিরহাটে সড়ক যেন মরণ ফাঁদ, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন আমান উল্লাহ পাড়া জামে মসজিদে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত বাকেরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে মিলাদ মাহাফিল ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত।

ভোটের সময় ঘনিয়ে ঘনিয়ে চারদিকে উৎসবমুখর আমেজ বিরাজ করছে-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এম.পি বলেছেন,ভোটের সময় ঘনিয়ে ঘনিয়ে চারদিকে উৎসবমুখর আমেজ বিরাজ করছে। বাধভাঙা জোয়ারের মতো মানুষ আসছে। এই সময়ে ধাক্কাধাক্কি হতেই পারে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ঢাকা-১২ আসনের এই প্রার্থী এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর ২০১৮) তেজগাঁওয়ের আরজতপাড়ায় নির্বাচনি গণসংযোগ করেন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। গণসংযোগ চলাকালে ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
ওই বিষয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আমি যখন আসছিলাম, চতুর্দিক থেকে মানুষ, একটা উৎসবের আমেজে, বাধভাঙা জোয়ারের মতো মানুষ চলে আসছে। এই বাঁধভাঙ্গা মানুষের মধ্যে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে সেটাও আপনারা দেখেছেন। এই ধরনের ধাক্কাধাক্কি হতে পারে, এটা যদি বেশি হয়ে থাকে, তাতে যদি কোনো উদ্দেশ্য থাকে, তদন্তের পর আমরা বলতে পারব।’
তবে, নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকে নির্বাচনি প্রচারে নেমেছেন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের প্রচারণায় তিনি আসেন আড়জতপাড়ায়। মহাখালী-শাহীনবাগ, আড়জতপাড়াসহ তেজগাঁওয়ের আওয়ামী নেতাকর্মীদের মধ্যে এসময় উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। তবে রাস্তা ছোট হওয়ায় ধাক্কাধাক্কির মুখ পড়তে হয় সাংবাদিকদের। বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালকে গণসংযোগ চালাতে বেগ পোহাতে হয়।
মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো শেষে বের হয়ে আসার পথে ড. কামালের ওপর হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এখন কে কোথায় কী করেছে, এগুলো তদন্তের আগে আমরা কিছু বলতে পারব না। আমি মনে করি, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশনা, কেউ কারো ওপরে অ্যাটাক করার বিষয়ে তিনি মানা করে দিয়েছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা যথাসাধ্য সেটা চেষ্টা করছেন।’
ধাক্কাধাক্কির কথা বলা হয়নি, সুস্পষ্টভাবে গাড়ি ভাঙচুরের কথা বলা হয়েছে সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন আমরা বলছি, এটা তদন্তের আগে আমরা বলতে পারব না। কারণ আপনারা দেখেছেন বিএনপির যারা নমিনেশন বঞ্চিত, তাদের অফিস ভাঙচুরও দেখেছেন। তাদেরকে জামাটামা ছিড়ে দিয়েছে সেটাও তো দেখেছেন। এখন এটা কেন হয়েছে আমরা না জেনে বলতে পারব না।’
ঢাকা-১২ আসনে আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রাথী সাইফুল আলম নীরব। তবে আসনটিতে বিএনপির কোনো প্রচারণা নেই। ভোটাররা বলছেন, সাইফুল আলম নীরব রয়েছেন নীরবেই। তবে আসনটিতে প্রচারণায় রয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জোনায়েদ সাকি (কোদাল) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ শওকত আলী হাওলাদার (হাতপাখা)। বাম নেতার সাকির প্রচারণায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। তার পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ সাকির।
সাকির প্রচারণায় হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘যখনই ইলেকশন আসে তখনই মানুষ রাস্তায় নামে কিংবা তাদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। একটু অস্থিরতা বাড়ে সেই সময়, একটু আসন্তোষ আমি বলব না, একটু অন্য রকমের পরিস্থিতি হয়, একটা আনন্দমুখর পরিস্থিতি হয়, একটা উৎসবমুখর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই পরিস্থিতিতে একটু ধাক্কাধাক্কি, একটু কথা কাটাকাটি সবসময় হয়ে আসছে। এখন এর অতিরিক্ত কিছু হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যেমন অতিরিক্ত আমাদের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আমাদের যুবলীগের এক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, আমাদের আওয়ামী লীগের এক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। সেইগুলো অবশ্যই উদ্দেশ্যমূলক, আমি মনে করি। আমি মনে করি এই যে হত্যা করার দৃশ্যটা, এটার পেছনে নিশ্চয় কোনো ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। আমরা সেগুলো তদন্তের পর বলতে পারব কে ঘটিয়েছে, কেন ঘটিয়েছে। আমরা মনে করি এ দেশের জনগণ কোনো সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ কোনো হত্যার রাজনীতিকে বিশ্বাস করে না।’
‘এ দেশেরজনগণ মনে করে ভোটের মাধ্যমেই তারা নতুন সরকারকে নির্বাচিত করবে। সেজন্যই জনগণ আজকে এত স্বতঃস্ফূর্ত। এত উৎসবমুখর। আমরা মনে করি জনগণ সঠিক কাজটাই করবে। যারা এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে এবং করতে চায়, এবং যারা করার মাধ্যমে অস্থিতিশীল করবে আমরা তদন্ত করে আইনের আওতায় আনব।’
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে বড় পুইয়াউটা গ্রামে বাইতুন নাজাত জামে মসজিদের শুভ উদ্ভোধন।

ভোটের সময় ঘনিয়ে ঘনিয়ে চারদিকে উৎসবমুখর আমেজ বিরাজ করছে-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৮:১৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক :  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এম.পি বলেছেন,ভোটের সময় ঘনিয়ে ঘনিয়ে চারদিকে উৎসবমুখর আমেজ বিরাজ করছে। বাধভাঙা জোয়ারের মতো মানুষ আসছে। এই সময়ে ধাক্কাধাক্কি হতেই পারে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ঢাকা-১২ আসনের এই প্রার্থী এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর ২০১৮) তেজগাঁওয়ের আরজতপাড়ায় নির্বাচনি গণসংযোগ করেন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। গণসংযোগ চলাকালে ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
ওই বিষয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আমি যখন আসছিলাম, চতুর্দিক থেকে মানুষ, একটা উৎসবের আমেজে, বাধভাঙা জোয়ারের মতো মানুষ চলে আসছে। এই বাঁধভাঙ্গা মানুষের মধ্যে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে সেটাও আপনারা দেখেছেন। এই ধরনের ধাক্কাধাক্কি হতে পারে, এটা যদি বেশি হয়ে থাকে, তাতে যদি কোনো উদ্দেশ্য থাকে, তদন্তের পর আমরা বলতে পারব।’
তবে, নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকে নির্বাচনি প্রচারে নেমেছেন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের প্রচারণায় তিনি আসেন আড়জতপাড়ায়। মহাখালী-শাহীনবাগ, আড়জতপাড়াসহ তেজগাঁওয়ের আওয়ামী নেতাকর্মীদের মধ্যে এসময় উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। তবে রাস্তা ছোট হওয়ায় ধাক্কাধাক্কির মুখ পড়তে হয় সাংবাদিকদের। বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালকে গণসংযোগ চালাতে বেগ পোহাতে হয়।
মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো শেষে বের হয়ে আসার পথে ড. কামালের ওপর হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এখন কে কোথায় কী করেছে, এগুলো তদন্তের আগে আমরা কিছু বলতে পারব না। আমি মনে করি, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশনা, কেউ কারো ওপরে অ্যাটাক করার বিষয়ে তিনি মানা করে দিয়েছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা যথাসাধ্য সেটা চেষ্টা করছেন।’
ধাক্কাধাক্কির কথা বলা হয়নি, সুস্পষ্টভাবে গাড়ি ভাঙচুরের কথা বলা হয়েছে সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন আমরা বলছি, এটা তদন্তের আগে আমরা বলতে পারব না। কারণ আপনারা দেখেছেন বিএনপির যারা নমিনেশন বঞ্চিত, তাদের অফিস ভাঙচুরও দেখেছেন। তাদেরকে জামাটামা ছিড়ে দিয়েছে সেটাও তো দেখেছেন। এখন এটা কেন হয়েছে আমরা না জেনে বলতে পারব না।’
ঢাকা-১২ আসনে আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রাথী সাইফুল আলম নীরব। তবে আসনটিতে বিএনপির কোনো প্রচারণা নেই। ভোটাররা বলছেন, সাইফুল আলম নীরব রয়েছেন নীরবেই। তবে আসনটিতে প্রচারণায় রয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জোনায়েদ সাকি (কোদাল) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ শওকত আলী হাওলাদার (হাতপাখা)। বাম নেতার সাকির প্রচারণায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। তার পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ সাকির।
সাকির প্রচারণায় হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘যখনই ইলেকশন আসে তখনই মানুষ রাস্তায় নামে কিংবা তাদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। একটু অস্থিরতা বাড়ে সেই সময়, একটু আসন্তোষ আমি বলব না, একটু অন্য রকমের পরিস্থিতি হয়, একটা আনন্দমুখর পরিস্থিতি হয়, একটা উৎসবমুখর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই পরিস্থিতিতে একটু ধাক্কাধাক্কি, একটু কথা কাটাকাটি সবসময় হয়ে আসছে। এখন এর অতিরিক্ত কিছু হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যেমন অতিরিক্ত আমাদের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আমাদের যুবলীগের এক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, আমাদের আওয়ামী লীগের এক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। সেইগুলো অবশ্যই উদ্দেশ্যমূলক, আমি মনে করি। আমি মনে করি এই যে হত্যা করার দৃশ্যটা, এটার পেছনে নিশ্চয় কোনো ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। আমরা সেগুলো তদন্তের পর বলতে পারব কে ঘটিয়েছে, কেন ঘটিয়েছে। আমরা মনে করি এ দেশের জনগণ কোনো সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ কোনো হত্যার রাজনীতিকে বিশ্বাস করে না।’
‘এ দেশেরজনগণ মনে করে ভোটের মাধ্যমেই তারা নতুন সরকারকে নির্বাচিত করবে। সেজন্যই জনগণ আজকে এত স্বতঃস্ফূর্ত। এত উৎসবমুখর। আমরা মনে করি জনগণ সঠিক কাজটাই করবে। যারা এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে এবং করতে চায়, এবং যারা করার মাধ্যমে অস্থিতিশীল করবে আমরা তদন্ত করে আইনের আওতায় আনব।’