ঢাকা ০৩:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের রেকার অপারেটর সোহেলের আত্মকাহিনী দৈনিক মাতৃভূমির খবর ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ‘””শেখ নিয়াজ মোহাম্মদ”” উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করবে চসিক ও সিএমপি নির্বাচনী ছড়া বাড়ছে সাংবাদিক কমছে সাংবাদিকতা-মোঃ রাব্বী মেল্লা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাতুয়াইলে বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও আহত ২ লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী

হবিগঞ্জ আদালতে ভুক্তভোগী তরুণীকে বিয়ে করলেন ধর্ষণ মামলার আসামি।

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

ধর্ষণ মামলায় জামিনে কারামুক্ত হতে আদালতে ভুক্তভোগী তরুণী বিয়ে করলেন আসামি মঙ্গলবার (৩১-মে) হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে এ বিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য আসামিকে কারাগার থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে বিয়ে অনুষ্ঠানের আগে বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ আসামি সাজন মিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন এরপর এজলাসে বসেই বিয়ে পিঁড়িতে বসেন তারা কয়েকজন আইনজীবী, সাংবাদিক পুলিশ ও দুই পক্ষের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ আদালতের সেরেস্তাদার জিয়াউল হক জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন এ আসামি চীফ জুডিসিয়াল আদালতে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু জামিন পাননি। পরে তিনি হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে জামিনের আবেদন করেন মঙ্গলবার আদালত বিয়ের শর্তে আসামির আইনজীবি জহিরুল হক তুহিন জামিনের আবেদন করেন। মঙ্গলবার শুনানিকালে কারাগার থেকে আসামিকে হাজির করা হয় আদালতে। বাদী ভুক্তভোগী ওই তরুণীও হাজির ছিলেন।

এ সময় আসামি আদালতে বিয়ে করতে রাজি আছেন বলে জানান এরপর আদালত ভুক্তভোগীকে বিয়ে করার শর্তে আসামিকে জামিন দেন এরপর এজলাসে স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিবাহের কাজ সম্পন্ন হয়। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামী সাজন মিয়া ও ওই তরুণী একে অন্যের প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে প্রায়ই বিভিন্ন বিষয়ে গল্প-গুজব হতো তাদের মধ্যে এক পর্যায়ে সাজন মিয়া কৌশলে তরুণীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তরুণীকে অভিভাবক বিভিন্ন স্থানে খোজা-খুজি করে অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর মূলে মামলা রুজু করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আজমীরিগঞ্জ থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন। পরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোজাখোজি করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে আসামী সাজন মিয়াকে গ্রেফতার করে জেলে প্রেরণ করেন। দীর্ঘ ৫ মাস জেলে থাকার পর বিয়ের শর্তে আসামীকে গত মঙ্গলবার (৩১-মে) আদালতে হাজির করা হয়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের রেকার অপারেটর সোহেলের আত্মকাহিনী

হবিগঞ্জ আদালতে ভুক্তভোগী তরুণীকে বিয়ে করলেন ধর্ষণ মামলার আসামি।

আপডেট টাইম ০৮:২৪:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

ধর্ষণ মামলায় জামিনে কারামুক্ত হতে আদালতে ভুক্তভোগী তরুণী বিয়ে করলেন আসামি মঙ্গলবার (৩১-মে) হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে এ বিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য আসামিকে কারাগার থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে বিয়ে অনুষ্ঠানের আগে বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ আসামি সাজন মিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন এরপর এজলাসে বসেই বিয়ে পিঁড়িতে বসেন তারা কয়েকজন আইনজীবী, সাংবাদিক পুলিশ ও দুই পক্ষের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ আদালতের সেরেস্তাদার জিয়াউল হক জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন এ আসামি চীফ জুডিসিয়াল আদালতে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু জামিন পাননি। পরে তিনি হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে জামিনের আবেদন করেন মঙ্গলবার আদালত বিয়ের শর্তে আসামির আইনজীবি জহিরুল হক তুহিন জামিনের আবেদন করেন। মঙ্গলবার শুনানিকালে কারাগার থেকে আসামিকে হাজির করা হয় আদালতে। বাদী ভুক্তভোগী ওই তরুণীও হাজির ছিলেন।

এ সময় আসামি আদালতে বিয়ে করতে রাজি আছেন বলে জানান এরপর আদালত ভুক্তভোগীকে বিয়ে করার শর্তে আসামিকে জামিন দেন এরপর এজলাসে স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিবাহের কাজ সম্পন্ন হয়। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামী সাজন মিয়া ও ওই তরুণী একে অন্যের প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে প্রায়ই বিভিন্ন বিষয়ে গল্প-গুজব হতো তাদের মধ্যে এক পর্যায়ে সাজন মিয়া কৌশলে তরুণীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তরুণীকে অভিভাবক বিভিন্ন স্থানে খোজা-খুজি করে অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর মূলে মামলা রুজু করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আজমীরিগঞ্জ থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন। পরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোজাখোজি করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে আসামী সাজন মিয়াকে গ্রেফতার করে জেলে প্রেরণ করেন। দীর্ঘ ৫ মাস জেলে থাকার পর বিয়ের শর্তে আসামীকে গত মঙ্গলবার (৩১-মে) আদালতে হাজির করা হয়।