ঢাকা ০১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ” বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন।

টাঙ্গাইলে আমানত স্পেশালাইজড হাসপাতালে ডা.লিংকু রানীর প্রতি ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

মোঃ মশিউর রহমান,টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে এক ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, ডাক্তার লিংকু রানী কর এর ভুল চিকিৎসা ও ক্লিনিকের অব্যবস্থাপণার কারনে হাসতাপাতাল বেডে শুয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এক মা। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইল শহরের পৌর এলাকার সাবালিয়া আমানত স্পেশালাইজড হাসপাতালে। জানা যায়, গত ১৫ই মে পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাকের ভাই আরিফুর রহমানের স্ত্রী খাদিজাতুল কোবরা অন্তরা’র (২৪) ডেলিভারীর ব্যাথা উঠলে সিজারের অপারেশন এর জন্য আমানত স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন।

এরপর খাদিজাতুল কোবরা’র সকল ধরণের পরীক্ষা -নিরীক্ষা করানো হয়। সকল পরীক্ষার রেজাল্ট ঠিক থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সকাল ১০টায় সিজারের সময় দেয়। তারপর ডাক্তার লিংকু রানী কর এর তত্ত্বাবধানে অপারেশন শেষে বাচ্চাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ১ ঘন্টা পরে বাচ্চার মাকে বেডে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর শিশুর মা খাদিজাতুল কোবরা’র খিঁচুনি আর বমি শুরু হয় বলে জানান তার স্বামী আরিফুর রহমান। উপায়ন্তর না দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কে বিষয়টি অবহিত করা হয়। কর্তৃপক্ষ বলেন সমস্যা নেই ঠিক হয়ে যাবে। এটা হয়েই থাকে! তারা কোন গুরুত্বই দেয়নি বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের। এভাবে ১ ঘন্টা অতিবাহিত হলে রোগীর অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে। দেখা যায় তার অপারেশনের সেলাই থেকে রক্ত বের হয়ে বিছানা রক্তে ভিজে গেছে। অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণের ফলে রোগী আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে পরে।

রোগীর অবস্থা একদম সংকটপূর্ণ হওয়ায় তাকে দ্বিতীয় বারের মতো আবার ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। শুরু হয় পূনরায় অপারেশন তখনও রক্ত পরা বন্ধ না হওয়ায় তারা সন্ধ্যার দিকে এসে জানায়, আমাদের পক্ষে রোগীর রক্ত বন্ধ করা সম্ভব নয়। তখন রোগীর পরিবার রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তর করতে বললে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নানা তালবাহানা শুরু করেন ভুক্তভোগীর পরিবার অনেক অনুরোধ করার পর রাত ৮ টার সময় রোগীকে কুমুদিনী হাসপাতালে রেফার্ড করে দেন। এরপর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে তাকে রাত ১১.৩০ মিনিটের সময় ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। এরপর রোগীকে নিয়ে এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেলের উদ্যেশ্যে রওনা করা হয়। হতাশা আর নানাবিধ চিন্তায় দিশকুল হারিয়ে ফেলে রোগীর পরিবার। রাত্রি ২.৩০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেলে পৌছালে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তার চিকিৎসা দিতে থাকেন। এতেও যখন রোগীর উন্নতি হচ্ছিলো না। তখন ডাক্তারগণ রোগীকে স্কয়ার হাসপাতালে আইসিউতে রাখার পরামর্শদেন বলে জানান রোগীর স্বামী আরিফুর রহমান।

দেরি না করে “স্কয়ার হাসপাতাল” এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে ভোর ৪ টায় স্কয়ার হাসপাতালে পৌঁছায়। তখন সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর কন্ডিশন সিরিয়াস দেখে চিকিৎসা দিতে অপারোগতা প্রকাশ করেন। ভুক্তভোগীর পরিবার কর্তৃপক্ষকে অনেক অনুরোধ করার পর রোগীকে আইসিউতে ভর্তি করেন। সেখানে আইসিউতে রেখে চলছে মা’ খাদিজাতুল কোবরা’র চিকিৎসা। তার পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছেন। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় আমানত স্পেশালাইজড হাসপাতালে এর আগেও রোগী চিকিৎসা অবহেলা ও হয়রানীর স্বীকার হয়েছে। এ ব্যাপারে ডাক্তার লিংকু রানী কর এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি এখন ওটিতে ডুকবো। কোন কথা বলতে পারবো না, পরে ফোন দিয়েন বলে ফোনটি কেটে দেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন’সহ প্রশাসনের নয়টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রোগীর স্বামী আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, যাদের দ্বারা আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি তাদের যেন দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া হয়। যাতে আর কোন রোগী এরকম হয়রানীর স্বীকার না হয়। সেইসাথে ডাক্তার লিংকু রানীর শাস্তি দাবী করেন ভূক্তভোগী পরিবার।

Tag :

আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

টাঙ্গাইলে আমানত স্পেশালাইজড হাসপাতালে ডা.লিংকু রানীর প্রতি ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

আপডেট টাইম ০৭:৫৯:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২

মোঃ মশিউর রহমান,টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে এক ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, ডাক্তার লিংকু রানী কর এর ভুল চিকিৎসা ও ক্লিনিকের অব্যবস্থাপণার কারনে হাসতাপাতাল বেডে শুয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এক মা। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইল শহরের পৌর এলাকার সাবালিয়া আমানত স্পেশালাইজড হাসপাতালে। জানা যায়, গত ১৫ই মে পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাকের ভাই আরিফুর রহমানের স্ত্রী খাদিজাতুল কোবরা অন্তরা’র (২৪) ডেলিভারীর ব্যাথা উঠলে সিজারের অপারেশন এর জন্য আমানত স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন।

এরপর খাদিজাতুল কোবরা’র সকল ধরণের পরীক্ষা -নিরীক্ষা করানো হয়। সকল পরীক্ষার রেজাল্ট ঠিক থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সকাল ১০টায় সিজারের সময় দেয়। তারপর ডাক্তার লিংকু রানী কর এর তত্ত্বাবধানে অপারেশন শেষে বাচ্চাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ১ ঘন্টা পরে বাচ্চার মাকে বেডে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর শিশুর মা খাদিজাতুল কোবরা’র খিঁচুনি আর বমি শুরু হয় বলে জানান তার স্বামী আরিফুর রহমান। উপায়ন্তর না দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কে বিষয়টি অবহিত করা হয়। কর্তৃপক্ষ বলেন সমস্যা নেই ঠিক হয়ে যাবে। এটা হয়েই থাকে! তারা কোন গুরুত্বই দেয়নি বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের। এভাবে ১ ঘন্টা অতিবাহিত হলে রোগীর অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে। দেখা যায় তার অপারেশনের সেলাই থেকে রক্ত বের হয়ে বিছানা রক্তে ভিজে গেছে। অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণের ফলে রোগী আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে পরে।

রোগীর অবস্থা একদম সংকটপূর্ণ হওয়ায় তাকে দ্বিতীয় বারের মতো আবার ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। শুরু হয় পূনরায় অপারেশন তখনও রক্ত পরা বন্ধ না হওয়ায় তারা সন্ধ্যার দিকে এসে জানায়, আমাদের পক্ষে রোগীর রক্ত বন্ধ করা সম্ভব নয়। তখন রোগীর পরিবার রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তর করতে বললে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নানা তালবাহানা শুরু করেন ভুক্তভোগীর পরিবার অনেক অনুরোধ করার পর রাত ৮ টার সময় রোগীকে কুমুদিনী হাসপাতালে রেফার্ড করে দেন। এরপর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে তাকে রাত ১১.৩০ মিনিটের সময় ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। এরপর রোগীকে নিয়ে এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেলের উদ্যেশ্যে রওনা করা হয়। হতাশা আর নানাবিধ চিন্তায় দিশকুল হারিয়ে ফেলে রোগীর পরিবার। রাত্রি ২.৩০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেলে পৌছালে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তার চিকিৎসা দিতে থাকেন। এতেও যখন রোগীর উন্নতি হচ্ছিলো না। তখন ডাক্তারগণ রোগীকে স্কয়ার হাসপাতালে আইসিউতে রাখার পরামর্শদেন বলে জানান রোগীর স্বামী আরিফুর রহমান।

দেরি না করে “স্কয়ার হাসপাতাল” এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে ভোর ৪ টায় স্কয়ার হাসপাতালে পৌঁছায়। তখন সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর কন্ডিশন সিরিয়াস দেখে চিকিৎসা দিতে অপারোগতা প্রকাশ করেন। ভুক্তভোগীর পরিবার কর্তৃপক্ষকে অনেক অনুরোধ করার পর রোগীকে আইসিউতে ভর্তি করেন। সেখানে আইসিউতে রেখে চলছে মা’ খাদিজাতুল কোবরা’র চিকিৎসা। তার পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছেন। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় আমানত স্পেশালাইজড হাসপাতালে এর আগেও রোগী চিকিৎসা অবহেলা ও হয়রানীর স্বীকার হয়েছে। এ ব্যাপারে ডাক্তার লিংকু রানী কর এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি এখন ওটিতে ডুকবো। কোন কথা বলতে পারবো না, পরে ফোন দিয়েন বলে ফোনটি কেটে দেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন’সহ প্রশাসনের নয়টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রোগীর স্বামী আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, যাদের দ্বারা আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি তাদের যেন দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া হয়। যাতে আর কোন রোগী এরকম হয়রানীর স্বীকার না হয়। সেইসাথে ডাক্তার লিংকু রানীর শাস্তি দাবী করেন ভূক্তভোগী পরিবার।