লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের রাস্তা গুলোর বেহাল দশার কারনে জন সাধারণকে চলাচলে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে রাস্তা গুলোর এমন অবস্থা কিন্তু এগুলো সংস্কারেরও কোনো পদক্ষেপ না থাকায় জন সাধারণের দুর্ভোগ দিনদিন বেড়েই চলেছে ছাতিয়াইন-পিয়াইম-বাঘাসুরা,ছাতিয়াইন-শিমুলঘর ছাতিয়াইন-রামেশ্বর,ছাতিয়াইন-দাসপাড়া-একতিয়ারপুর-মনিপুর রাস্তাগুলো যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয় প্রতিদিন এসব সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা টমটম করে জনসাধারণ চলাচল করে থাকেন বেশীরভাগ রাস্তার অনেক জায়গায় কার্পেটিং খসে পড়ে বিপজ্জনক খানাখন্দ সৃষ্টি হলেও এগুলোর সংস্কারে বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ নেই।
ছাতিয়াইন- দাসপাড়া-একতিয়ারপুর-মনিপুর রাস্তায় আজ পর্যন্ত কার্পেটিং করা হয়নি। ছাতিয়াইন বাজার থেকে দাসপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তায় ইট বিছানো হলেও এরপর একতিয়ারপুর-মনিপুর পর্যন্ত আরো অন্তত ৩ কিলোমিটার রাস্তায় কার্পেটিং কিংবা ইট বিছানো দূরের কথা কাঁচা রাস্তার সংস্কারেও কোনো উদ্যোগ নেই, একতিয়ারপুর এবং মনিপুর গ্রামের লোকজনকে ইউনিয়ন পরিষদে কিংবা ছাতিয়াইন বাজারে জরুরী কোনো কাজে আসতে হলে শাহপুর গিয়ে রতনপুর হয়ে কমপক্ষে ৫ কিলোমিটার ঘুরপথ পার হয়ে আসতে হয়।
ছাতিয়াইন থেকে রামেশ্বরে যাওয়ার কাঁচা রাস্তাটিতেও মাটি ফেলে জনচলাচলের উপযোগী করার উদ্যোগ নেই, ছাতিয়াইন বাজার থেকে পিয়াইম হয়ে বাঘাসুরা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তাটির স্থানে স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে একটু বৃষ্টিতে রাস্তার খানাখন্দে হাঁটুপানি জমে মারাত্মক জন দূর্ভোগ তৈরী করেছে।ছাতিয়াইন বাজার থেকে শিমুলঘর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তা এবং ছাতিয়াইন থেকে রতনপুর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তা দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকা সিলেট মহাসড়কের রতনপুর থেকে প্রতিদিন ছাতিয়াইন বাজার হয়ে শিমুলঘরের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বামৈ পর্যন্ত যাত্রীবাহি শতশত সিএনজি চালিত অটোরিক্সা প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে কিন্তু রতনপুর থেকে ছাতিয়াইন পর্যন্ত রাস্তাটি স্থানেস্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে এবং খানাখন্দ তৈরী হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কিছু দিন আগে রাস্তার কিছু অংশের সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে এ রাস্তার ছাতিয়াইন শিমুলঘর অংশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।
৩ কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তাটির এ অংশে কার্পেটিং সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত এবং স্থানেস্থানে গর্ত ও খানাখন্দ থাকায় এ রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীসাধারণকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, ছাতিয়াইন-রতনপুর সড়কের উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়নি। যে অংশটুকুতে ম্যাকাডাম করা হয়েছে সেই অংশে খুব শীঘ্রই কার্পেটিং করা হবে আর ছাতিয়াইন-পিয়াইম-বাঘাসুরা সড়কের উন্নয়নের জন্য টেন্ডার হয়ে গেছে অচিরেই কাজ শুরু হবে অন্যান্য রাস্তাগুলোর কাজও পর্যায়ক্রমে হাতে নেওয়া হবে।