ঢাকা ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করবে চসিক ও সিএমপি নির্বাচনী ছড়া বাড়ছে সাংবাদিক কমছে সাংবাদিকতা-মোঃ রাব্বী মেল্লা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাতুয়াইলে বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও আহত ২ লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

আস্থা ভোটে টিকে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   ব্রিটেনের কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বে থাকার প্রশ্নে আস্থা ভোটে টিকে গেলেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ফলে আরও অন্তত এক বছর তিনি দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। আগামী এক বছরের মধ্যে দলে তার নেতৃত্ব নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন গ্রহণ করা হবে না। বুধবার রাতে ভোটাভুটিতে থেরেসা মের পক্ষে পড়েছে ২০০ ভোট আর বিপক্ষে ১১৭। আস্থা ভোটে থেরেসা মে জিতেছেন ৮৩ ভোটে। দলের ৬৩ শতাংশ এমপি ছিল তার পক্ষে আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৩৭ শতাংশ। ভোটে হেরে গেলে দলের প্রধানের পদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর পদও ছাড়তে হতো তাকে।

জয়ের পর থেরেসা মে দলের এমপিদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি এটি ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে তাকে সহায়তা করবে বলেও জানান। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে গণভোটের পর ২০১৬ সালে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে আসেন মে। কিন্তু আগাম নির্বাচনে বড় পরাজয়ের পর গত বছরও তার নেতৃত্ব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য দুই বছরের চেষ্টায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যে চুক্তির খসড়া মে গত মাসে তৈরি করেছেন, তাতে ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়া কিংবা ব্রেক্সিট প্রশ্নে আরেকটি গণভোট আয়োজনের সুযোগ তৈরি হতে পারে। কিন্তু মের ওই খসড়া তার দলের ভেতরেই প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েছে। ওই চুক্তির খসড়া নিয়ে সোমবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হওয়ার কথা থাকলেও পরাজয় নিশ্চিত জেনে মে তা বাতিল করে দেন। কিন্তু তাতেই তার দলে বিদ্রোহ প্রকাশ্যে চলে আসে। কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের মধ্যে ইইউবিরোধীরা মের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে আস্থা ভোট ডেকে বসেন। নেতৃত্বের পরীক্ষায় উৎরে যাওয়ার পর টেরিজা মে ডাউনিং স্ট্রিটে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আজ রাতের ভোটাভুটিতে সহকর্মীরা ব্যালটের মাধ্যমে আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন, সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। তবে সহকর্মীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আমার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। তারা যা বলেছেন, তা আমি শুনেছি।’

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র

আস্থা ভোটে টিকে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে

আপডেট টাইম ০২:২০:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   ব্রিটেনের কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বে থাকার প্রশ্নে আস্থা ভোটে টিকে গেলেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ফলে আরও অন্তত এক বছর তিনি দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। আগামী এক বছরের মধ্যে দলে তার নেতৃত্ব নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন গ্রহণ করা হবে না। বুধবার রাতে ভোটাভুটিতে থেরেসা মের পক্ষে পড়েছে ২০০ ভোট আর বিপক্ষে ১১৭। আস্থা ভোটে থেরেসা মে জিতেছেন ৮৩ ভোটে। দলের ৬৩ শতাংশ এমপি ছিল তার পক্ষে আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৩৭ শতাংশ। ভোটে হেরে গেলে দলের প্রধানের পদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর পদও ছাড়তে হতো তাকে।

জয়ের পর থেরেসা মে দলের এমপিদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি এটি ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে তাকে সহায়তা করবে বলেও জানান। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে গণভোটের পর ২০১৬ সালে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে আসেন মে। কিন্তু আগাম নির্বাচনে বড় পরাজয়ের পর গত বছরও তার নেতৃত্ব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য দুই বছরের চেষ্টায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যে চুক্তির খসড়া মে গত মাসে তৈরি করেছেন, তাতে ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়া কিংবা ব্রেক্সিট প্রশ্নে আরেকটি গণভোট আয়োজনের সুযোগ তৈরি হতে পারে। কিন্তু মের ওই খসড়া তার দলের ভেতরেই প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েছে। ওই চুক্তির খসড়া নিয়ে সোমবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হওয়ার কথা থাকলেও পরাজয় নিশ্চিত জেনে মে তা বাতিল করে দেন। কিন্তু তাতেই তার দলে বিদ্রোহ প্রকাশ্যে চলে আসে। কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের মধ্যে ইইউবিরোধীরা মের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে আস্থা ভোট ডেকে বসেন। নেতৃত্বের পরীক্ষায় উৎরে যাওয়ার পর টেরিজা মে ডাউনিং স্ট্রিটে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আজ রাতের ভোটাভুটিতে সহকর্মীরা ব্যালটের মাধ্যমে আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন, সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। তবে সহকর্মীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আমার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। তারা যা বলেছেন, তা আমি শুনেছি।’