ঢাকা ১২:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

শেখ জামালের জন্মদিনে আমরা গভীর ভাবে স্মরন করি

( আবুল বারাকাত , বিশেষ প্রতিনিধি )
বঙ্গবন্ধুকে দীর্ঘ সময় ধরে জেলে থাকতে
হয়েছিল বলে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং বড় বোন শেখ হাসিনা শেখ জামালকে ছোটবেলা থেকেই দিক নির্দেশনা দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন। ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের জন্মদিন। তিনি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে ম্যাট্রিক ও ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন।

শেখ জামাল ছিলেন পিতার মতো নিরহঙ্কার, নির্ভীক ও দেশপ্রেমের মূর্ত প্রতীক। পরিবারের সাংস্কৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা শেখ জামালের পছন্দ ছিল সুর, সে কারণেই শিখতেন গিটার, ক্রিকেটার হিসেবেও ছিল তার বেশ সুনাম। ছিলেন রাজনীতিতে আগ্রহী ও সচেতন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৫ আগস্ট ধানমণ্ডির ১৮ নম্বর রোডের গৃহবন্দি বাড়ি আর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর তীক্ষ্ণ নজর থেকে পালিয়ে ভারতের আগরতলা চলে যান শেখ জামাল। সেখান থেকে কলকাতা হয়ে পৌঁছান উত্তর প্রদেশের কালশীতে। মুজিব বাহিনীর ৮০ জন নির্বাচিত তরুণের সঙ্গে ২১ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন শেখ জামাল। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের যোদ্ধা। রাইফেল কাঁধে অসীম সাহসের সঙ্গে পাকিস্তানি শত্রুর মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে মুক্ত করে সগৌরবে ফিরে আসেন পরিবারের কাছে।

যুদ্ধের ময়দানে কিংবা পালানোর সময় পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধরা পড়লে তাঁর মৃত্যু ছিল অনিবার্য।

শেখ জামাল পিতা শেখ মুজিব ও মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের আশীর্বাদ নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পূর্ণাঙ্গরূপে গঠিত হলে তিনি সেনাবাহিনীর প্রথম ব্যাচের কমিশন্ড অফিসার হন। লন্ডনে লেখাপড়ার পরে তিনি হন লেফটেন্যান্ট। পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতায় মুগ্ধ করে রাখতেন সবাইকে। সৈনিক থেকে সিনিয়র অফিসার, সবারই নয়নমণি হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কাজের প্রতি একনিষ্ঠতা আর অহংকারহীন জীবনযাপনে সবাইকে আপন করে নিতে তার তুলনা মেলানো ছিলো প্রায় অসম্ভব। আর সেই কারণেই তিনি তার পরিচিতদের কাছে হয়ে আছেন ইতিহাসের উজ্জ্বল অংশ।

জীবন যখন নির্মাণের ধাপগুলো স্পর্শ করছে ঠিক তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ জামালকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ঘাতকের বুলেট তাঁর স্মৃতিকে বিলোপ করতে পারেনি বরং মৃত্যু অমর করেছে শেখ জামালের অবদানকে।

তাঁর জন্মদিনে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা..।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

শেখ জামালের জন্মদিনে আমরা গভীর ভাবে স্মরন করি

আপডেট টাইম ০৭:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

( আবুল বারাকাত , বিশেষ প্রতিনিধি )
বঙ্গবন্ধুকে দীর্ঘ সময় ধরে জেলে থাকতে
হয়েছিল বলে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং বড় বোন শেখ হাসিনা শেখ জামালকে ছোটবেলা থেকেই দিক নির্দেশনা দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন। ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের জন্মদিন। তিনি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে ম্যাট্রিক ও ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন।

শেখ জামাল ছিলেন পিতার মতো নিরহঙ্কার, নির্ভীক ও দেশপ্রেমের মূর্ত প্রতীক। পরিবারের সাংস্কৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা শেখ জামালের পছন্দ ছিল সুর, সে কারণেই শিখতেন গিটার, ক্রিকেটার হিসেবেও ছিল তার বেশ সুনাম। ছিলেন রাজনীতিতে আগ্রহী ও সচেতন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৫ আগস্ট ধানমণ্ডির ১৮ নম্বর রোডের গৃহবন্দি বাড়ি আর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর তীক্ষ্ণ নজর থেকে পালিয়ে ভারতের আগরতলা চলে যান শেখ জামাল। সেখান থেকে কলকাতা হয়ে পৌঁছান উত্তর প্রদেশের কালশীতে। মুজিব বাহিনীর ৮০ জন নির্বাচিত তরুণের সঙ্গে ২১ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন শেখ জামাল। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের যোদ্ধা। রাইফেল কাঁধে অসীম সাহসের সঙ্গে পাকিস্তানি শত্রুর মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে মুক্ত করে সগৌরবে ফিরে আসেন পরিবারের কাছে।

যুদ্ধের ময়দানে কিংবা পালানোর সময় পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধরা পড়লে তাঁর মৃত্যু ছিল অনিবার্য।

শেখ জামাল পিতা শেখ মুজিব ও মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের আশীর্বাদ নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পূর্ণাঙ্গরূপে গঠিত হলে তিনি সেনাবাহিনীর প্রথম ব্যাচের কমিশন্ড অফিসার হন। লন্ডনে লেখাপড়ার পরে তিনি হন লেফটেন্যান্ট। পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতায় মুগ্ধ করে রাখতেন সবাইকে। সৈনিক থেকে সিনিয়র অফিসার, সবারই নয়নমণি হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কাজের প্রতি একনিষ্ঠতা আর অহংকারহীন জীবনযাপনে সবাইকে আপন করে নিতে তার তুলনা মেলানো ছিলো প্রায় অসম্ভব। আর সেই কারণেই তিনি তার পরিচিতদের কাছে হয়ে আছেন ইতিহাসের উজ্জ্বল অংশ।

জীবন যখন নির্মাণের ধাপগুলো স্পর্শ করছে ঠিক তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ জামালকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ঘাতকের বুলেট তাঁর স্মৃতিকে বিলোপ করতে পারেনি বরং মৃত্যু অমর করেছে শেখ জামালের অবদানকে।

তাঁর জন্মদিনে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা..।