মনির হোসেন, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার মদনে গত ২১ এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক সময় রাত ৮ টা দিকে সাজেদা আক্তার( ২৫)নামের এক গৃহবধূ কে
মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত ঘোষণা করার পর স্বামীর স্বজনেরা গৃহবধূ সাজেদা আক্তারের মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান। এ ঘটনাটি ঘটেছে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
ওই গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মদন থানা পুলিশ নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
মৃত গৃহবধূ সাজেদা আক্তার ৩ নং মদন ইউনিয়নের বাগধাইর গ্রামের মালয়েশিয়ান প্রবাসী হুমায়ূন মিয়ার স্ত্রী।
তার বাবার বাড়ি কেন্দুয়াধীন মাসকা ইউনিয়নের বেগুনি গ্রামের মৃত আঃ সাত্তারের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়,বাগদাইর গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে হুমায়ুন (৩৫) এর সাথে ৯ বছর পূর্বে সাজেদা আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিবাহ করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনের মুজাহিদ নামের এক ৭ সাত বছরের ছেলে সন্তানও রয়েছে।
স্বামী হুমায়ুন কর্মজীবনে ৩ বছর মালয়েশিয়া থাকার পর গত ২ মাস আগে বাড়িতে আসেন। হুমায়ুন মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আবার প্রস্তুতি নিলে, স্ত্রী সাজেদা আক্তার স্বামীকে মালয়েশিয়া ফের না যাওয়ার জন্য বাধা দেন ,এতে স্বামী-স্ত্রীর দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়।
গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনা জানতে, সরোজমিনে গেলে , প্রতিবেশী আবু সাদেকের স্ত্রী করোনা আক্তার ও আনচু মিয়ার স্ত্রী খুকী আক্তার বলেন,বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইফতারের সময় , তাদের পরিবারের লোকজনের ডাক চিৎকার শুনে এসে দেখি সাজেদা আক্তারের এর মাথায় পানি ঢালছে পরিবারের লোকজন।
জিজ্ঞেস করলে বলে স্ট্রোক করেছে , পরবর্তীতে শুনি গলায় ফাঁসি দিয়েছে, পানি ঢালার সময় হাত-পাও নড়াচড়া করতে আমারা দেখেছি।
প্রতিবেশীরাই এও বলেন, মৃত্যুর খবর শুনে বাড়ির সবাই ঘরে তালা ঝুলিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
হুমায়ুনের বড় ভাই ,আবুল বাশার বলেন, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সাজেদা আক্তার আত্মহত্যা করেছে খবর শুনে হাসপাতলে আসলে পুলিশ আমাকে আটক করেছন।
মৃত সাজেদা আক্তারের ভাই সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার বোন তার স্বামী হুমায়ূনকে মালয়েশিয়া যেতে নিষেধ করায়,মেরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, মরে গেছে শুনে হাসপাতালে রেখেই সবাই পালিয়ে যায় সবাই, যারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, মদন থানা ওসি মোঃ ফেরদৌস আলম তিনি বলেন , মৃত সাজেদা আক্তারের
ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন ,এ মামলায় আবুল বাশারকে আটক দেখানো হয়েছে।