ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইলে উপজেলা নির্বাচনের ৩য় ও ৪র্থ ধাপের প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় টাঙ্গাইলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে নির্বাচনী ব্রিফিং অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার: তথ্য সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ০৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। বিড়ি শিল্প রক্ষায় পাবনা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের ৫ দফা দাবি ” ইউ, এস, জি, বি, সি, প্লাটিনাম সনদ অর্জন করলো এম,টি সোয়েটার্স” দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কার প্রচার প্রচারণায় জনতার ঢল । –২০১৮ সালে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা এলাকায় চাঞ্চল্যকর ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া স্কুল ছাত্র অন্তর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আজিজুল’কে দীর্ঘ ০৬ বছর পর ফরিদপুর জেলার ভাংগা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। বাকেরগঞ্জে জাহানারা মাহবুব মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

যেভাবে মানুষের ৭টি মৌলিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

( আবুল বারাকাত , বিশেষ প্রতিনিধি )

কৃষি, খাদ্য এবং পুষ্টিঃ
কৃষি ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথযাত্রা শুরু করেন শেখ হাসিনা। কারণ, এটি ঠিক থাকলে মানুষের জীবনযাত্রার অন্যান্য সুবিধাদিও বাড়ে। আর আমাদের দেশের সর্ববৃহৎ ক্ষেত্রটাই হলো কৃষি। কমপক্ষে ৪৩ শতাংশ মানুষ এই সেক্টরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই প্রধানমন্ত্রী মনে করতেন- কৃষিজ উৎপাদন বাড়লে শুধু মানুষেরই আয় বাড়ে না, বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির বিকাশ ঘটে। কোনো দেশের মানুষের ক্ষয়ক্ষমতা বাড়লে সেই দেশের কারখানা, শিল্প, বাজার, বাণিজ্য, এমনকি রফতানি পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন এবং গ্রামেও শহরের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে তাই তিনি গ্রামীণ অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেন। এমনকি চাষযোগ্য কোনো জমি যেনো অনাবাদি পড়ে না থাকে, সেজন্য চারটি বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছে সরকার।

(ক). কৃষকদের উন্নত জাতের ও উচ্চ ফলনশীল বীজ, সার এবং সেঁচ সুবিধা অন্যান্য কৃষিজ সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা।

(খ). চাষিদের জন্য বিনা জামানতে স্বল্প সুদে কৃষি ঋণ চালু। উন্নত চাষাবাদে সহায়তার জন্য কৃষকদের জন্য ভর্তুকি বৃদ্ধি এবং নগদ অনুদান দেওয়া।

(গ). শস্য, সবজি, মাছ, মাংস, ডিম এবং ফলমূলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বহুমুখী গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। সরকারের মূল লক্ষ্য হলো- দেশের মানুষের খাদ্য সুরক্ষা এবং পুষ্টি নিশ্চিত করা। এই গবেষণার কারণেই ইতোমধ্যে নতুন জাতের ভুট্টা, গম, সবজি এবং ফলমূল চাষ করা শুরু হয়েছে। উপকূল অঞ্চলের জন্য লবণাক্ত-পানি সহনীয় ধানের জাত, জলাশয়ে দেশীয় মাছের চাষ এবং একই জমিতে একই সঙ্গে ধানের চাষ করার স্কিম শুরু করেছে সরকার, যাতে বর্ষাকালে একই জমিতে একই সঙ্গে মাছ এবং ধানের চাষ হতে পারে। পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষকদের সচেতন করার কাজও করে যাচ্ছেন আমাদের বিজ্ঞানীরা।

(ঘ) আধুনিক চাষাবাদ সম্পর্কে কৃষকদের মধ্যে নিয়মিত জ্ঞান বিতরণ এবং তাদের কৃষি ও চাষাবাদ বিষয়ে আধুনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে মাটি পরীক্ষা করে তারা বুঝতে পারবে যে, কোন জমিতে কোন সার কী পরিমাণে প্রয়োজন। এছাড়াও পণ্যের বাজারজাতকরণ এবং সংরক্ষণেও বিষয়েও শিক্ষিত করা হচ্ছে কৃষকদের। ফলে বাংলাদেশের প্রায় সম-আয়তন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের সমান পরিমাণ কৃষিজ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। অভ্যন্তরীণ মৎস্য চাষে বার্ষিক উৎপাদনের হিসেবে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয়, ধান উৎপাদনে দ্বিতীয়, এবং সবজি উৎপাদনেও এখন বিশ্বে তিন নম্বর অবস্থানে বাংলাদেশ ,

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

টাঙ্গাইলে উপজেলা নির্বাচনের ৩য় ও ৪র্থ ধাপের প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময়

যেভাবে মানুষের ৭টি মৌলিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আপডেট টাইম ০৭:০৩:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২

( আবুল বারাকাত , বিশেষ প্রতিনিধি )

কৃষি, খাদ্য এবং পুষ্টিঃ
কৃষি ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথযাত্রা শুরু করেন শেখ হাসিনা। কারণ, এটি ঠিক থাকলে মানুষের জীবনযাত্রার অন্যান্য সুবিধাদিও বাড়ে। আর আমাদের দেশের সর্ববৃহৎ ক্ষেত্রটাই হলো কৃষি। কমপক্ষে ৪৩ শতাংশ মানুষ এই সেক্টরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই প্রধানমন্ত্রী মনে করতেন- কৃষিজ উৎপাদন বাড়লে শুধু মানুষেরই আয় বাড়ে না, বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির বিকাশ ঘটে। কোনো দেশের মানুষের ক্ষয়ক্ষমতা বাড়লে সেই দেশের কারখানা, শিল্প, বাজার, বাণিজ্য, এমনকি রফতানি পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন এবং গ্রামেও শহরের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে তাই তিনি গ্রামীণ অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেন। এমনকি চাষযোগ্য কোনো জমি যেনো অনাবাদি পড়ে না থাকে, সেজন্য চারটি বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছে সরকার।

(ক). কৃষকদের উন্নত জাতের ও উচ্চ ফলনশীল বীজ, সার এবং সেঁচ সুবিধা অন্যান্য কৃষিজ সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা।

(খ). চাষিদের জন্য বিনা জামানতে স্বল্প সুদে কৃষি ঋণ চালু। উন্নত চাষাবাদে সহায়তার জন্য কৃষকদের জন্য ভর্তুকি বৃদ্ধি এবং নগদ অনুদান দেওয়া।

(গ). শস্য, সবজি, মাছ, মাংস, ডিম এবং ফলমূলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বহুমুখী গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। সরকারের মূল লক্ষ্য হলো- দেশের মানুষের খাদ্য সুরক্ষা এবং পুষ্টি নিশ্চিত করা। এই গবেষণার কারণেই ইতোমধ্যে নতুন জাতের ভুট্টা, গম, সবজি এবং ফলমূল চাষ করা শুরু হয়েছে। উপকূল অঞ্চলের জন্য লবণাক্ত-পানি সহনীয় ধানের জাত, জলাশয়ে দেশীয় মাছের চাষ এবং একই জমিতে একই সঙ্গে ধানের চাষ করার স্কিম শুরু করেছে সরকার, যাতে বর্ষাকালে একই জমিতে একই সঙ্গে মাছ এবং ধানের চাষ হতে পারে। পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষকদের সচেতন করার কাজও করে যাচ্ছেন আমাদের বিজ্ঞানীরা।

(ঘ) আধুনিক চাষাবাদ সম্পর্কে কৃষকদের মধ্যে নিয়মিত জ্ঞান বিতরণ এবং তাদের কৃষি ও চাষাবাদ বিষয়ে আধুনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে মাটি পরীক্ষা করে তারা বুঝতে পারবে যে, কোন জমিতে কোন সার কী পরিমাণে প্রয়োজন। এছাড়াও পণ্যের বাজারজাতকরণ এবং সংরক্ষণেও বিষয়েও শিক্ষিত করা হচ্ছে কৃষকদের। ফলে বাংলাদেশের প্রায় সম-আয়তন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের সমান পরিমাণ কৃষিজ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। অভ্যন্তরীণ মৎস্য চাষে বার্ষিক উৎপাদনের হিসেবে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয়, ধান উৎপাদনে দ্বিতীয়, এবং সবজি উৎপাদনেও এখন বিশ্বে তিন নম্বর অবস্থানে বাংলাদেশ ,