লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
————————–
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড সমসেরাবাদ গ্রাম মিয়া রাস্তার মাথায় জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় যে, বিগত কয়েক বছর থেকে হোসেন মাষ্টার বাড়ির মৃত তোফায়েল আহম্মদ এর ছেলে মো. জিল্লাল হোসেন সমসেরাবাদ মৌজার সাবেক ৬৩৬ খতিয়ানের ১৩৪৯ দাগে ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে মিয়া রাস্তা মাথায় মালেকের দোকান সংলগ্ন দোকানঘর নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছে, গত- (১৭ এপ্রিল) রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে একই বাড়ির মো. নাছির আহাম্মদের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম শিবলুর নেতৃত্বে তার ভাই রাজন, মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে হোসেন মাস্টার, তার ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন, মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে বাহার উদ্দিন, সৈয়দ আহাম্মদের ছেলে হেলাল উদ্দিন, তার ছেলে সিফাত, মো. সফিক উল্যার ছেলে মো. স্বপন সহ আরো ৬/৭ জন লোক দ্যা, ছেনি, চাপাতি, রামদা, রড, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দোকানঘর ভাংচুর চালাই, দোকানঘর ভাংচুর করা কালীন সময়ে মো. জিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. সুজন মিয়া বাধা দিলে তার উপর ও তার গর্ভবতী স্ত্রী তাহমিনা আক্তার, এবং, জিল্লাল হোসেনের স্ত্রী জুলেখা বেগমকে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন, পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদেরকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করান । দোকানঘর ভাংচুরে ভুক্তভোগী পরিবারের ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন হয়, এবং, ঘটনার স্থল থেকে ভুক্তভোগী তাহমিনা আক্তারের গলায় থাকা ৭৫ হাজার টাকার ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, জুলেখা বেগমের কানে থাকা ১৮ হাজার টাকার ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল নিয়ে যান । আরো জানা যায়, মো. মনিরুল ইসলাম শিবলু জাল দলিল করার সাথেও জড়িত, তিনি এর আগেও ১৯৯১ সালে ৭৭নং লাহারকান্দি মৌজার ৩৫নং খতিয়ানের ৬৩ ডিসিম, এবং, আবিরনগর মৌজার ৭০নং খতিয়ানে ১০ ডিসিম মোট ৭৩ ডিসিম জমির জাল দলিল করার কারণে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়, আদালতে জাল দলিল প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সতর্ক করা, এবং, ঔই জমি গুলোতে আর না যাওয়ার জন্য আদালত নির্দেশনা দিয়েছে, সে সাথে তিনি আদালতে অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চান । এখন আবার তাদের দখল বাণিজ্য শুরু হওয়ায় এখন ভুক্তভোগী পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে, তারা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো. জিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত মো. মনিরুল ইসলাম শিবলু বলেন, জমি আমাদের, আমরা তাদেরকে কোন মারধর করিনি! বরঞ্চে তারা আমাদের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা করে আমাদের ৩ জন লোককে পিটিয়ে আহত করেছে, আমরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছি, আমরা আদালত ও থানায় হাজির হয়ে মামলা করেছি, সে মামলা গুলো চলমান রয়েছে ।