ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ৪০ হেক্টর জমিতে তরমুজ ও বাঙ্গির চাষ করা হয়েছে। বাজারে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছর ফলের দাম অনেক বেশি। গত বছর হতাশ হলেও এ বছর খুশি চাষিরা। রমজান মাসকে সামনে রেখে সারাদেশের মত ইন্দুরকানীতেও এ ফলের চাষ করা হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয় এই ফল। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ঘোষেরহাট, পত্তাশী, বালিপারা, চন্ডিপুর বাজার সকাল থেকেই চাষীরা বাঙ্গি ও তরমুজ নিয়ে বাজারে হাজির হয়। দেশের বিভিন্ন পাইকারি ব্যবসায়ী এখান থেকে হাজার হাজার বাঙ্গি ও তরমুজ কিনে নেয়। স্থানীয় চাষী ইব্রাহিম হাওলাদার বলেন, ১বিঘা জমিতে বাঙ্গি ও তরমুজ চাষে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। এ বছর ১ বিঘা জমিতে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাঙ্গি তোলার পর এ জমিতে ধান চাষ করা যায়। একই জমিতে দুই ধরনের ফসল চাষ করায় আমাদের অনেক লাভ হয়। বালিপারা গ্রামের বাঙ্গি চাষি বাবুল বলেন, আমি ৭৮ শতাংশ জমিতে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে বাঙ্গি চাষ করেছি, আশা করছি ১ লাখ টাকা বিক্রি করবো।
পত্তাশী বাজারের বাঙ্গি চাষি সামাদ আলী বলেন, আমি প্রতি বছর অল্প জমিতে বাঙ্গি চাষ করে তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করি। প্রতিটি বাঙ্গি ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করছি। ঢাকা থেকে আসা পাইকারী ব্যবসায়ী রতন বলেন- প্রতি রোজায় এখান থেকে তরমুজ ও বাঙ্গি কিনতে আসি। ১০০ বাঙ্গি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায় ও প্রতি পিচ তরমুজ ১৩০ থেকে ২১০ টাকায় কিনি। ইন্দুরকানী উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি ও তরমুজ চাষ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম ভালো পাওয়ায় খুশি চাষিরা।