রাজশাহী মহানগর প্রতিনিধিঃ

রাজশাহী চারঘাট উপজেলার ১ নং ইউসুফপুর ইউনিয়নের বেলঘরিয়া হতে কাটাখালী পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা।

২০১৮-২০১৯ অর্থ বছর এ কাটাখালী হতে বেলঘরিয়া পর্যন্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য খাল খনন শুরু হয়। রাজশাহীর বাঘা,চারঘাট ও পবা উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসন এবং ভূপরিস্হ পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।এই খালের দৈর্ঘ্য ১৬০০ কিঃ মিঃ চেইনেজ ২৫০০ কিঃ মিঃ । এই রাস্তা দিয়ে প্রায় আট থেকে দশ লাখ লোকের যাতায়াত। উল্লেখ্য, বেলঘরিয়া রোড দিয়ে ইউসুফপুর ,টাংগন,নওদাপাড়া,চৌমুহনী ,কাকাইলকাঠী,শাহাপুর গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে। এই রাস্তাটি ব্যাপক খারাপ হওয়ায় প্রতিদিনই দূর্ঘটনা ঘটে।

সামনে আসছে বর্ষাকাল, জনমনে আতংক, কিভাবে আমরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করব। রাস্তা তো নয় যেন এক মরন ফাঁদ। এই রাস্তা মেরামত করার কেউ নেই, রাস্তাটি মনে হয় মা বাবা ছাড়া।

কাকাইলকাঠীর ফারুক বলেন, এই রাস্তা খাল খননের নামে প্রায় দুই বছর আগে তাড়াহুড়ো করে কাজ শুরু করে। এখন এই রাস্তা সংস্কার করার কেউ নেই। ভোটের সময় অনেক নেতাদের দেখা যায় এখন ভোট শেষ সব ওয়াদা প্রতিশ্রতি শেষ।

শাহাপুরের এরশাদ বলেন, বর্ষাকাল এখনো আসেনি আমাদের রাস্তার বেহাল অবস্থা, কাজের কোন অগ্রগতি নেই। চারঘাট বাঘার রুপকার আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলম এমপি মহোদয়কে রাস্তা মেরামতের জন্য ফোন দিলে রিসিভ করে না। আমরা গ্রামের সাধারণ মানুষ কোথায় যাব, কিভাবে আমাদের রাস্তা মেরামত হবে,তাই আমরা এলাকাবাসীর দাবী চারঘাট উপজেলার ১ নং ইউসুফপুর ইউনিয়নের বেলঘরিয়া হতে কাটাখালী পর্যন্ত রাস্তা যেন দ্রুত মেরামত বা সংস্কার হয়, এই জন্য আমরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

কাটাখালীর শামীম বলেন,এই রাস্তার কোন অবিভাবক নেই। এই রাস্তা না পবার না চারঘাটের। পবার এমপি সাহেবের সাথে কথা বললে বলে এটি আমার এলাকা না, আর চারঘাটের এমপি সাহেব কে ফোন দিলে রিসিভ করে না। আমাদের এই রাস্তা যেন দ্রুত মেরামত হয় এই জন্য আমরা সরকারের উপর মহলের সু নজর আশা করছি।
রাজশাহী মহানগর প্রতিনিধিঃ