পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দুমকিতে সঙ্গবদ্ধ অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে একই বংশের ৩ টি পরিবারের ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
৪ এপ্রিল পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার ৩নং মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে দিবাগত রাত আনুমানিক ৯ টায় জয়গুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সত্য রঞ্জন দাসের পরিবারসহ পাশের বাড়ির আরও দুটি পরিবারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে সত্য রঞ্জন দাসের মা, স্ত্রী ও নিজে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায়। প্রতিবেশী দীলিপ দাস তার কাছে জমিজমার কাগজপত্র দেখাতে আসলে অনেক ডাকাডাকির পরও সত্য রঞ্জন দাস গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন অবস্থায় ঘরের খিড়কি খুলে আবারও শুয়ে পরেন।
বিষয়টি প্রতিবেশী দীলিপ এর কাছে সন্দেহজনক মনে হলে বারান্দায় থাকা মেজো ভাইয়ের ছেলে সংগ্রামকে জানায়। এরপর সংগ্রাম বাসার ভেতরে গিয়ে দেখে তার কাকী, দাদী ও কাকা সবাই অচেতন হয়ে পড়ে আছে। পাশের বাড়ির মনোরঞ্জন নাগ এর পরিবারেরও প্রায় সবারই ঐ একই অবস্থা ঘটে। এছাড়াও ঐ বাড়ির শেখর দাসের ১০ মাসের শিশু পুত্র শ্রেয়ানকে তার স্ত্রী খাবার খাওয়াতে গেলে ঝিমিয়ে পরতে দেখে সন্দেহ হয় এবং খাওয়া বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয় লোকজন অচেতন অবস্থায় সত্যরঞ্জন দাস (৫০), সুপর্ণা রানী দাস (৩৫), তোলা রানী (৬৫), তুলসী রানী (৩৫), মেঘলা রানী (৮), নিপা রানী (১৪) রাতুল (১), ঋতু রানী (১১), শ্রেয়ান (১০ মাস) উক্ত ৯ জনকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক।
উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, ইদানীং লক্ষ করা যাচ্ছে কিছু দুষ্কৃতকারীরা খাবারে চেতনা নাশক ঔষধ প্রয়োগ করে চুরি করছে। এ লক্ষ্যে গ্রাম পুলিশ দিয়ে পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করছি। এ বিষয় নিয়ে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করবো।
#
আবদুল মজিদ খান
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
৫/৪/২২