মোঃ আব্দুস সালাম বিশেষ প্রতিনিধি।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার,উপজেলা চৌমুহনী বাজার,ভানুগাছ বাজার,শমসেরনগর বাজার,মুন্সিবাজার, আদমপুরসহ স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে রমজান মাসে কলার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃত্রিমভাবে পাকানো কলায় সয়লাব হয়ে গেছে,পাশাপাশি কলার দামও অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে।
সরকারিভাবে কলার দাম নির্ধারণ না থাকায় যে যেভাবে সম্ভব ভোক্তাদের কাছ থেকে দাম আদায় করে নিচ্ছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন রোজদার ভোক্তা জনসাধারণ।দেখা যায়, বাজারের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীরা কলা সাজিয়ে রেখেছেন,এর মধ্যে চাম্পা কলা ও সাগর কলার সংখ্যাই বেশি। পাকা কলার পাশাপাশি গাছ থেকে কেটে আনা কাঁচা কলার ছড়িও রাখা হয়েছে। তবে সেগুলো গর্তে রেখে কিংবা কেমিক্যালের মাধ্যমে পাকানোর পর চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে।রমজানের মাসে হাটবাজারগুলোতে কলার ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে কোথাও দাম কম দেখা যায়নি।মধ্যম সাইজের এক ডজন পাকা চাম্পা কলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা হারে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার এক হালি ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাগর কলার ক্ষেত্রে এক হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বাজারের এসব কলার অধিকাংশই কৃত্রিমভাবে পাকানো ও নিম্নমানের রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিমত।
কলা কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, কিছুদিন আগেও যে চাম্পা কলার হালি ছিল ১৫ টাকা। রমজান মাস শুরু হতে না হতেই এখন সেই কলার হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, কলা ব্যবসায়ীদের কেউ তদারকি না করায় ব্যবসায়ীরা যার যার মতো দাম আদায় করে নিচ্ছে। এতে আমাদের মতো নিম্নআয়ের রোজাদার লোকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।