ঢাকা ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

“আজ অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত নগর পিতার শুভ জন্মদিন”

( আবুল বারাকাত , বিশেষ প্রতিনিধি )
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ ও স্নেহভাজন, উদার চিন্তাচেতনা, প্রখর ব্যক্তিত্ব ও দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর প্রিয় নেতা, জনতার মঞ্চের রুপকার, রাজনীতির উজ্বল ধ্রবতারা, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত সফল মেয়র নগর পিতা মোহাম্মদ হানিফের আজ ৭৫তম জন্ম দিন।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জনপ্রিয় এই অগ্রনায়ক ১৯৪৪ সালের এই দিনে পুরাতন ঢাকার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আবদুল আজিজ, মাতা মুন্নি বেগমের পরিবারে মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন ছোট ছেলে।
মোহাম্মদ হানিফ ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পান। এ সময় ছয়দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তীতে সব আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে প্রথম কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মোহাম্মদ হানিফ।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে শেখ হাসিনার ওপর নারকীয় গ্রেনেড হামলার সময় নেত্রীকে বাঁচাতে মানব ঢাল রচনা করেছিলেন তিনি। সে সময় তার মস্তিকসহ দেহের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য স্প্রিন্টার ঢুকে পড়ে।
দীর্ঘদিন চিকিৎসাতেও কোন ফল হয়নি, বরং অস্ত্রোপ্রচার করেও মাথার গভীরে বিধে থাকা স্প্রিন্টার অপসারণ সম্ভব হয়নি। দুঃসহ ওই যন্ত্রণা সহ্য করেই মোহাম্মদ হানিফ জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থেকেছেন।
২০০৬ এর ৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তাঙ্গণে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতা দেয়ার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মাথায় বিদ্ধ স্প্রিন্টারের প্রতিক্রিয়া পরবর্তী সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ও অকাল মৃত্যু কারণ হিসেবে কাজ করেছে।
ব্যাংককে র্দীঘদিন চিকিৎসা শেষে ঢাকায় ফিরে ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে ৬২ বছর বয়সে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। এরই মাধ্যমে অবসান ঘটে মোহাম্মদ হানিফের কর্মময় বণার্ঢ্য রাজনৈতিক জীবনের।
নন্দিত এই নেতার একমাত্র পুত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মাননীয় মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন পিতার জন্ম দিনে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেছেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

“আজ অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত নগর পিতার শুভ জন্মদিন”

আপডেট টাইম ০৬:৫২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২

( আবুল বারাকাত , বিশেষ প্রতিনিধি )
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ ও স্নেহভাজন, উদার চিন্তাচেতনা, প্রখর ব্যক্তিত্ব ও দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর প্রিয় নেতা, জনতার মঞ্চের রুপকার, রাজনীতির উজ্বল ধ্রবতারা, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত সফল মেয়র নগর পিতা মোহাম্মদ হানিফের আজ ৭৫তম জন্ম দিন।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জনপ্রিয় এই অগ্রনায়ক ১৯৪৪ সালের এই দিনে পুরাতন ঢাকার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আবদুল আজিজ, মাতা মুন্নি বেগমের পরিবারে মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন ছোট ছেলে।
মোহাম্মদ হানিফ ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পান। এ সময় ছয়দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তীতে সব আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে প্রথম কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মোহাম্মদ হানিফ।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে শেখ হাসিনার ওপর নারকীয় গ্রেনেড হামলার সময় নেত্রীকে বাঁচাতে মানব ঢাল রচনা করেছিলেন তিনি। সে সময় তার মস্তিকসহ দেহের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য স্প্রিন্টার ঢুকে পড়ে।
দীর্ঘদিন চিকিৎসাতেও কোন ফল হয়নি, বরং অস্ত্রোপ্রচার করেও মাথার গভীরে বিধে থাকা স্প্রিন্টার অপসারণ সম্ভব হয়নি। দুঃসহ ওই যন্ত্রণা সহ্য করেই মোহাম্মদ হানিফ জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থেকেছেন।
২০০৬ এর ৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তাঙ্গণে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতা দেয়ার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মাথায় বিদ্ধ স্প্রিন্টারের প্রতিক্রিয়া পরবর্তী সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ও অকাল মৃত্যু কারণ হিসেবে কাজ করেছে।
ব্যাংককে র্দীঘদিন চিকিৎসা শেষে ঢাকায় ফিরে ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে ৬২ বছর বয়সে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। এরই মাধ্যমে অবসান ঘটে মোহাম্মদ হানিফের কর্মময় বণার্ঢ্য রাজনৈতিক জীবনের।
নন্দিত এই নেতার একমাত্র পুত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মাননীয় মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন পিতার জন্ম দিনে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেছেন।