ঢাকা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“বনের জমিতে দেড় শতাধিক কারখানা” টাঙ্গাইলে পাহাড়ি টিলা কাটছে মাটিখেকোরা, জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে “কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ” চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিন খাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন মেয়র রেজাউল বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার

স্থানীয় ইউপি সদস্য কর্তৃক সমাধানের আশ্বাস মতলব উত্তরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ॥ ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্কুুল ছাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের সানকিভাঙ্গা গ্রামে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে জনৈকা নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ অতঃপর অন্তঃসত্ত্বার ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য কর্তৃক সমাধানের আশ্বাস দিয়ে হয়নি সমাধান।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের সানকিভাঙ্গা গ্রামের জনৈক দেলোয়ার হোসেনের স্কুল পড়ুয়া কিশোরী মেয়ের সাথে একই গ্রামের সানকিভাঙ্গা (ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মসজিদ) বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহবুব (৩৫) এর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। কিশোরী মেয়েকে বিভিন্ন লোভ লালসা প্রলোভন দিয়ে কৌশলে প্রায় সাত মাস ধরে মসজিদের ইমাম ধর্ষণ করে আসে। এতে করে ওই স্কুুল পড়ুয়া কিশোরী মেয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এদিকে ওই মেয়ের শরীরের গঠন অন্তঃসত্ত্বা দেখা দেয়ায় পরিবার থেকে চাপ দিলে সে মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহবুবের নাম বলে। এ ঘটনায় ঐ কিশোরী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। মাওলানা মাহবুবের বাড়ী পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জে।
কিশোরী জানায়, বিভিন্ন সময় মসজিদ ইমাম (মাহবুব) আমার শরীরের বিভিন্ন হাত দিত। আমি বাঁধা দিতাম, সে বাঁধা মানতো না। একদিন সে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসব কথা কোথাও জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করার কথ বলে। তাই আমি ভয়ে কোথাও জানাতে সাহস পাইনি। সর্বশেষ আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে মিলিত হত।
কিশোরীর মা জানান, এই বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন মল্লিক ও জাফর মল্লিককে জানালে তারা বিষয়টি সমাধানের আশ^াস দেন। কিন্তু আজ অবদি কোন সমাধান পাইনি। এখন জানতে পারলাম ইমাম (মাহবুব) নাকি চলে গেছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে মেয়ের পরিবার এবং তার মা জানায় আমরা গরীব মানুষ আর এই গরীব হওয়ার সুযোগে আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সর্বনাশকারী মসজিদের ইমাম মাহবুবের বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
ইউপি সদস্য দেলোয়ার মল্লিক বলেন, বিষয়টি আমি জানি। একদিন রাত ২টার সময় আমাকে কিশোরীর পরিবারের লোকজন জানিয়েছে আমি সমাধানের আশ^াস দিয়েছিলাম কিন্তু পরদিন জানতে পারলাম ইমাম সাহেব পালিয়েছে। তবে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বার ঘটনাটি সত্য।
এ বিষয়ে জহিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন সেলিম মিয়া মুঠোফোনে জানান, এ বিষয়টি শুনে খুবই মর্মাহত। যদি অভিযোগ আসে তহলে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিব।
ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নিব।

ছবি-০১
ধর্ষক মো. মাহবুব।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

“বনের জমিতে দেড় শতাধিক কারখানা”

স্থানীয় ইউপি সদস্য কর্তৃক সমাধানের আশ্বাস মতলব উত্তরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ॥ ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্কুুল ছাত্রী

আপডেট টাইম ০৯:০৫:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের সানকিভাঙ্গা গ্রামে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে জনৈকা নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ অতঃপর অন্তঃসত্ত্বার ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য কর্তৃক সমাধানের আশ্বাস দিয়ে হয়নি সমাধান।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের সানকিভাঙ্গা গ্রামের জনৈক দেলোয়ার হোসেনের স্কুল পড়ুয়া কিশোরী মেয়ের সাথে একই গ্রামের সানকিভাঙ্গা (ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মসজিদ) বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহবুব (৩৫) এর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। কিশোরী মেয়েকে বিভিন্ন লোভ লালসা প্রলোভন দিয়ে কৌশলে প্রায় সাত মাস ধরে মসজিদের ইমাম ধর্ষণ করে আসে। এতে করে ওই স্কুুল পড়ুয়া কিশোরী মেয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এদিকে ওই মেয়ের শরীরের গঠন অন্তঃসত্ত্বা দেখা দেয়ায় পরিবার থেকে চাপ দিলে সে মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহবুবের নাম বলে। এ ঘটনায় ঐ কিশোরী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। মাওলানা মাহবুবের বাড়ী পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জে।
কিশোরী জানায়, বিভিন্ন সময় মসজিদ ইমাম (মাহবুব) আমার শরীরের বিভিন্ন হাত দিত। আমি বাঁধা দিতাম, সে বাঁধা মানতো না। একদিন সে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসব কথা কোথাও জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করার কথ বলে। তাই আমি ভয়ে কোথাও জানাতে সাহস পাইনি। সর্বশেষ আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে মিলিত হত।
কিশোরীর মা জানান, এই বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন মল্লিক ও জাফর মল্লিককে জানালে তারা বিষয়টি সমাধানের আশ^াস দেন। কিন্তু আজ অবদি কোন সমাধান পাইনি। এখন জানতে পারলাম ইমাম (মাহবুব) নাকি চলে গেছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে মেয়ের পরিবার এবং তার মা জানায় আমরা গরীব মানুষ আর এই গরীব হওয়ার সুযোগে আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সর্বনাশকারী মসজিদের ইমাম মাহবুবের বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
ইউপি সদস্য দেলোয়ার মল্লিক বলেন, বিষয়টি আমি জানি। একদিন রাত ২টার সময় আমাকে কিশোরীর পরিবারের লোকজন জানিয়েছে আমি সমাধানের আশ^াস দিয়েছিলাম কিন্তু পরদিন জানতে পারলাম ইমাম সাহেব পালিয়েছে। তবে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বার ঘটনাটি সত্য।
এ বিষয়ে জহিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন সেলিম মিয়া মুঠোফোনে জানান, এ বিষয়টি শুনে খুবই মর্মাহত। যদি অভিযোগ আসে তহলে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিব।
ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নিব।

ছবি-০১
ধর্ষক মো. মাহবুব।