মোঃ খলিলুর রহমান জেলা প্রতিনিধি দৈনিক মাতৃভূমির খবরঃ

২৯/০৩/২০২২ রোজ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খানের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।মঙ্গলবার সকাল বেলা নিয়াজ মোহাম্মদ খানের আগমনের খবরে স্থানীয় নেতা কর্মীরা ঢাকবাংলোতে জড়ো হলে নবীনগর থানা পুলিশ ঢাকবাংলো থেকে নেতা কর্মীদের বের করে দেন।সকাল থেকে নবীনগর সদরে পুলিশের তৎপড়তা ছিল চোখে পড়ার মত। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা থেকে নিয়াজ মোহাম্মদ খান,কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, ব্যারিস্টার জাকির ও শফিকুল ইসলাম নবীনগরে পৌছলে হাজারের উপর তাদের সমর্থক তাদের পক্ষে শ্লোগান দিতে থাকে।পরে নেতৃবৃন্দ কে পুলিশ বাধাঁ সৃষ্টি করে।বাধা উপেক্ষা করে উপজেলার মাঝিকারা ব্রীজ থেকে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি উপজেলা পরিষদ গেইটে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এডভোকেট কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার মিজানুর রহমান সহ আরো অনেকে। এসময় বক্তারা আগামী ২১শে মে উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন উপলক্ষ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খানকে আহবায়ক করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ঘোষণা করেন। তারা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করে আগামী উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে তাদের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি, সাধারন সম্পাদক নির্বাচন করার আহবান জানান।

উল্লেখ্য, গত ১০ ই মার্চ নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিমকে আহবায়ক করে গঠিত নয় সদস্যের প্রস্তুতি কমিটি গঠনের পর থেকেই দলের একাংশের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে প্রচন্ড ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।দলের সিনিয়র সহসভাপতি ও সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক কে কমিটিতে রাখা হয় নায়।না রাখার পেছনে সবচেয়ে বড় কারন দলের সাধারন সম্পাদক এম এ হালিম বলে নেতা কর্মীরা মনে করেন।এম হালিম, সিনিয়র সহসভাপতি কে কমিটিতে রাখলে নিজে আহ্বায়ক হতে বাধা আর সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম আগামী সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এক্ষেত্রে এম এ হালিমের সাধারন সম্পাদক পদ টিকিয়ে রাখতে এই অপকৌশল করেছে বলে নেতা কর্মীরা মনে করেন। ছাত্র ইউনিয়ন থেকে ৯০ দশকে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক বামপন্থী নেতা এম এ হালিম আওয়ামিলীগে প্রবেশ করেন।২০০০সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দলের কর্মকাণ্ড সক্রিয় ভাবে পরিচালনা করলেও তিনি গত ১২ বছর যাবৎ দলের সাধারন সম্পাদকের পদ আকড়ে থাকলে ও দলিয় বা জাতীয় কোন প্রোগ্রাম এ সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি। দীর্ঘ আট বছর পর আগামি ২১ মে নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।উল্লেখ্য অদ্য সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের সাথে দেখা করে নিয়াজ মোহাম্মদ খান কে আহবায়ক করে ৩১ সদস্যের যে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি হয়েছে তার কপি জমাদেন কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল ও ব্যারিষ্টার জাকির আহমেদ।আজ নেতা কর্মীদের আগমনের খবরে নবীনগর উপজেলা আওয়ামিলীগের সহ সভাপতি সুজিত কুমার দেব ও পৌর আওয়ামিলীগ সভাপতি বোরহান উদ্দীন আহমেদের নির্দেশে অফিস সহকারী রতন আওয়ামিলীগ অফিস তালা বদ্ধ করে অঘোষিত ছুটিতে চলে যায় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।এই কর্মকান্ডে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে নিদ্রার ঝড় উঠেছে। নবীনগর উপজেলা আওয়ামিলীগের গ্রুপিং এর রাজনীতির স্পষ্ট রুপ রেখা দেখা যাচ্ছে।