ঢাকা ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইলে পাহাড়ি টিলা কাটছে মাটিখেকোরা, জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে “কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ” চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিন খাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন মেয়র রেজাউল বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত তিন সন্তানের চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছে বাবা

মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার।

কুমিল্লার মুরাদনগরে বিরল রোগ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত এক পরিবারের তিন সন্তান। ব্যায়বহুল এ রোগের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে মানুষের দ্বাড়ে দ্বাড়ে ঘুরছেন গোলজার রহমান নামে এক পিতা। গোলজার রহমানের বাড়ি উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়নের ফুলঘর গ্রামে। অসহায় এ পিতা তার আদরের তিন সন্তানকে বাঁচাতে সরকারসহ বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আকুতি জানান।

জানা যায়, ফুলঘর গ্রামের বাসিন্দা গুলজার রহমান পেশায় মসজিদেও ইমাম ছিলেন। বিভিন্ন মসজিদে ইমামতি করে কোন রকম চালাতেন সংসার চালাতেন। কিন্তু তিন সন্তান বিরল রোগ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হবার পর ইমামতির টাকায় সংসার এবং সন্তানদের চিকিৎসা না চালাতে পেরে, ইমামতি ছেড়ে অটোরিকশা চালানো সহ দিনমজুরের কাজ করছেন। কিন্তু তাতেও চলছে না সন্তানদের চিকিৎসা। দিন যত যাচ্ছে ততই বাড়ছে চিকিৎসার ব্যায়। এমতাবস্থায় সন্তানদের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে ৫লাখ টাকার ঋনের বোঝা নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি।

গোলজারের ৫ সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে এবং সবার ছোট ছেলে সুস্থ্য আছে। তাছাড়া বাকী ১ ছেলে আব্দুর রহমান (১৪), মেয়ে মাহিনুর (৯) ও মাইশা মনি (৭) থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। এক যুগ ধরে তিন সন্তানের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন জমি এবং ভিটেবাড়ি। প্রতি মাসে তিন সন্তানকে রক্ত দিতে হয়, এতে ক্লিনিক খরচ, নানা টেস্ট ও ঔষধসহ গড়ে মাসিক ১০/১২ হাজার টাকা খরচ হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তিন সন্তানই বছরের বেশিরভাগ সময় নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য হয়ে থাকে, যে কারণে চিকিৎসা খরচও বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

গোলজার রহমান বলেন, সন্তানদের চিকিৎসার জন্য নিজের ভিটেমাটি বিক্রি করে আজ আমার অবশিষ্ট কিছুই নেই। মসজিদে মানুষকে নামজ পড়িয়েছি, ভাবিনি কখনো দিনমুজুরের কাজ ও অটোরিকশা চালাতে হবে আমাকে। এখন এই স্বল্প আয়ে আমার সংসারের ভরনপোষন ও সন্তানদের চিকিৎসা চলছে না।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিশেক দাস বলেন, থালাসেমিয়ায় আক্রান্ত গোলজার রহমানের তিন শিশুর বিষয়ে আমি জানতাম না। তবে শিগ্রই খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তারিখ ৩০-০৩-২২

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

টাঙ্গাইলে পাহাড়ি টিলা কাটছে মাটিখেকোরা, জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত তিন সন্তানের চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছে বাবা

আপডেট টাইম ০৪:২৫:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২

মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার।

কুমিল্লার মুরাদনগরে বিরল রোগ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত এক পরিবারের তিন সন্তান। ব্যায়বহুল এ রোগের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে মানুষের দ্বাড়ে দ্বাড়ে ঘুরছেন গোলজার রহমান নামে এক পিতা। গোলজার রহমানের বাড়ি উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়নের ফুলঘর গ্রামে। অসহায় এ পিতা তার আদরের তিন সন্তানকে বাঁচাতে সরকারসহ বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আকুতি জানান।

জানা যায়, ফুলঘর গ্রামের বাসিন্দা গুলজার রহমান পেশায় মসজিদেও ইমাম ছিলেন। বিভিন্ন মসজিদে ইমামতি করে কোন রকম চালাতেন সংসার চালাতেন। কিন্তু তিন সন্তান বিরল রোগ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হবার পর ইমামতির টাকায় সংসার এবং সন্তানদের চিকিৎসা না চালাতে পেরে, ইমামতি ছেড়ে অটোরিকশা চালানো সহ দিনমজুরের কাজ করছেন। কিন্তু তাতেও চলছে না সন্তানদের চিকিৎসা। দিন যত যাচ্ছে ততই বাড়ছে চিকিৎসার ব্যায়। এমতাবস্থায় সন্তানদের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে ৫লাখ টাকার ঋনের বোঝা নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি।

গোলজারের ৫ সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে এবং সবার ছোট ছেলে সুস্থ্য আছে। তাছাড়া বাকী ১ ছেলে আব্দুর রহমান (১৪), মেয়ে মাহিনুর (৯) ও মাইশা মনি (৭) থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। এক যুগ ধরে তিন সন্তানের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন জমি এবং ভিটেবাড়ি। প্রতি মাসে তিন সন্তানকে রক্ত দিতে হয়, এতে ক্লিনিক খরচ, নানা টেস্ট ও ঔষধসহ গড়ে মাসিক ১০/১২ হাজার টাকা খরচ হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তিন সন্তানই বছরের বেশিরভাগ সময় নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য হয়ে থাকে, যে কারণে চিকিৎসা খরচও বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

গোলজার রহমান বলেন, সন্তানদের চিকিৎসার জন্য নিজের ভিটেমাটি বিক্রি করে আজ আমার অবশিষ্ট কিছুই নেই। মসজিদে মানুষকে নামজ পড়িয়েছি, ভাবিনি কখনো দিনমুজুরের কাজ ও অটোরিকশা চালাতে হবে আমাকে। এখন এই স্বল্প আয়ে আমার সংসারের ভরনপোষন ও সন্তানদের চিকিৎসা চলছে না।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিশেক দাস বলেন, থালাসেমিয়ায় আক্রান্ত গোলজার রহমানের তিন শিশুর বিষয়ে আমি জানতাম না। তবে শিগ্রই খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তারিখ ৩০-০৩-২২