ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার
ট্রেনের টিকিটের কালোবাজারি রোধে রেল যেখানে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে আমার মত ক্ষুদ্র অলস মস্তিষ্কের মানুষের মাথায় একটা পরিকল্পনা এসেছে।
ট্রেনের গতানুগতিক টিকিট সিস্টেমকে ২টা ধাপে এক্সটেন্ড করতে হবে।
প্রথমে ধাপ
আমরা যেমন রেগুলার টিকিট কাটি তা রিজার্ভেশন হিসেবে কাউন্ট করা হবে। এখানে যে যাত্রী সে অনলাইন বা অফলাইনে তার মোবাইল নাম্বার এবং NID অথবা Passport নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করবেন।
যাত্রী নিজে বা যার জন্য টিকিট কাটা হচ্ছে তার জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট নাম্বার এবং ভাড়ার মূল্য পরিশোধ করে রিজার্ভেশন করবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট নাম্বার ব্যবহারের ফলে যাত্রীর যাবতীয় তথ্য (যেমন নাম, ফোন নাম্বার) অটোমেটিক ফিলাপ হয়ে যাবে যার পরবর্তীতে পরিবর্তন যোগ্য হবে না। রিজার্ভেশনের কপি দিয়ে যাত্রা শুরুর ৩০ মিনিট আগ পর্যন্ত বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করা যাবে।
দ্বিতীয় ধাপ
বোর্ডিং পাস সংগ্রহ হবে যাত্রীর যাত্রার নিশ্চয়তা। বোডিং পাস সংগ্রহের সময় রিজার্ভেশন কপিতে দেওয়া ফোন নাম্বারে একটি অটিপি কোড পাঠানো হবে যেটা ইনপুট দিলে কেবলমাত্র তখনই বোডিং পাস প্রিন্ট হবে।
ত্রিশ মিনিট আগে কেউ বোর্ডিং পাস সংগ্রহ না করলে তা ওপেনসেল হিসেবে কাউন্ট করা হবে। সেগুলো সরাসরি মোবাইল নাম্বার, জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সংগ্রহ করা যাবে ট্রেনের ভাড়া পরিশোধ করে।
বিষয়টি অনেকের কাছেই ভেজাল মনে হতে পারে কিন্তু রেলের টিকিট কালোবাজারি রোধে, সকলের টিকিটের নিশ্চয়তা দিতে এমন করা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না। শুরুতে প্যারা মনে হলো, আস্তে আস্তে সবাই অভ্যস্ত হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস আমার। আমি বাংলাদেশ সরকারের রেল বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।