লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে রমজান সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার চরকিতে আরও হাওয়া লেগেছে ধাপে ধাপে বাড়ছে একের পর এক জিনিসপত্রের দাম এখন এই তালিকায় উঠে এসেছে চাল, ডাল আলু, আদা ও রসুন। জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা শহরের কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে এদিকে পর্যাপ্ত উৎপাদনের পরও বাড়ছে আলুর দাম তিন থেকে চার দিনের ব্যবধানে আলুর কেজিতে দাম বেড়েছে পাঁচ থেকে ছয় টাকা।
চার দিন আগে বিক্রি হওয়া ১৫ টাকার সাদা আলুর দাম এখন ২০ থেকে ২২ টাকায় উঠেছে। আর লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকা, যা তিন থেকে চার দিন আগে পাওয়া যেত ১৮ থেকে ২০ টাকায়। অথচ কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দেশে আলুর চাহিদা রয়েছে ৮০ থেকে ৯০ লাখ টন। ২০২১ সালে উৎপাদন হয়েছে এক কোটি ছয় লাখ টন বছরজুড়েই চড়া ছিল চালের বাজার কেজিতে তিন থেকে চার টাকা বেড়ে ১৫ থেকে ২০ দিন পর কমে দুই থেকে তিন টাকা।
এভাবেই বেড়ে মিনিকেট চালের দাম দাঁড়িয়েছে ৬৫ থেকে ৬৮টাকা, আর নাজিরশাইলের দাম উঠেছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। স্বল্প আয়ের মানুষের মোটা চালের কেজিও এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫২ টাকায় কয়েকদিন ধরে চলছে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট খোলা সয়াবিন ও পাম তেল পাওয়া যাচ্ছে হাতেগোনা কয়েকটি দোকানে দামও রাখা হচ্ছে বেশি। প্রতি কেজি সয়াবিনের দাম ১৮০ এবং পাম তেলের কেজি ১৬৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
এক লিটারের বোতলের গায়ে ১৬৮ লেখা থাকলেও নেওয়া হচ্ছে ১৭০ টাকা আর পাঁচ লিটার বোতলের নির্ধারিত দাম ৭৯৫ টাকা হলেও কেউ কেউ দাম রাখছেন ৮০০ টাকা বোতলে লেখা দামের চেয়ে বেশি দাম কেন জানতে চাইলে আল আমিন স্টোরের বিক্রয়কর্মী বলেন, কোম্পানি গুলো এখন বোতলে লেখা থাকে দামে তেল দিচ্ছে এ কারণে দু-তিন টাকা বেশি নিচ্ছেন তারা।