ঢাকা ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

হবিগঞ্জে অসুস্থ্য রোগীদের প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে চলছে ভয়ঙ্কর প্রতারণা।

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের সদর হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থাকা অসুস্থ্য রোগীদের প্যাথল জিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে চলছে ভয়ঙ্কর প্রতারণা গাশিউরে উঠার মত ঘৃন্যতম একাজের সাথে জড়িত খোদ সরকারি হাসপাতালেরই কর্মচারী বিষয়টি রীতিমত ভাবিয়ে তুলছে সচেতন মহলকে জানা যায় হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের অসাধু একটি চক্র ভূয়া প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট দিয়ে গ্রামের সহজ-সরল মানুষের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে। হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন বহু সেবাপ্রার্থী মানুষ।

একাধিক ভুক্তভোগীর এ সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি অনুসন্ধান শুরু করেন এ প্রতিবেদক অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হন জনৈক নারী পরদিন মঙ্গলবার সকালে তাকে এস.জি.পি.টি (এ.এল.টি) টেস্ট করার পরামর্শ দেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। সে অনুযায়ী ওই নারীর ভাই নাহিজ মিয়া (ছদ্ম নাম) হাসপাতালের ল্যাব ইনচার্জ তুহিন চৌধুরীর কাছে যান এ সময় তুহিন তাকে জানান, ওই টেস্ট হাসপাতালে হয় না নাহিজ এ বিষয়ে পরামর্শ চাইলে হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান সুমনের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন তিনি।

তার কথামতো সুমনের সাথে যোগাযোগ করেন নাহিজ সুমন তাকে জানান ৩ শত টাকা দিলে তিনি তা প্রাইভেট কোন হাসপাতাল থেকে করে এনে দিবেন। সরল বিশ্বাসে তাকে টাকা দেন নাহিজ এরই মাঝে এ প্রতিবেদকের সাথে দেখা হয় নাহিজের পরে পরিচয় গোপন করে সুমনের কাছ থেকে রিপোর্ট আনতে যান সন্দেহপ্রবণ এ প্রতিবেদক। এ সময় হাসপাতালের সরকারি প্যাডে লিখিত একটি রিপোর্ট দেন সুমন হাসপাতালে-তো এ টেস্ট হয় না, তাহলে কি করে রিপোর্ট দিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সুমন বলেন আধা ঘন্টা পরে আসেন মূল রিপোর্ট দেয়া হবে।

পরে হবিগঞ্জ শহরের পুরাতন হাসপাতাল এলাকার দি-স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার’র প্যাডে লিখিত রিপোর্টের একটি কপি দেন তিনি যাতে ওই টেস্টের রেজাল্ট দেখানো হয়েছে ‘৩৬.২ ইউ/এল ইউনিট কিন্তু এতে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয় এ প্রতিবেদকের। তাৎক্ষনিক রিপোর্টটি নিয়ে দি স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গেল ফাঁস হয় প্রতারণার ভয়ানক তথ্য স্কয়ার’র এম.ডি শামীম আহমেদ সাফ জানিয়ে দেন এটা তার প্রতিষ্ঠানের নয় কেউ তার প্যাড জালিয়াতি করেছে।

এ বিষয়ে তিনি লিখিত একটি প্রত্যায়নপত্রও দেন এ প্রতিবেদককে পরে ওই রোগীকে একই টেস্ট পূনরায় করানো হয় চাঁদের হাসি হাসপাতালে কিন্তু মাত্র ২ ঘন্টার ব্যবধানে এবার রেজাল্ট আসে ২৪.০০ ইউ/এল ইউনিট
বিষয়টি নিয়ে ওইদিনই কথা হয় হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আমিনুল হক সরকারের সাথে। তিনি সবকিছু দেখে অবাক হন এবং ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন একাধিক ভুক্তভোগী ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের জনৈক কর্মচারী জানান।

শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালের ল্যাব টেকনি শিয়ানদের যোগসাজশে এ চক্রটি দীর্ঘিদন ধরে এমন প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে এরা বিভিন্ন হাসপাতালের নাম ব্যবহার করে মনগড়া রিপোর্ট সরবরাহ করে থাকে। সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনা ফাঁস হয় পরে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে একাধিক হাসপাতাল মালিক ও টেকনিশিয়ানের হাজতবাস হয়েছে এদিকে হাসপাতালের ল্যব ইনচার্জ তুহিন চৌধুরী জানান সুমনের এ ধরণের কাজ করা উচিত হয়নি অফিস থেকে শাসানো হয়েছে অফিসের নির্দেশে ভুক্তভোগীর টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে আশাকরি ভবিষ্যতে আর এমন হবে না।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

হবিগঞ্জে অসুস্থ্য রোগীদের প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে চলছে ভয়ঙ্কর প্রতারণা।

আপডেট টাইম ১১:২৩:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের সদর হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থাকা অসুস্থ্য রোগীদের প্যাথল জিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে চলছে ভয়ঙ্কর প্রতারণা গাশিউরে উঠার মত ঘৃন্যতম একাজের সাথে জড়িত খোদ সরকারি হাসপাতালেরই কর্মচারী বিষয়টি রীতিমত ভাবিয়ে তুলছে সচেতন মহলকে জানা যায় হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের অসাধু একটি চক্র ভূয়া প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট দিয়ে গ্রামের সহজ-সরল মানুষের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে। হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন বহু সেবাপ্রার্থী মানুষ।

একাধিক ভুক্তভোগীর এ সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি অনুসন্ধান শুরু করেন এ প্রতিবেদক অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হন জনৈক নারী পরদিন মঙ্গলবার সকালে তাকে এস.জি.পি.টি (এ.এল.টি) টেস্ট করার পরামর্শ দেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। সে অনুযায়ী ওই নারীর ভাই নাহিজ মিয়া (ছদ্ম নাম) হাসপাতালের ল্যাব ইনচার্জ তুহিন চৌধুরীর কাছে যান এ সময় তুহিন তাকে জানান, ওই টেস্ট হাসপাতালে হয় না নাহিজ এ বিষয়ে পরামর্শ চাইলে হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান সুমনের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন তিনি।

তার কথামতো সুমনের সাথে যোগাযোগ করেন নাহিজ সুমন তাকে জানান ৩ শত টাকা দিলে তিনি তা প্রাইভেট কোন হাসপাতাল থেকে করে এনে দিবেন। সরল বিশ্বাসে তাকে টাকা দেন নাহিজ এরই মাঝে এ প্রতিবেদকের সাথে দেখা হয় নাহিজের পরে পরিচয় গোপন করে সুমনের কাছ থেকে রিপোর্ট আনতে যান সন্দেহপ্রবণ এ প্রতিবেদক। এ সময় হাসপাতালের সরকারি প্যাডে লিখিত একটি রিপোর্ট দেন সুমন হাসপাতালে-তো এ টেস্ট হয় না, তাহলে কি করে রিপোর্ট দিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সুমন বলেন আধা ঘন্টা পরে আসেন মূল রিপোর্ট দেয়া হবে।

পরে হবিগঞ্জ শহরের পুরাতন হাসপাতাল এলাকার দি-স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার’র প্যাডে লিখিত রিপোর্টের একটি কপি দেন তিনি যাতে ওই টেস্টের রেজাল্ট দেখানো হয়েছে ‘৩৬.২ ইউ/এল ইউনিট কিন্তু এতে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয় এ প্রতিবেদকের। তাৎক্ষনিক রিপোর্টটি নিয়ে দি স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গেল ফাঁস হয় প্রতারণার ভয়ানক তথ্য স্কয়ার’র এম.ডি শামীম আহমেদ সাফ জানিয়ে দেন এটা তার প্রতিষ্ঠানের নয় কেউ তার প্যাড জালিয়াতি করেছে।

এ বিষয়ে তিনি লিখিত একটি প্রত্যায়নপত্রও দেন এ প্রতিবেদককে পরে ওই রোগীকে একই টেস্ট পূনরায় করানো হয় চাঁদের হাসি হাসপাতালে কিন্তু মাত্র ২ ঘন্টার ব্যবধানে এবার রেজাল্ট আসে ২৪.০০ ইউ/এল ইউনিট
বিষয়টি নিয়ে ওইদিনই কথা হয় হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আমিনুল হক সরকারের সাথে। তিনি সবকিছু দেখে অবাক হন এবং ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন একাধিক ভুক্তভোগী ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের জনৈক কর্মচারী জানান।

শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালের ল্যাব টেকনি শিয়ানদের যোগসাজশে এ চক্রটি দীর্ঘিদন ধরে এমন প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে এরা বিভিন্ন হাসপাতালের নাম ব্যবহার করে মনগড়া রিপোর্ট সরবরাহ করে থাকে। সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনা ফাঁস হয় পরে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে একাধিক হাসপাতাল মালিক ও টেকনিশিয়ানের হাজতবাস হয়েছে এদিকে হাসপাতালের ল্যব ইনচার্জ তুহিন চৌধুরী জানান সুমনের এ ধরণের কাজ করা উচিত হয়নি অফিস থেকে শাসানো হয়েছে অফিসের নির্দেশে ভুক্তভোগীর টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে আশাকরি ভবিষ্যতে আর এমন হবে না।