ঢাকা ০৮:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

হবিগঞ্জে কম দামে সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে অনীহা।

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

আমনো ধান কেনার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে হবিগঞ্জ জেলায় তার এক চতুর্থাংশওঅ পূরণ করা যায়নি বাজারদর ও সরকার যে দামে ধান কিনছে তাতে দাম ও পরিশ্রমের বেশ পার্থক্য থাকায় কৃষকরা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে চাইছেন না সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে যেসব নিয়ম মানতে হয় তাতে কৃষকদের ভোগান্তি, নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে গিয়ে ধান দিয়ে আসতে একটা বাড়তি খরচও করতে হয় কৃষকদের কৃষকরা বলছেন সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের।

কিন্তু বাজারে ধান বিক্রি করলে দাম বেশির সঙ্গে থাকে না হয়রানি এমন অবস্থায় পুরো মৌসুমে আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা
পূরণ করা সম্ভব নয় বলে বলছেন হবিগঞ্জের খাদ্য কর্মকর্তারা। অবশ্য তারা চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ পূরণ করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন এখন যে চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে, সেটি অতিরিক্ত হবিগঞ্জ খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, জেলায় চলতি আমন মৌসুমে ৪ হাজার ২৫২ মেট্রিক টন আমন ধান ও ৩ হাজার ১২২ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। গত বছরের ৩ নভেম্বর থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু করে খাদ্য অধিদপ্তর।

এবার সরকার ২৭ টাকা কেজিতে ধান এবং ৪০ টাকা কেজি দরে চাল সংগ্রহ করছে অর্থাৎ প্রতি মণ ধানের দাম দাঁড়ায় ১ হাজার ৮০ টাকা
হবিগঞ্জে আগামী (২৮-ফেব্রুয়ারি) ধান ও চাল সংগ্রহের সময় শেষ হচ্ছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত জেলায় সরকার ধান কিনেত পেরেছে ১ হাজার ৩২৫ টন কৃষকরা বলছেন বাজারদরের কাছাকাছি দামে ধান কিনছে সরকার। অথচ সরকারকে ধান দিতে পোহাতে হয় নানা ভোগান্তি। সেই সঙ্গে বাড়তি হিসেবে তাদের বহন করতে হয়ে পরিবহন খরচ। তাই তারা সরকারকে ধান দিতে আগ্রহী নন হবিগঞ্জের বাজার ঘুরে প্রকারভেদে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শায়েস্তাগঞ্জ এলাকার কৃষক মধু মিয়া বলেন, ‘সরকারকে ধান দিতে হলে অনলাইনে আবেদন করন লাগে। পরে ধান নিয়া গুদামে যাওয়ন লাগে এত ঝামেলা কইরা ধান দেয়ার কিতা দরকার পরছে? এর পরও অফিসাররা কয়, ধান বালা না ইতা বালা না-উতা বালা না তখন ধান বিক্রির জন্য অফিসাররে টাকা দেওয়ন লাগে। চলতি মৌসুমে জেলায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ১২২ টন অভিযান শেষ হওয়ার বাকি আট দিন অবশ্য এই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে জেলায় চাল সংগ্রহ হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার টন।

অর্থাৎ ১ হাজার ১৮৮ টন চাল অতিরিক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে চাল দিতে মিলারদের আগ্রহ দেখে নতুন করে ২ হাজার ৭৮০ টন লক্ষ্যমাত্র বাড়ানো হয়েছে, এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ভারপ্রাপ্ত দিলদার মাহমুদ বলেন ধান দিতে কৃষকরা দুই বছর ধরেই অনীহা দেখাচ্ছেন এর কারণ হচ্ছে সরকারকে ধান দেয়ার চেয়ে পাইকারের কাছে বিক্রি করলে কৃষকরা বেশি লাভবান হন। এ ছাড়া কোনো ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হয় না তাদের তিনি বলেন, সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে হলে নিজ খরচ ও দায়িত্বে গুদামে নিয়ে আসতে হয়। অথচ পাইকাররা একেবারে জমি থেকে ধান সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন।

এতে কৃষকরা দাম যেমন সঠিক পাচ্ছেন তেমনি দুই দফা পরিবহন খরচ, শ্রমিক খরচ কমছে সেই সঙ্গে কমছে ধান শুকানোর ঝামেলা সব মিলিয়ে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে চান না কৃষকরা দিলদার মাহমুদ বলেন, অনেকেই মনে করেন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে এর প্রভাব পড়বে কিন্তু এটা চিন্তা করা একেবারেই ভুল কারণ সেদ্ধ চাল সংগ্রহে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে এবার অতিরিক্ত সংগ্রহ করছি এ ছাড়া সরকার আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যে কারণে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে সংকট সৃষ্টির কোনো কারণই নেই।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

হবিগঞ্জে কম দামে সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে অনীহা।

আপডেট টাইম ০৯:১৩:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

আমনো ধান কেনার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে হবিগঞ্জ জেলায় তার এক চতুর্থাংশওঅ পূরণ করা যায়নি বাজারদর ও সরকার যে দামে ধান কিনছে তাতে দাম ও পরিশ্রমের বেশ পার্থক্য থাকায় কৃষকরা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে চাইছেন না সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে যেসব নিয়ম মানতে হয় তাতে কৃষকদের ভোগান্তি, নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে গিয়ে ধান দিয়ে আসতে একটা বাড়তি খরচও করতে হয় কৃষকদের কৃষকরা বলছেন সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের।

কিন্তু বাজারে ধান বিক্রি করলে দাম বেশির সঙ্গে থাকে না হয়রানি এমন অবস্থায় পুরো মৌসুমে আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা
পূরণ করা সম্ভব নয় বলে বলছেন হবিগঞ্জের খাদ্য কর্মকর্তারা। অবশ্য তারা চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ পূরণ করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন এখন যে চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে, সেটি অতিরিক্ত হবিগঞ্জ খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, জেলায় চলতি আমন মৌসুমে ৪ হাজার ২৫২ মেট্রিক টন আমন ধান ও ৩ হাজার ১২২ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। গত বছরের ৩ নভেম্বর থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু করে খাদ্য অধিদপ্তর।

এবার সরকার ২৭ টাকা কেজিতে ধান এবং ৪০ টাকা কেজি দরে চাল সংগ্রহ করছে অর্থাৎ প্রতি মণ ধানের দাম দাঁড়ায় ১ হাজার ৮০ টাকা
হবিগঞ্জে আগামী (২৮-ফেব্রুয়ারি) ধান ও চাল সংগ্রহের সময় শেষ হচ্ছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত জেলায় সরকার ধান কিনেত পেরেছে ১ হাজার ৩২৫ টন কৃষকরা বলছেন বাজারদরের কাছাকাছি দামে ধান কিনছে সরকার। অথচ সরকারকে ধান দিতে পোহাতে হয় নানা ভোগান্তি। সেই সঙ্গে বাড়তি হিসেবে তাদের বহন করতে হয়ে পরিবহন খরচ। তাই তারা সরকারকে ধান দিতে আগ্রহী নন হবিগঞ্জের বাজার ঘুরে প্রকারভেদে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শায়েস্তাগঞ্জ এলাকার কৃষক মধু মিয়া বলেন, ‘সরকারকে ধান দিতে হলে অনলাইনে আবেদন করন লাগে। পরে ধান নিয়া গুদামে যাওয়ন লাগে এত ঝামেলা কইরা ধান দেয়ার কিতা দরকার পরছে? এর পরও অফিসাররা কয়, ধান বালা না ইতা বালা না-উতা বালা না তখন ধান বিক্রির জন্য অফিসাররে টাকা দেওয়ন লাগে। চলতি মৌসুমে জেলায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ১২২ টন অভিযান শেষ হওয়ার বাকি আট দিন অবশ্য এই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে জেলায় চাল সংগ্রহ হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার টন।

অর্থাৎ ১ হাজার ১৮৮ টন চাল অতিরিক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে চাল দিতে মিলারদের আগ্রহ দেখে নতুন করে ২ হাজার ৭৮০ টন লক্ষ্যমাত্র বাড়ানো হয়েছে, এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ভারপ্রাপ্ত দিলদার মাহমুদ বলেন ধান দিতে কৃষকরা দুই বছর ধরেই অনীহা দেখাচ্ছেন এর কারণ হচ্ছে সরকারকে ধান দেয়ার চেয়ে পাইকারের কাছে বিক্রি করলে কৃষকরা বেশি লাভবান হন। এ ছাড়া কোনো ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হয় না তাদের তিনি বলেন, সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে হলে নিজ খরচ ও দায়িত্বে গুদামে নিয়ে আসতে হয়। অথচ পাইকাররা একেবারে জমি থেকে ধান সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন।

এতে কৃষকরা দাম যেমন সঠিক পাচ্ছেন তেমনি দুই দফা পরিবহন খরচ, শ্রমিক খরচ কমছে সেই সঙ্গে কমছে ধান শুকানোর ঝামেলা সব মিলিয়ে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে চান না কৃষকরা দিলদার মাহমুদ বলেন, অনেকেই মনে করেন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে এর প্রভাব পড়বে কিন্তু এটা চিন্তা করা একেবারেই ভুল কারণ সেদ্ধ চাল সংগ্রহে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে এবার অতিরিক্ত সংগ্রহ করছি এ ছাড়া সরকার আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যে কারণে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে সংকট সৃষ্টির কোনো কারণই নেই।