ঢাকা ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত- ৪

মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়াতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত চার জন আহত হয়েছেন। তারা শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর একজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে চিকিৎসক।

শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে রুহিয়া চৌরাস্তায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, রুহিয়া থানা আহ্বায়ক আরিফ হোসেন স্বাক্ষরিত রুহিয়া থানার ছয়টি ইউনিয়নে ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয়। এই কমিটিতে যারা পদ পাননি তারা ক্ষুদ্ধতা প্রকাশ করেন এবং কমিটিকে অবৈধ কমিটি বলে আখ্যায়িত করেন। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়।

এই দিন থানার ২০ নং রুহিয়া ইউনিয়নের সভাপতি ফেসবুকে নিজের পদত্যাগের বিষয়ে স্ট্যাটাস দেন। পরবর্তীতে রাত দুইটায় ছাত্রলীগে নেতা হেলাল উদ্দীন ও সবুজ ইসলাম রুহিয়া চৌরাস্তায় এলে ওই স্ট্যাটাস পদবঞ্চীতরা জোর পূর্বক রাব্বীর দারা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন। এ সময় বাকবিতন্ডের এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে।

এ সংঘর্ষে কমিটির পদধারী হযরত আলী ও পদবঞ্চীত মানিক ইসলাম, রবিউর ইসলাম ও মিঠুন গুরুত জখম হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শহরের সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করান।

এ বিষয়ে রুহিয়া থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরিফ হোসেনের কাছে জান চেয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার বলেন, রুহিয়া থানায় যে ছায়টি কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা আমাদের কোন লিখিত অনুমতি নাই। তবে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির মৌখিক ইন্দন রয়েছে। তারা ব্যক্তিগত ভাবে সভাপতির সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করে আসছিল। যেহেতু আমাদের কোন লিখিত অভিযোগ নাই সেহেতু কমিটি গুলো অবৈধ। ছাত্রলীগের মধ্যে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাঙ্খিত । আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা চার মাস আগে লিখিত ভাবে জানিয়েছি যে জেলা ছাত্রলীগের অনুমতি ছাড়া যেন কোন কমিটি ঘোষণা করা না হয়। আমরা লিখিত কাগজে বিশ্বাসী এবং ইন্দনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ওসি তদন্ত মো: শহিদুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের বিষয়ে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার
ঠাকুরগাঁও।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত- ৪

আপডেট টাইম ০৭:৪৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়াতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত চার জন আহত হয়েছেন। তারা শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর একজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে চিকিৎসক।

শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে রুহিয়া চৌরাস্তায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, রুহিয়া থানা আহ্বায়ক আরিফ হোসেন স্বাক্ষরিত রুহিয়া থানার ছয়টি ইউনিয়নে ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয়। এই কমিটিতে যারা পদ পাননি তারা ক্ষুদ্ধতা প্রকাশ করেন এবং কমিটিকে অবৈধ কমিটি বলে আখ্যায়িত করেন। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়।

এই দিন থানার ২০ নং রুহিয়া ইউনিয়নের সভাপতি ফেসবুকে নিজের পদত্যাগের বিষয়ে স্ট্যাটাস দেন। পরবর্তীতে রাত দুইটায় ছাত্রলীগে নেতা হেলাল উদ্দীন ও সবুজ ইসলাম রুহিয়া চৌরাস্তায় এলে ওই স্ট্যাটাস পদবঞ্চীতরা জোর পূর্বক রাব্বীর দারা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন। এ সময় বাকবিতন্ডের এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে।

এ সংঘর্ষে কমিটির পদধারী হযরত আলী ও পদবঞ্চীত মানিক ইসলাম, রবিউর ইসলাম ও মিঠুন গুরুত জখম হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শহরের সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করান।

এ বিষয়ে রুহিয়া থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরিফ হোসেনের কাছে জান চেয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার বলেন, রুহিয়া থানায় যে ছায়টি কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা আমাদের কোন লিখিত অনুমতি নাই। তবে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির মৌখিক ইন্দন রয়েছে। তারা ব্যক্তিগত ভাবে সভাপতির সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করে আসছিল। যেহেতু আমাদের কোন লিখিত অভিযোগ নাই সেহেতু কমিটি গুলো অবৈধ। ছাত্রলীগের মধ্যে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাঙ্খিত । আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা চার মাস আগে লিখিত ভাবে জানিয়েছি যে জেলা ছাত্রলীগের অনুমতি ছাড়া যেন কোন কমিটি ঘোষণা করা না হয়। আমরা লিখিত কাগজে বিশ্বাসী এবং ইন্দনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ওসি তদন্ত মো: শহিদুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের বিষয়ে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার
ঠাকুরগাঁও।