ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গজারিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতি কালে অস্ত্রসহ ১ডাকাত গ্রেফতার দলের পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে : তথ্যমন্ত্রী সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক বাদল চৌধুরী —- চাঁদপুর -২ আসনে নৌকার মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন বিপ্লব মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফয়সাল বিপ্লবের পদত্যাগে উৎফুল্ল তার সর্মফক। দিপু চৌধুরীর রোগমুক্তি কামনায় এডভোকেট সেলিম মিয়ার উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ। মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন হাজ্বী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব মিঠাপুকুরে স্বচ্ছতা ফিরেছে টিসিবি পণ্য বিতরন ন “আমরা চাই বিএনপি ‘টেরোরিস্ট’ কর্মকান্ড থেকে বেরিয়ে আসুক : তথ্যমন্ত্রী”

প্রশ্নপত্র সমাধানে চুক্তি হতো ৫-১০ লাখ টাকায়

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :  মন্ত্রণালয়সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে চুক্তিবদ্ধ প্রার্থীকে উত্তর জানিয়ে দিত চক্রটি। প্রার্থী প্রতি ৫-১০ লাখ টাকা চুক্তি করতো এই চক্রটি। আজ শনিবার পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা চক্রের ৭ সদস্য সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য দেন মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান।

মাসুদুর রহমান বলেন, এই চক্রের অন্যতম হোতা সোহেল রানা এর আগেও আমাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। তার ওপর আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ছিল। গতকাল মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের নিয়োগ পরীক্ষায় এই চক্রটি আবার সক্রিয় হয়। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে উত্তরপত্র সরবরাহ করার চেষ্টা করে। তখন আমরা তাদের গ্রেফতার করি।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাজের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারি। তারা দুটি ডিভাইস ব্যবহার করতো। একটি ছোট ডিভাইস কানের ভিতরে থাকতো, আর একটি সিম আকারের ডিভাইস শরীরের যে কোন অঙ্গে বসিয়ে রাখত।

অন্যদিকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রশ্ন বের করে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের দিয়ে দ্রুত প্রশ্নের সমাধান করে তাদের কাছে পৌঁছে দিত।

তিনি আরও বলেন, তাদের ব্যবহৃত ডিভাইস গুলো এতই সূক্ষ্ম যে কারো প্রতি সন্দেহ না হওয়া পর্যন্ত বোঝার ক্ষমতা নেই যে তিনি ডিভাইসটি ব্যবহার করছেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃতদের মাঝে ৩ জন পরীক্ষার্থী আর অন্য ৪ জন চক্রটি পরিচালনাকারী।

নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী পাস করলে, তাদের কাছ থেকে চুক্তি অনুযায়ী ৫-১০ লাখ টাকা করে নেয়া হতো।

গ্রেপ্তারকৃত এই চক্রের পরীক্ষার্থীরা হলেন, রবিউল আউয়াল, রাজিউর রহমান ও রেজাউল করিম। আর প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন, সোহেল রানা, মাহমুদুল, আনসারুল ইসলাম এবং শ্রী দেবাশীষ।

গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ৮ টি প্রশ্নপত্র প্রেরণের ডিভাইস, ২৯টি ব্যাটারি, ৩টি পেনড্রাইভ, ৯টি ব্লুটুথ ডিভাইস, ৯টি বিভিন্ন অপারেটর সিম কার্ড ও ৮ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

গজারিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতি কালে অস্ত্রসহ ১ডাকাত গ্রেফতার

প্রশ্নপত্র সমাধানে চুক্তি হতো ৫-১০ লাখ টাকায়

আপডেট টাইম ১০:৩২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :  মন্ত্রণালয়সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে চুক্তিবদ্ধ প্রার্থীকে উত্তর জানিয়ে দিত চক্রটি। প্রার্থী প্রতি ৫-১০ লাখ টাকা চুক্তি করতো এই চক্রটি। আজ শনিবার পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা চক্রের ৭ সদস্য সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য দেন মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান।

মাসুদুর রহমান বলেন, এই চক্রের অন্যতম হোতা সোহেল রানা এর আগেও আমাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। তার ওপর আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ছিল। গতকাল মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের নিয়োগ পরীক্ষায় এই চক্রটি আবার সক্রিয় হয়। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে উত্তরপত্র সরবরাহ করার চেষ্টা করে। তখন আমরা তাদের গ্রেফতার করি।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাজের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারি। তারা দুটি ডিভাইস ব্যবহার করতো। একটি ছোট ডিভাইস কানের ভিতরে থাকতো, আর একটি সিম আকারের ডিভাইস শরীরের যে কোন অঙ্গে বসিয়ে রাখত।

অন্যদিকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রশ্ন বের করে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের দিয়ে দ্রুত প্রশ্নের সমাধান করে তাদের কাছে পৌঁছে দিত।

তিনি আরও বলেন, তাদের ব্যবহৃত ডিভাইস গুলো এতই সূক্ষ্ম যে কারো প্রতি সন্দেহ না হওয়া পর্যন্ত বোঝার ক্ষমতা নেই যে তিনি ডিভাইসটি ব্যবহার করছেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃতদের মাঝে ৩ জন পরীক্ষার্থী আর অন্য ৪ জন চক্রটি পরিচালনাকারী।

নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী পাস করলে, তাদের কাছ থেকে চুক্তি অনুযায়ী ৫-১০ লাখ টাকা করে নেয়া হতো।

গ্রেপ্তারকৃত এই চক্রের পরীক্ষার্থীরা হলেন, রবিউল আউয়াল, রাজিউর রহমান ও রেজাউল করিম। আর প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন, সোহেল রানা, মাহমুদুল, আনসারুল ইসলাম এবং শ্রী দেবাশীষ।

গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ৮ টি প্রশ্নপত্র প্রেরণের ডিভাইস, ২৯টি ব্যাটারি, ৩টি পেনড্রাইভ, ৯টি ব্লুটুথ ডিভাইস, ৯টি বিভিন্ন অপারেটর সিম কার্ড ও ৮ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।