ভাস্কর মজুমদার (নিজস্ব প্রতিবেদক); লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বৃদ্ধা মাতা আমেনা বেগম (৫৭) কে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ভস্মীভূত করেছে ছেলে। ২৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে মর্মান্তিক এঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আশারকোটা গ্রামের ওয়াহেদ আলী পাটওয়ারী বাড়ি থেকে পুত্র মিলন হোসেনকে পুলিশ আটক করে। মিলন বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। মৃত আমেনা বেগম ওই বাড়ির মৃত আকবর হোসেনের স্ত্রী। মিলন তাদের ছোট ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আটককৃত মিলন দুই বছর ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত। দু’বার তাকে ঢাকায় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কিছুদিন পূর্বে তাকে ঢাকা থেকে চিকিৎসা করিয়ে আনা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে মিলন নানার বাড়ি থেকে আসেন। রাতের কোন এক সময় মিলন বৃদ্ধ মাকে কুপিয়ে শরীরে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে ফজরের আজানের সময় ঘর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এ সময় তারা ঘরে ঢুকে দেখতে পান বৃদ্ধ আমেনার পা ও শরীরের কিছু হাড় ছাড়া বাকি অংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুলিশ পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আমিন বলেন, ঘটনাটি খুবই ভয়াবহ। মিলন আগে সুস্থ ছিল। ২ বছর ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত। অসুস্থতার কারণেই হয়তো বৃদ্ধ মাকে হত্যার পর পুড়িয়ে ফেলেছে। তিনি আরও জানান, মিলনের বাবা প্রবাসী ছিলেন। তিনি কয়েক বছর আগে বিদেশেই মারা যান। তার আরও দুই ছেলের মধ্যে একজন প্রবাসী ও আরেকজন ঢাকায় চাকরি করেন।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক এমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠিয়ে বৃদ্ধার ছেলেকে আটক করা হয়েছে। শুনেছি সে মানসিকভাবে অসুস্থ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।