লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ৬নং কাগা পাশা ইউনিয়নের হাওরে হাওয়া নদী ও উজান সুঠা নদী থেকে অবৈধভাবে জোরপূর্বক মাছ আহরণ করছে স্থানীয় তাজু মিয়াসহ তাদের লোকজন (২৪-ফেব্রুয়ারি) সকালে নদীটি সরেজমিন পরিদর্শন ও স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জোরপূর্বক নদী দখল করে মাছ শিকারের সত্যতা পাওয়া যায়। শুধু মাছ শিকারই নয় ইজারাদার মোহনা মৎস্যজীবি সমিতির লোকজনকে মারপিঠ করে ৩টি মোটর সাইকেল ছিনতাই করে নদীতে ফেলে দেয় এবং প্রাণে হত্যার চেষ্টাও চালিয়েছে তাজুসহ তাদের লোকজন।
মোটর সাইকেল ছিনতাই এবং লোকজনকে মারপিঠের ঘটনায় গত ২৬-জানুয়ারি জিআর মামলা নং ১৩/২২ ইং দায়ের করা হয়েছে। মৎস্যজীবি সমিতির পক্ষে অংশীদার প্রিয়তোষ রঞ্জন দেব বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বাগহাতা গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার পুত্র তাজু মিয়া, নজরুল মিয়া, খাজা হোসেনের পুত্র আঃ আজিজ, ছোবহান মিয়ার পুত্র লাল খা, আব্দুল মজিদ মিয়ার পুত্র খাজা হোসেন ও তাজুর পুত্র উবায়দুলসহ ৬ জনকে আসামি করে বানিয়াচং থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এর প্রেক্ষিতে তাজুর চাচা খাজা হোসেন (৫৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন বানিয়াচং থানা পুলিশ সরকারী তথ্য অনুযায়ী, বানিয়াচংয়ের মিনাট।
গ্রামের মোহনা মৎস্যজীবি সমিতি ১৪২৮-১৪৩০ বাংলা পর্যন্ত মাছ আহরণের জন্য সরকারীভাবে ৪৭ হাজার ৭৭৫ টাকায় ইজারা নেন ওই নদীটি কিন্তু তাজুসহ তার লোকজনের হামলা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে বৈধভাবে লীজ নিয়েও প্রকৃত ইজারাদার মাছ আহরণ করতে পারছেন না স্থানীয় বাগহাতা গ্রামের, এরশাদ আলী, হাবিবুর রহমান ও সৈকত আলী জানান তাজু মিয়ার নেতৃত্বে মেশিন লাগিয়ে হাওয়া নদী উজানসুঠা সেচ করা হচ্ছে এবং মাছ শিকার করা হচ্ছে তাজুসহ তাদের লোকজনের দাবী নদীটিতে খান বাহাদুর এহিয়া ওয়াকফ এষ্টেটের অংশ রয়েছে।
অথচ ১৯/১১/২০১৭ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে একপত্র মারফত খান বাহাদুর এহিয়া ওয়াকফ এষ্টেট কে লীজ না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মোহনা মৎস্যজীবি সমিতির লোকজন সাংবাদিকদের জানান নদীটি ইজারা নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ছোট মাছ ছাড়া হয়েছে। পাহারাদার এবং পর্যাপ্ত শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে এখন মাছ ধরার সময়। অথচ তাজুর লোকজনের জন্য মাছ শিকার করতে পারছিনা।
তাদের দাবী তাজু ও তার সহযোগীরা তাদের লোকজনকে মারপিঠ করে তাড়িয়ে দিয়ে ভূয়া কাগজ দেখিয়ে জোরপূর্বক সেচের মাধ্যমে মাছ আহরণ করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরান হোসেন বলেন তাজুর লোকজন হাইকোর্টর স্থগিতাদেশের কাগজ দেখাচ্ছে আমি এর বাইরে কিছুই বলতে পারবোনা।