মোঃ মশিউর রহমান,টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ১৭৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই কোন শহীদ মিনার। প্রতি বছর কলাগাছ, বাঁশের কঞ্চি ও সাদা কাগজ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মান করে ওই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস পালন করে আসছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা জানতে পারছে না ভাষার সঠিক তাৎপর্য, জানাতে পারছে না ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা।
২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর দিন এদিন দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবে।
আবার অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারের অভাবে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদমিনারে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান কিন্তু বিচ্ছিন্ন ও দূরের অনেক প্রতিষ্ঠানে এই দিবস পালন করা হয় না।
উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৫৬ টি, মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৪২ টি, কলেজ রয়েছে ৫ টি, মাদ্রাসা রয়েছে ১৩ টি। এর মধ্যে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৫৬ টির মধ্যে ৩১ টি, মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ৪২ টির মধ্যে ৩৫ টি ও উপজেলার সরকারী,বেসরকারী সবগুলো কলেজে স্থায়ী শহীদ মিনার রয়েছে।
অন্য ১৭৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার না থাকায় প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারী আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসে বিপাকে পরতে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের স্কুলে শহীদ মিনার নেই। আমরা সবাই মিলে প্রতি বছর কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার বানাইয়া শ্রদ্ধা জানাই। আমরা চাই যেন সরকার প্রতিটি স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ জানান, নাগরপুর উপজেলায় অনেক সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। তাই ভবিষ্যৎ প্রজম্ম ভাষা শহীদের ইতিহাস ও সম্মান জানাতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মান করা দরকার।
সরকারের কাছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবনের সাথে শহীদ মিনার নির্মানের জোর দাবি জানাই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, সরকারী বেসরকারি কলেজ সূমহে স্থায়ী শহীদ মিনার রয়েছে। ৪২ টি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৫ টিতে শহীদ মিনার রয়েছে। বাকী গুলোতে খুব শীঘ্রই স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে। তবে মাদ্রাসা গুলোতে বারবার বলা সত্বেও শহীদ মিনার নির্মাণে ধীর গতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।