ঢাকা ০৯:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার।

কুমিল্লার দেবিদ্বারে বিদ্রোহীদের বরণ করে সমালোচনায় জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক

* ১০ ইউপিতে নৌকার প্রার্থীদের পরাজয়ের নেপথ্যে কারা?

মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার।

কুমিল্লার দেবিদ্বারে ১০ ইউপিতে নৌকার প্রার্থীদের পরাজয়ে নেপথ্যে কারা? আওয়ামীলীগের ঘাঁটি খ্যাত এ উপজেলায় কাদের ইন্দনে নৌকার প্রার্থীদের এমন ভরাডুবি? দলীয় কোন্দলের কারণেই কি দলীয় প্রার্থীদের এমন অপ্রত্যাশীত হার? কি কারণে নৌকার তিন প্রার্থী জামানত হারালেন? প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কি অনেক ত্রুটি ছিল? এমন বেশ কিছু প্রশ্ন এখন তৃণমুল নেতাকর্মীদের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। এদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের বিরোধীতার কারণেই বেশীরভাগ নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে নৌকার বিদ্রোহীরা ভোটে জয়ী হওয়ার পর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাদেরকে ফুলের মালা পড়িয়ে বরণ করে নেন। এ নিয়ে নেটিজেনরা ফেসবুকে ব্যপক সমালোচনা করছে।
জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে কুমিল্লার দেবিদ্বারে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক অবস্থা ছিল অনেকটাই নাজুক। কুমিল্লা-৪ দেবিদ্বারের এ আসন থেকে ২০১৪ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে রাজী মোহাম্মদ ফখরুল সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজে হাত দেন। পর্যায়ক্রমে ২০১৮ সালে দলের মনোনয়ন লাভ করে তিনি পূনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্যের সাংগঠনিক ব্যপক তৎপরতার মাধ্যমে এ উপজেলায় আওয়ামীলীগের দূর্গ গড়ে উঠে। রাজী ফখরুলের নেতৃত্বে সবকটি ইউনিয়নে কাউন্সিলের মাধ্যমে শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়। পরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীনের মৃত্যু হলে ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী উপ-নির্বাচনে আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হন। এর কয়েক মাস আগে রোশন আলী মাস্টার কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের পদ লাভ করেন। তৃণমুল নেতাকর্মীরা জানান, রোশন মাস্টার এবং আবুল কালাম আজাদ পদ-পদবী লাভ করার পরই এ উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা শুরু করেন। যার ফলে শুরু হয় দলে অভ্যন্তরীন কোন্দল। এ উপজেলা আওয়ামীলীগের কোন্দলের বিষয়ে দলের হাইকমান্ডও অবগত রয়েছে। এসব কোন্দলের ফলে সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে সঠিক প্রার্থীর পক্ষে সুপারিশ যায়নি এবং নির্বাচনে প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে বলে মনে করছে তৃণমুল নেতাকর্মীরা। এদিকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা কোন প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে কাজ করতে পারেনি। যার ফলে এ আসনের সংসদ সদস্য রাজী ফখরুল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ম. রুহুল আমীনকে চিঠি দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার বিষয়টি আগেই অবগত করেন। কিন্ত পক্ষান্তরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এলাকায় অবস্থান করে নির্বাচনী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ছিলেন। তারা নৌকার পক্ষে কাজ করার অন্তরালে অধিকাংশ ইউনিয়নে নৌকার বিদ্রোহীদের পক্ষে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা নৌকার বিদ্রোহীদের দমনের চেষ্টা না করে উল্টো তাদের পক্ষে কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন অনেক নৌকার প্রার্থী।
উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নে নৌকার পরাজিত প্রার্থী কামরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের বিরোধিতার কারণেই আমি পরাজিত হয়েছি। তিনি বলেন, ওই দুই নেতা আমার বিরুদ্ধে পরোক্ষভাবে অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। উপজেলার মোহনপুর ইউপির পরাজিত নৌকার প্রার্থী মজিবুর রহমান বলেন, রোশন আলী এবং আবুল কালাম আজাদসহ তাদের অনুসারীরা কুটকৌশল করে আমাকে পরাজিত করেছে, তারা নৌকা ডুবিয়ে বিদ্রোহীদেরকে ফুলের মালা পড়িয়ে বরণ করে নিচ্ছে, এসব অপ-রাজনীতি কোন ভাবেই কাম্য নয়। উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউপির নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছে, কিন্তু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের কর্মী সমর্থকরা নৌকার বিরোধীতা করে বিদ্রোহী প্রার্থীকে জয়ী করেছে। ওই দুই নেতার অপ-রাজনীতির কারণেই এ উপজেলায় বেশীরভাগ নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সাথে দেখা করে ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করা নৌকার বিদ্রোহী চেয়ারম্যানদের তালিকায় আছেন, ফতেহবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদ, জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের জাহিদুল ইসলাম, রাজামেহার ইউনিয়নের জসিম উদ্দিন, সুবিল ইউনিয়নের গোলাম সারওয়ার মুকুল ভূঁইয়া। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাষ্টার বলেন, আমরা যারা দলের পদ-পদবীতে আছি নৌকার বিদ্রোহীদের নিকট থেকে ফুল নেয়া কিংবা দেয়া উভয়টি আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত ছিল। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাষ্টার বলেন, ‘দলীয় কোন্দলের কারণে নৌকা পরাজিত হয়েছে তা অস্বীকার করছি না।’ তবে আমি কোন নৌকার প্রার্থীর বিরোধীতা করিনি, সকল নৌকা প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে প্রচারণা চালিয়েছি, তিনি আরও বলেন, ‘এই ফুলের ভয়েই ফলাফল ঘোষণার পর থেকে আড়ালে থাকার চেষ্টা করছি, বিজয়ী বিদ্রোহীদের নিকট থেকে এভাবে ফুল নেয়ার বিষয় সম্পর্কে তিনিই (উপজেলা চেয়ারম্যান) ভাল বলতে পারবেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, যারা ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে তারা সবাই আমার কাছে আসবে এটাই স্বাভাবিক, তারা এখন আমার পরিষদের সদস্য। তিনি বলেন, আমি কোন নৌকা প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করিনি।
তারিখ :- ০৯-০২-২২ ইং

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা।

কুমিল্লার দেবিদ্বারে বিদ্রোহীদের বরণ করে সমালোচনায় জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক

আপডেট টাইম ০৬:৫০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

* ১০ ইউপিতে নৌকার প্রার্থীদের পরাজয়ের নেপথ্যে কারা?

মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার।

কুমিল্লার দেবিদ্বারে ১০ ইউপিতে নৌকার প্রার্থীদের পরাজয়ে নেপথ্যে কারা? আওয়ামীলীগের ঘাঁটি খ্যাত এ উপজেলায় কাদের ইন্দনে নৌকার প্রার্থীদের এমন ভরাডুবি? দলীয় কোন্দলের কারণেই কি দলীয় প্রার্থীদের এমন অপ্রত্যাশীত হার? কি কারণে নৌকার তিন প্রার্থী জামানত হারালেন? প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কি অনেক ত্রুটি ছিল? এমন বেশ কিছু প্রশ্ন এখন তৃণমুল নেতাকর্মীদের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। এদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের বিরোধীতার কারণেই বেশীরভাগ নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে নৌকার বিদ্রোহীরা ভোটে জয়ী হওয়ার পর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাদেরকে ফুলের মালা পড়িয়ে বরণ করে নেন। এ নিয়ে নেটিজেনরা ফেসবুকে ব্যপক সমালোচনা করছে।
জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে কুমিল্লার দেবিদ্বারে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক অবস্থা ছিল অনেকটাই নাজুক। কুমিল্লা-৪ দেবিদ্বারের এ আসন থেকে ২০১৪ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে রাজী মোহাম্মদ ফখরুল সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজে হাত দেন। পর্যায়ক্রমে ২০১৮ সালে দলের মনোনয়ন লাভ করে তিনি পূনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্যের সাংগঠনিক ব্যপক তৎপরতার মাধ্যমে এ উপজেলায় আওয়ামীলীগের দূর্গ গড়ে উঠে। রাজী ফখরুলের নেতৃত্বে সবকটি ইউনিয়নে কাউন্সিলের মাধ্যমে শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়। পরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীনের মৃত্যু হলে ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী উপ-নির্বাচনে আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হন। এর কয়েক মাস আগে রোশন আলী মাস্টার কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের পদ লাভ করেন। তৃণমুল নেতাকর্মীরা জানান, রোশন মাস্টার এবং আবুল কালাম আজাদ পদ-পদবী লাভ করার পরই এ উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা শুরু করেন। যার ফলে শুরু হয় দলে অভ্যন্তরীন কোন্দল। এ উপজেলা আওয়ামীলীগের কোন্দলের বিষয়ে দলের হাইকমান্ডও অবগত রয়েছে। এসব কোন্দলের ফলে সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে সঠিক প্রার্থীর পক্ষে সুপারিশ যায়নি এবং নির্বাচনে প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে বলে মনে করছে তৃণমুল নেতাকর্মীরা। এদিকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা কোন প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে কাজ করতে পারেনি। যার ফলে এ আসনের সংসদ সদস্য রাজী ফখরুল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ম. রুহুল আমীনকে চিঠি দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার বিষয়টি আগেই অবগত করেন। কিন্ত পক্ষান্তরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এলাকায় অবস্থান করে নির্বাচনী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ছিলেন। তারা নৌকার পক্ষে কাজ করার অন্তরালে অধিকাংশ ইউনিয়নে নৌকার বিদ্রোহীদের পক্ষে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা নৌকার বিদ্রোহীদের দমনের চেষ্টা না করে উল্টো তাদের পক্ষে কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন অনেক নৌকার প্রার্থী।
উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নে নৌকার পরাজিত প্রার্থী কামরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের বিরোধিতার কারণেই আমি পরাজিত হয়েছি। তিনি বলেন, ওই দুই নেতা আমার বিরুদ্ধে পরোক্ষভাবে অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। উপজেলার মোহনপুর ইউপির পরাজিত নৌকার প্রার্থী মজিবুর রহমান বলেন, রোশন আলী এবং আবুল কালাম আজাদসহ তাদের অনুসারীরা কুটকৌশল করে আমাকে পরাজিত করেছে, তারা নৌকা ডুবিয়ে বিদ্রোহীদেরকে ফুলের মালা পড়িয়ে বরণ করে নিচ্ছে, এসব অপ-রাজনীতি কোন ভাবেই কাম্য নয়। উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউপির নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছে, কিন্তু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের কর্মী সমর্থকরা নৌকার বিরোধীতা করে বিদ্রোহী প্রার্থীকে জয়ী করেছে। ওই দুই নেতার অপ-রাজনীতির কারণেই এ উপজেলায় বেশীরভাগ নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সাথে দেখা করে ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করা নৌকার বিদ্রোহী চেয়ারম্যানদের তালিকায় আছেন, ফতেহবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদ, জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের জাহিদুল ইসলাম, রাজামেহার ইউনিয়নের জসিম উদ্দিন, সুবিল ইউনিয়নের গোলাম সারওয়ার মুকুল ভূঁইয়া। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাষ্টার বলেন, আমরা যারা দলের পদ-পদবীতে আছি নৌকার বিদ্রোহীদের নিকট থেকে ফুল নেয়া কিংবা দেয়া উভয়টি আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত ছিল। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাষ্টার বলেন, ‘দলীয় কোন্দলের কারণে নৌকা পরাজিত হয়েছে তা অস্বীকার করছি না।’ তবে আমি কোন নৌকার প্রার্থীর বিরোধীতা করিনি, সকল নৌকা প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে প্রচারণা চালিয়েছি, তিনি আরও বলেন, ‘এই ফুলের ভয়েই ফলাফল ঘোষণার পর থেকে আড়ালে থাকার চেষ্টা করছি, বিজয়ী বিদ্রোহীদের নিকট থেকে এভাবে ফুল নেয়ার বিষয় সম্পর্কে তিনিই (উপজেলা চেয়ারম্যান) ভাল বলতে পারবেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, যারা ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে তারা সবাই আমার কাছে আসবে এটাই স্বাভাবিক, তারা এখন আমার পরিষদের সদস্য। তিনি বলেন, আমি কোন নৌকা প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করিনি।
তারিখ :- ০৯-০২-২২ ইং