ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

হবিগঞ্জ শহরে অবৈধ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক’র ছড়াছড়ি।

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের পৌর শহরে অবৈধ ভাবে চালানো হচ্ছে ৪৩টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। আইন অমান্য করে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান গুলো চলতে থাকলে ও এ নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কারো মাথাব্যথা নেই ফলস্বরূপ ভুল চিকিৎসার স্বীকার হচ্ছে সাধারন মানুষ। এ অবস্থায় আইনানুগ ব্যবস্থা জরুরি বলে বিশেষজ্ঞ গন মনে করেন সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্র জানায় হবিগঞ্জের ১৩১ টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে এর মধ্যে কেবল ৮৮ টি চিকিৎসা কেন্দ্রের লাইসেন্স রয়েছে। বাকি ৪৩ টির নেই কোন বৈধ কাগজ পত্র আবার অনেক প্রতিষ্ঠান ৪/৫ বছর আগেই তাদের লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ করেছে কিন্তু প্রকাশ্যেই চালাচ্ছে চিকিৎসা সেবা।

কিন্তু নবায়ন করছে না আবার অনেক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার শুধু মাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যবসায় খোজ নিয়ে জানা যায়, শুধু হবিগঞ্জ সদরেই ৫৪ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে বাকি ৮ উপজেলায় রয়েছে ৭৭টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এ অবৈধ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো বেশির ভাগই দালাল নির্ভর দালালরা গ্রাম থেকে আসা রোগীদের টার্গেট করে সদর হাসপাতালে উত পেতে থাকে। বিভিন্নভাবে ভুল বুঝিয়ে সহজ সরল মানুষ গুলো কে নিয়ে যায় তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসার নামে আদায় করে অতিরিক্ত টাকা।

আবার দেখা যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আবেদন করেই যত্রতত্র ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে তুলছে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। মনভুলানো বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রামের মানুষকে আকর্ষিত করছে। কিন্তু এসব প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে স্বাস্থ্য বিভাগের বরাবরই উদাসীনতা। বোনের সিজারের জন্য সদর হাসপাতালে আসে খলিল মাহমুদ,কিন্তু দালালরা ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যায় তাদের নিজস্ব প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে। সিজার শেষে ৫২ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দেয় অনেক দেনদরবার করে ও কাজ না হওয়ায় শেষে পর্যন্ত ৫২ হাজার টাকা ই দিতে হল তাকে পরিচয় গোপন করে নাসিম নামের এক দালালের সাথে কথা হলো জানা যায়।

রোগী এনে দিতে পারলেই কমিশন পাওয়া যাবে কমিশন কে তারা সাংকেতিক নামে ডাকে ( সি,এম) মানেই কমিশন। নাসিম বলে আপনি রুগী আনুন কত টাকা বিল করতে হবে আমাকে ইশারা দিলেই আমি করে দিবে, রুগী জানবেও না যে আপনি সি,এম নিচ্ছেন আপনার বিকাশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে হাট বাজারে ফার্মেসী গুলোতে কথা বলে জানা যায়, প্রত্যেকটা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ই তাদের বেতন ধারি কিছু রিপ্রেজেন্ন্টেটিভ আছে তারা ফার্মেসীর মালিকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ।

রুগী পাঠালেই সি,এম পাঠিয়ে দেয় বিকাশের মাধ্যমে ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো ঘুরে দেখা যায় ডাক্তার প্রেস্ক্রিপশনে একাধিক টেস্ট লিখে দেয়। যা অপ্রয়োজনীয় আর সহজসরল মানুষ ডাক্তারের কথামত টেস্ট করিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে বাধ্য হয়। যার একটা অংশ চলে যায় দালাল ও ফার্মেসীর হাতুড়ে চিকিৎসকের পকেটে। এ ব্যাপারে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা,মোখলেছুর রহমান উজ্জ্বল এর সাথে কথা হলো তিনি বলেন, যাদের কাগজপত্র নেই অবিলম্বে অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা সহ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

হবিগঞ্জ শহরে অবৈধ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক’র ছড়াছড়ি।

আপডেট টাইম ০৯:৪১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের পৌর শহরে অবৈধ ভাবে চালানো হচ্ছে ৪৩টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। আইন অমান্য করে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান গুলো চলতে থাকলে ও এ নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কারো মাথাব্যথা নেই ফলস্বরূপ ভুল চিকিৎসার স্বীকার হচ্ছে সাধারন মানুষ। এ অবস্থায় আইনানুগ ব্যবস্থা জরুরি বলে বিশেষজ্ঞ গন মনে করেন সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্র জানায় হবিগঞ্জের ১৩১ টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে এর মধ্যে কেবল ৮৮ টি চিকিৎসা কেন্দ্রের লাইসেন্স রয়েছে। বাকি ৪৩ টির নেই কোন বৈধ কাগজ পত্র আবার অনেক প্রতিষ্ঠান ৪/৫ বছর আগেই তাদের লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ করেছে কিন্তু প্রকাশ্যেই চালাচ্ছে চিকিৎসা সেবা।

কিন্তু নবায়ন করছে না আবার অনেক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার শুধু মাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যবসায় খোজ নিয়ে জানা যায়, শুধু হবিগঞ্জ সদরেই ৫৪ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে বাকি ৮ উপজেলায় রয়েছে ৭৭টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এ অবৈধ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো বেশির ভাগই দালাল নির্ভর দালালরা গ্রাম থেকে আসা রোগীদের টার্গেট করে সদর হাসপাতালে উত পেতে থাকে। বিভিন্নভাবে ভুল বুঝিয়ে সহজ সরল মানুষ গুলো কে নিয়ে যায় তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসার নামে আদায় করে অতিরিক্ত টাকা।

আবার দেখা যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আবেদন করেই যত্রতত্র ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে তুলছে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। মনভুলানো বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রামের মানুষকে আকর্ষিত করছে। কিন্তু এসব প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে স্বাস্থ্য বিভাগের বরাবরই উদাসীনতা। বোনের সিজারের জন্য সদর হাসপাতালে আসে খলিল মাহমুদ,কিন্তু দালালরা ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যায় তাদের নিজস্ব প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে। সিজার শেষে ৫২ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দেয় অনেক দেনদরবার করে ও কাজ না হওয়ায় শেষে পর্যন্ত ৫২ হাজার টাকা ই দিতে হল তাকে পরিচয় গোপন করে নাসিম নামের এক দালালের সাথে কথা হলো জানা যায়।

রোগী এনে দিতে পারলেই কমিশন পাওয়া যাবে কমিশন কে তারা সাংকেতিক নামে ডাকে ( সি,এম) মানেই কমিশন। নাসিম বলে আপনি রুগী আনুন কত টাকা বিল করতে হবে আমাকে ইশারা দিলেই আমি করে দিবে, রুগী জানবেও না যে আপনি সি,এম নিচ্ছেন আপনার বিকাশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে হাট বাজারে ফার্মেসী গুলোতে কথা বলে জানা যায়, প্রত্যেকটা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ই তাদের বেতন ধারি কিছু রিপ্রেজেন্ন্টেটিভ আছে তারা ফার্মেসীর মালিকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ।

রুগী পাঠালেই সি,এম পাঠিয়ে দেয় বিকাশের মাধ্যমে ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো ঘুরে দেখা যায় ডাক্তার প্রেস্ক্রিপশনে একাধিক টেস্ট লিখে দেয়। যা অপ্রয়োজনীয় আর সহজসরল মানুষ ডাক্তারের কথামত টেস্ট করিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে বাধ্য হয়। যার একটা অংশ চলে যায় দালাল ও ফার্মেসীর হাতুড়ে চিকিৎসকের পকেটে। এ ব্যাপারে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা,মোখলেছুর রহমান উজ্জ্বল এর সাথে কথা হলো তিনি বলেন, যাদের কাগজপত্র নেই অবিলম্বে অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা সহ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে।