ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

হবিগঞ্জে বিজনা নদীতে চলছে ২৩ কোটি টাকার খনন কাজ।

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের বিজনা নদীতে দুটি প্যাকেজে চলছে প্রায় ২৩কোটি টাকার খনন কাজ। ৩৭ কিলোমিটারের এ প্রকল্পটি সম্পন্ন হল উপকৃত হবেন এলাকার হাজার হাজার কৃষক, বাড়বে মৎস্য আহরণ। তবে প্রকল্পের কাজের শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন এলাকাবাসী। জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের তত্বাবধানে নবীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বিজনা নদীতে দুটি প্যাকেজে চলছে প্রায় ২৩ কোটি টাকার খনন কাজ।

একটি প্যাকেজে খনন হবে ২২ কিলোমিটার। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকা। কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান উক্ত প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছে। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এ প্যাকেজের কাজ। দরপত্র অনুয়ায়ি গড়ে দেড় মিটার গভীর হবে নদীর তলদেশ। অপর প্যাকেজে খনন হবে ১৫ কিলোমিটার। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। দরপত্র অনুয়ায়ি গড়ে এক মিটার গভীর হবে নদীর তলদেশ। এ প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছেন মিজানুর রহমান শামীম ও সালেহ আহমেদ নামে দুই জন ঠিকাদার।

উভয় প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ মে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এলাকার হাজার হাজার কৃষক উপকৃত হবেন নদীতে বাড়বে পানি ধারণ ক্ষমতা। শুকনো মৌসুমে সেচের মাধ্যমে চাষাবাদ করতে পারবেন কৃষক আবার বর্ষা মৌসুমে বন্যা নিয়ন্ত্রন হবে। ফলে বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে ফসল এছাড়াও নদীতে বাড়বে মৎস্য আহরণ তবে তিনি জানান।

নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে এত বড় প্রকল্প সম্পন্ন করা সম্ভব নয় প্রয়োজনে সময় বাড়ানো লাগতে পারে এদিকে, প্রকল্পের কাজ শুরু হতে না হতেই অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় লোকজন তারা বলছেন, দরপত্র অনুযায়ি নদীর বাঁধ থেকে স্থান ভেদে ৩ থেকে ৬ মিটার দূরে মাটি ফেলার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। নদীর ক’ল ঘেষেই ফেলা হচ্ছে খননকৃত মাটি ফলে কিছুদিন পরেই এ মাটি আবার নদীতে গিয়ে পরবে এতে ভেস্তে যেতে পারে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

হবিগঞ্জে বিজনা নদীতে চলছে ২৩ কোটি টাকার খনন কাজ।

আপডেট টাইম ০৯:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের বিজনা নদীতে দুটি প্যাকেজে চলছে প্রায় ২৩কোটি টাকার খনন কাজ। ৩৭ কিলোমিটারের এ প্রকল্পটি সম্পন্ন হল উপকৃত হবেন এলাকার হাজার হাজার কৃষক, বাড়বে মৎস্য আহরণ। তবে প্রকল্পের কাজের শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন এলাকাবাসী। জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের তত্বাবধানে নবীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বিজনা নদীতে দুটি প্যাকেজে চলছে প্রায় ২৩ কোটি টাকার খনন কাজ।

একটি প্যাকেজে খনন হবে ২২ কিলোমিটার। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকা। কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান উক্ত প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছে। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এ প্যাকেজের কাজ। দরপত্র অনুয়ায়ি গড়ে দেড় মিটার গভীর হবে নদীর তলদেশ। অপর প্যাকেজে খনন হবে ১৫ কিলোমিটার। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। দরপত্র অনুয়ায়ি গড়ে এক মিটার গভীর হবে নদীর তলদেশ। এ প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছেন মিজানুর রহমান শামীম ও সালেহ আহমেদ নামে দুই জন ঠিকাদার।

উভয় প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ মে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এলাকার হাজার হাজার কৃষক উপকৃত হবেন নদীতে বাড়বে পানি ধারণ ক্ষমতা। শুকনো মৌসুমে সেচের মাধ্যমে চাষাবাদ করতে পারবেন কৃষক আবার বর্ষা মৌসুমে বন্যা নিয়ন্ত্রন হবে। ফলে বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে ফসল এছাড়াও নদীতে বাড়বে মৎস্য আহরণ তবে তিনি জানান।

নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে এত বড় প্রকল্প সম্পন্ন করা সম্ভব নয় প্রয়োজনে সময় বাড়ানো লাগতে পারে এদিকে, প্রকল্পের কাজ শুরু হতে না হতেই অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় লোকজন তারা বলছেন, দরপত্র অনুযায়ি নদীর বাঁধ থেকে স্থান ভেদে ৩ থেকে ৬ মিটার দূরে মাটি ফেলার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। নদীর ক’ল ঘেষেই ফেলা হচ্ছে খননকৃত মাটি ফলে কিছুদিন পরেই এ মাটি আবার নদীতে গিয়ে পরবে এতে ভেস্তে যেতে পারে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।