লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের বিজনা নদীতে দুটি প্যাকেজে চলছে প্রায় ২৩কোটি টাকার খনন কাজ। ৩৭ কিলোমিটারের এ প্রকল্পটি সম্পন্ন হল উপকৃত হবেন এলাকার হাজার হাজার কৃষক, বাড়বে মৎস্য আহরণ। তবে প্রকল্পের কাজের শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন এলাকাবাসী। জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের তত্বাবধানে নবীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বিজনা নদীতে দুটি প্যাকেজে চলছে প্রায় ২৩ কোটি টাকার খনন কাজ।
একটি প্যাকেজে খনন হবে ২২ কিলোমিটার। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকা। কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান উক্ত প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছে। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এ প্যাকেজের কাজ। দরপত্র অনুয়ায়ি গড়ে দেড় মিটার গভীর হবে নদীর তলদেশ। অপর প্যাকেজে খনন হবে ১৫ কিলোমিটার। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। দরপত্র অনুয়ায়ি গড়ে এক মিটার গভীর হবে নদীর তলদেশ। এ প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছেন মিজানুর রহমান শামীম ও সালেহ আহমেদ নামে দুই জন ঠিকাদার।
উভয় প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ মে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এলাকার হাজার হাজার কৃষক উপকৃত হবেন নদীতে বাড়বে পানি ধারণ ক্ষমতা। শুকনো মৌসুমে সেচের মাধ্যমে চাষাবাদ করতে পারবেন কৃষক আবার বর্ষা মৌসুমে বন্যা নিয়ন্ত্রন হবে। ফলে বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে ফসল এছাড়াও নদীতে বাড়বে মৎস্য আহরণ তবে তিনি জানান।
নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে এত বড় প্রকল্প সম্পন্ন করা সম্ভব নয় প্রয়োজনে সময় বাড়ানো লাগতে পারে এদিকে, প্রকল্পের কাজ শুরু হতে না হতেই অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় লোকজন তারা বলছেন, দরপত্র অনুযায়ি নদীর বাঁধ থেকে স্থান ভেদে ৩ থেকে ৬ মিটার দূরে মাটি ফেলার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। নদীর ক’ল ঘেষেই ফেলা হচ্ছে খননকৃত মাটি ফলে কিছুদিন পরেই এ মাটি আবার নদীতে গিয়ে পরবে এতে ভেস্তে যেতে পারে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।