নুর আলম, শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানাধীন দক্ষিণ তারাবুনিয়া মাল বাজার ব্রিজের ঢালে অবৈভাবে গড়ে উঠা মৎস খামারের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিক খোরশেদ আলম বাবুলকে মারধর করে একদল সন্ত্রাসী।
গত বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা সাংবাদিক বাবুল’কে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে আহত সাংবাদিক বাবুল শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সাংবাদিক খোরশেদ আলম বাবুল অভিযোগ করে বলেন, দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জালাল মাল ও তার পালিত ১৫-২০জন সন্ত্রাসী বাহিনী তার উপর এ হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজালাল মাল গ্রামবাসীর প্রায় ৪০ একর জমি দখল করে অবৈধভাবে মৎস খামার গড়ে তুলেছেন।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিক খোরশেদ আলম বাবুল, রাজিব হোসেন রাজন ও সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সংবাদের সত্যাতা যাচাই করতে মৎস্য খামারটি দেখতে যান।
এসময় কৃষি ও বসতি জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে পুকুর খননের ভিডিও ধারন করে আসার পথে রাস্তায় সাংবাদিকদের গাড়ি থামিয়ে ক্যামেরা কেড়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। পরে সাংবাদিক খোরশেদ আলম বাবুলকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে সন্ত্রাসীরা। সহকর্মী ও স্থানীয়রা মিলে ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে প্রথমে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সৈয়দা নাসরিন মাতৃভূমির খবরকে জানান, সাংবাদিক খোরশেদ আলম বাবুলের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেয়েছেন। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
শরীয়তপুর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোকনুজ্জামান পারভেজ বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় এক সাংবাদিকের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দোষীদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সখিপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনাটি দুঃখজনক। হামলার বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উল্লেখ্য, শরীয়তপুরে কিছুদিন পরপরই সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক। চলমান ইউপি নির্বাচনে ডিবিসি নিউজের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক ইসরাফিলের উপর হামলা করা হয়। সর্বশেষ ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও সাংবাদিক নুর আলমের উপর হামলা করে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী।