স্টাফ রিপোর্টার ছিদ্দিকুর রহমান (রিজন)।।
বেতাগীতে স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও স্বীকৃতি মেলেনি বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমানের।
দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পার হলেও মন্ত্রণালয়ের গেজেটে নাম আসেনি সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বজলুর রহমানের। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না পাওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে। জীবনের শেষ সময়ে এসে একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে তালিকায় নিজের নাম দেখতে চান দেশ মাতৃকার টানে ঝাঁপিয়ে পড়া এই মুক্তিযোদ্ধা।
জানা গেছে, তিনি ১৯৪৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেন তার বাড়ি বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিন ছোপখালী গ্রামে।
তার পিতার নাম আজাহার উদ্দিন। ১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় তখন তার বয়স ২২ বছর। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশকে শত্রুমুক্ত করতে অন্যদের সঙ্গে তিনিও বরগুনা মিলিশিয়া ক্যাম্প ও দেউলি গিয়ে প্রশিক্ষণ নেন।
বরগুনা মিলিশিয়া ও দেউলি ক্যাম্প থেকে ১ মাসের অস্ত্র প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে ৯ নং সেক্টরে পটুয়াখালী সাব ডিভিশনে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেন।
তার সহযোদ্ধা ছিলেন সৈয়দ মোঃ এনায়েত হোসেন(জীবিত)
মোঃআব্দুর রশিদ( মৃতূ)
এরপর দেশ স্বাধীন হলো। কেটে গেলো ৫০ বছর। জীবন যুদ্ধে হার না মানা বীর যোদ্ধা মোঃবজলুর রহমানের নাম তবুও গেজেটভুক্ত হয়নি।
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করার পরেও অজানা কারণে সুফল পাননি তিনি। শারীরিক নানা জটিলতায় বাসা বেঁধেছে অসুখ। স্ট্রোক করে হারিয়ে ফেলেছেন কথা বলার শক্তিও। জীবন সায়াহ্নে এসে এখনও তিনি কেবলমাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান।
তার বড় সন্তান তাসলিমা আক্তার বেবি অভিযোগ করেন, তার বাবা বরগুনা মিলিশিয়া ও দেউলি ক্যাম্প থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার কাগজপত্র নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে দীর্ঘদিনেও কোন কাজ হয়নি। সরকার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য অনেক সহযোগিতা করছে। তার পরিবারের দাবী বাবার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়টি যেন দিতে পারেন এই তাদের চাওয়া। গেজেটে যেন তার নামটি প্রকাশ করা হয়। তিনি কমান্ডার আলতাব হায়দারের নেতৃত্বে কাজ করতেন এবং তার দলের সক্রিয় ছিলেন।তিনি বরগুনা মিলিশিয়া ক্যাম্পের রাইটার্স হিসাবে দায়িত্ব পালন করতেন।
স্থানীয়রাও বলেছেন, তিনি মুুক্তিযোদ্ধার সাথে জড়িত ছিলেন। এখন তিনি জীবনের শেষ প্রান্তে।
তবুও তার স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সুহৃদ সালেহীন বলেন, তিনি যে কোন ধরনের সহযোগিতা চাইলে উপজেলা প্রশাসন সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর যাতে এ বিষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে সে জন্য কাজ করবে।