ঢাকা ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার। দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

শরীয়তপুরে ইউপি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক, অভিযোগ মেম্বার প্রার্থীর উপর।

নুর আলম, শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের শ্রীপাশা (৭নং কেন্দ্র) এলাকায় নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ শেষে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক নুর আলম। এসময় তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুসি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে মেম্বার প্রার্থী আব্দুল আজিজ খানের লোকজন। আহত অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শরীয়তপুর সদর (পালং) থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিক নুর আলম বলেন, শরীয়তপুর চলমান ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষকের কাজে দৈনিক মাতৃভূমির খবর পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে আমি আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। সকাল আনুমানিক ১১টার সময় শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের শ্রীপাশা (৭নং কেন্দ্র) এলাকায় পিজাইটিং কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ ইমারত হোসেনের সাথে কথা বলে কেন্দ্র থেকে বের হচ্ছিলাম। তখন মেম্বার প্রার্থী আব্দুল আজিজ খান (ফুটবল মার্কা) আমাকে ডেকে বলে আপনি কিসের সাংবাদিক।

তাকে উত্তেজিত দেখে আমি কেন্দ্র ইনচার্জ এসআই কাদিরকে বিষয়টি জানালে এসআই কাদির আমাকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দেয়। পিছন থেকে আব্দুল আজিজ খান তার সমর্থদের উদ্দেশ্য করে জোর গলায় বলেন, শালায় কিসের সাংবাদিক, ওরে পিটাইয়া মেরে ফেল। এরপর তার সমর্থকরা বেপরোয়া ভাবে আমাকে কিল ঘুসি ও লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে আমি রাস্তার পাশে পুকুরে ঝাপ দেই। এসময় আমার সাথে থাকা ডিএসএলআর ক্যামেরা, নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ কার্ড ও মানিব্যাগ (যার মধ্যে ৬,৩০০টাকা) নিয়ে যায়। তবে ঠিক কেনো তাকে মেরেছে আব্দুল আজিজ খানের লোকজন তা জানেনা বলেও জানান তিনি। হামলাকারীরা সংখ্যায় ৫০-৬০হবে বলে তার ধারণা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ খানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়ে কথা বলতে পালং মডেল থানায় গেলে ওসি আক্তার হোসেনকে পাওয়া যায়নি। নির্বাচনী ডিউটিতে আছেন বলে জানান ডিউটি অফিসার।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল

শরীয়তপুরে ইউপি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক, অভিযোগ মেম্বার প্রার্থীর উপর।

আপডেট টাইম ০৯:৩৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২

নুর আলম, শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের শ্রীপাশা (৭নং কেন্দ্র) এলাকায় নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ শেষে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক নুর আলম। এসময় তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুসি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে মেম্বার প্রার্থী আব্দুল আজিজ খানের লোকজন। আহত অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শরীয়তপুর সদর (পালং) থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিক নুর আলম বলেন, শরীয়তপুর চলমান ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষকের কাজে দৈনিক মাতৃভূমির খবর পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে আমি আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। সকাল আনুমানিক ১১টার সময় শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের শ্রীপাশা (৭নং কেন্দ্র) এলাকায় পিজাইটিং কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ ইমারত হোসেনের সাথে কথা বলে কেন্দ্র থেকে বের হচ্ছিলাম। তখন মেম্বার প্রার্থী আব্দুল আজিজ খান (ফুটবল মার্কা) আমাকে ডেকে বলে আপনি কিসের সাংবাদিক।

তাকে উত্তেজিত দেখে আমি কেন্দ্র ইনচার্জ এসআই কাদিরকে বিষয়টি জানালে এসআই কাদির আমাকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দেয়। পিছন থেকে আব্দুল আজিজ খান তার সমর্থদের উদ্দেশ্য করে জোর গলায় বলেন, শালায় কিসের সাংবাদিক, ওরে পিটাইয়া মেরে ফেল। এরপর তার সমর্থকরা বেপরোয়া ভাবে আমাকে কিল ঘুসি ও লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে আমি রাস্তার পাশে পুকুরে ঝাপ দেই। এসময় আমার সাথে থাকা ডিএসএলআর ক্যামেরা, নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ কার্ড ও মানিব্যাগ (যার মধ্যে ৬,৩০০টাকা) নিয়ে যায়। তবে ঠিক কেনো তাকে মেরেছে আব্দুল আজিজ খানের লোকজন তা জানেনা বলেও জানান তিনি। হামলাকারীরা সংখ্যায় ৫০-৬০হবে বলে তার ধারণা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ খানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়ে কথা বলতে পালং মডেল থানায় গেলে ওসি আক্তার হোসেনকে পাওয়া যায়নি। নির্বাচনী ডিউটিতে আছেন বলে জানান ডিউটি অফিসার।